জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চাই

সমাবর্তনের অর্থ হচ্ছে ‘এক সঙ্গে মিলিত হওয়া’। একজন শিক্ষার্থী তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মূল সনদপত্র গ্রহণ করে সমাবর্তনের মাধ্যমে যা তার সারাজীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকে। এই সোনালি স্মৃতি জন্ম দেয় অজগ্র সুন্দর স্বপ্নের। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং দেশের বাহিরের প্রথিতযশা কোন ব্যক্তি অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয় যা শিক্ষার্থীদের জন্য বয়ে আনে সর্বোচ্চ সম্মান এবং বাঁধভাঙা আনন্দ।

তবে সমাবর্তন মানে শুধু কালো গাউন পরে আকাশের বুকে টুপি ছুড়ে মারা নয়, বরং সমাবর্তন মানে এক যুদ্ধ জয়ের সেরা প্রাপ্তি। একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই গ্র্যাজুয়েট হয়ে যায় না বরং এই গ্র্যাজুয়েট হওয়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকে অনেকগুলো বছরের কঠোর সাধনা, অসীম ধৈর্য, সীমাহীন কষ্ট, দীর্ঘ অপেক্ষা। অনেকগুলো বিনিদ্র রজনী পড়ার টেবিলে বসে কাটানো, অনেকগুলো দুপুর ক্লাস শেষে বাসে ঝুলে ঘরে ফিরা, অনেকগুলো বিকেল সমস্ত আয়োজন থেকে নিজেকে বঞ্চিত করার ফসল আমাদের এই গ্র্যাজুয়েশন। তাই প্রতিটি গ্র্যাজুয়েটের মনের কোণে লুকিয়ে থাকে সমাবর্তন নামের মাহেন্দ্রক্ষণটির। কারণ দিনটা শুধু তার। এইদিন সে তার শিক্ষা জীবনের সমস্ত কষ্টকে আকাশে উড়িয়ে দিয়ে ভেসে বেড়াবে অপার আনন্দে, প্রাপ্তির স্বীকৃতি নিয়ে সে হারিয়ে যাবে তেপান্তরের মাঠে, খুশির আলোকছটায় সে হবে রঙিন প্রজাপতি।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলেও এ কথা সত্যি যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা তাদের সমাবর্তনের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ পাবলিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য একই ব্যক্তি- মাননীয় রাষ্ট্রপতি, জাতীয় বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একই রকম কষ্ট করে গ্র্যাজুয়েট হয়, তাদের চোখেও একইরকম স্বপ্ন। তাহলে কেন এই অবহেলা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি?

জাতীয় বিশব্বিদ্যালয়ের একজন গ্র্যাজুয়েট হিসেবে আমি আশা করি আমরা আমাদের প্রাপ্য অধিকার পাব।

এএ প্রিয়া

শিক্ষার্থী, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১১ মাঘ ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চাই

সমাবর্তনের অর্থ হচ্ছে ‘এক সঙ্গে মিলিত হওয়া’। একজন শিক্ষার্থী তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মূল সনদপত্র গ্রহণ করে সমাবর্তনের মাধ্যমে যা তার সারাজীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকে। এই সোনালি স্মৃতি জন্ম দেয় অজগ্র সুন্দর স্বপ্নের। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং দেশের বাহিরের প্রথিতযশা কোন ব্যক্তি অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয় যা শিক্ষার্থীদের জন্য বয়ে আনে সর্বোচ্চ সম্মান এবং বাঁধভাঙা আনন্দ।

তবে সমাবর্তন মানে শুধু কালো গাউন পরে আকাশের বুকে টুপি ছুড়ে মারা নয়, বরং সমাবর্তন মানে এক যুদ্ধ জয়ের সেরা প্রাপ্তি। একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই গ্র্যাজুয়েট হয়ে যায় না বরং এই গ্র্যাজুয়েট হওয়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকে অনেকগুলো বছরের কঠোর সাধনা, অসীম ধৈর্য, সীমাহীন কষ্ট, দীর্ঘ অপেক্ষা। অনেকগুলো বিনিদ্র রজনী পড়ার টেবিলে বসে কাটানো, অনেকগুলো দুপুর ক্লাস শেষে বাসে ঝুলে ঘরে ফিরা, অনেকগুলো বিকেল সমস্ত আয়োজন থেকে নিজেকে বঞ্চিত করার ফসল আমাদের এই গ্র্যাজুয়েশন। তাই প্রতিটি গ্র্যাজুয়েটের মনের কোণে লুকিয়ে থাকে সমাবর্তন নামের মাহেন্দ্রক্ষণটির। কারণ দিনটা শুধু তার। এইদিন সে তার শিক্ষা জীবনের সমস্ত কষ্টকে আকাশে উড়িয়ে দিয়ে ভেসে বেড়াবে অপার আনন্দে, প্রাপ্তির স্বীকৃতি নিয়ে সে হারিয়ে যাবে তেপান্তরের মাঠে, খুশির আলোকছটায় সে হবে রঙিন প্রজাপতি।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলেও এ কথা সত্যি যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা তাদের সমাবর্তনের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ পাবলিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য একই ব্যক্তি- মাননীয় রাষ্ট্রপতি, জাতীয় বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একই রকম কষ্ট করে গ্র্যাজুয়েট হয়, তাদের চোখেও একইরকম স্বপ্ন। তাহলে কেন এই অবহেলা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি?

জাতীয় বিশব্বিদ্যালয়ের একজন গ্র্যাজুয়েট হিসেবে আমি আশা করি আমরা আমাদের প্রাপ্য অধিকার পাব।

এএ প্রিয়া

শিক্ষার্থী, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।