দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস সতর্ক থাকতে হবে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ৫৬ জন মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রশ্নে তার দেশ গুরুতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। চীন থেকে এ ভাইরাস দ্রুত অন্যান্য দেশ ছড়িয়ে পড়ছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এশিয়া পেরিয়ে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশেও ছড়িয়েছে উক্ত ভাইরাস। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ চীনের নববর্ষ উদযাপন করতে দেশটিতে লাখো পর্যটক অবস্থান করছেন। দেশটিতে অবস্থানরত কয়েকশ’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের প্রকৃতি সম্পর্কে এখনও বিশদভাবে কিছু জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা এ ভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসের সঙ্গে এর সদৃশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। তবে এর আগেই ভাইরাসটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সংক্রামক এ ভাইরাস এর আগে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে বলে জানা যায় না। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোন প্রাণীর মাধ্যমে এটি মানবদেহে ছড়িয়েছে। মানবদেহে সংক্রমণ ঘটানোর পর এর মিউটেশন হয়েছে এবং দ্রুত একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ছে। মিউটেশন হওয়ায় এর প্রকৃতি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এ ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন হতে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিত হয়।

বাংলাদেশে এখনও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে এর সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ব্যবসা, শিক্ষাভ্রমণ প্রভৃতি উদ্দেশ্যে চীনে যায়। সেখানে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী চীন থেকে দেশে ফিরতে চেয়েছেন। চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ঝুঁকি বিবেচনা করে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে যে, করোনাভাইরাস যেন দেশে প্রবেশ করতে বা ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এজন্য বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।

আমরা আশা করব, বিজ্ঞানীরা দ্রুত করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন। তাদের আবিষ্কারই বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারবে। চীনসহ বিশ্বের অন্য যেসব দেশ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলা করছে আমরা তাদের মঙ্গল কামনা করি।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১

দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস সতর্ক থাকতে হবে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ৫৬ জন মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রশ্নে তার দেশ গুরুতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। চীন থেকে এ ভাইরাস দ্রুত অন্যান্য দেশ ছড়িয়ে পড়ছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এশিয়া পেরিয়ে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশেও ছড়িয়েছে উক্ত ভাইরাস। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ চীনের নববর্ষ উদযাপন করতে দেশটিতে লাখো পর্যটক অবস্থান করছেন। দেশটিতে অবস্থানরত কয়েকশ’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের প্রকৃতি সম্পর্কে এখনও বিশদভাবে কিছু জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা এ ভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসের সঙ্গে এর সদৃশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। তবে এর আগেই ভাইরাসটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সংক্রামক এ ভাইরাস এর আগে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে বলে জানা যায় না। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোন প্রাণীর মাধ্যমে এটি মানবদেহে ছড়িয়েছে। মানবদেহে সংক্রমণ ঘটানোর পর এর মিউটেশন হয়েছে এবং দ্রুত একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ছে। মিউটেশন হওয়ায় এর প্রকৃতি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এ ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন হতে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিত হয়।

বাংলাদেশে এখনও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে এর সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ব্যবসা, শিক্ষাভ্রমণ প্রভৃতি উদ্দেশ্যে চীনে যায়। সেখানে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী চীন থেকে দেশে ফিরতে চেয়েছেন। চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ঝুঁকি বিবেচনা করে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে যে, করোনাভাইরাস যেন দেশে প্রবেশ করতে বা ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এজন্য বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।

আমরা আশা করব, বিজ্ঞানীরা দ্রুত করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন। তাদের আবিষ্কারই বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারবে। চীনসহ বিশ্বের অন্য যেসব দেশ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলা করছে আমরা তাদের মঙ্গল কামনা করি।