কুমিল্লার চান্দিনায় মাইক্রোবাসে দুই যাত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে মিজানুর রহমান (৩৮) নামে এক মুরগি ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের বরাট গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মেম্বারের ছেলে।
নিহতের ভাগিনা রাসেল জানান, সকালে বরাট বাজারে মিজানুর রহমানের মুরগি দোকানে মুরগি কিনতে যায় পার্শ্ববর্তী সাইতলা গুচ্ছ গ্রামের আহাম্মদ আলী (২১)। ওই সময়ে মিজানুরের ছোট ভাই সফিউল্লাহ সুফী দোকানে বসা ছিল। আহাম্মদ মুরগি কেনার পর ফোন করার অজুহাতে সুফীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। সারাদিনেও মোবাইল ফোনটি ফেরত দেয়নি।
সন্ধ্যা ৭টায় মিজানুর রহমান মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওই গাড়িতে আহাম্মদ আলীর সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় দুইজনের মধ্যে মোবাইল ফোনের বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গাড়িটি নূরীতলা নামকস্থানে পৌঁছালে আহাম্মদ আলী ছুরি দিয়ে মিজানুর রহমানের বুক-পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে অস্ত্রের মুখে চালককে হুমকি দিয়ে গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল জানান, ঘটনাটি শোনার পরপরই আমরা চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ঘটনাস্থল যাই। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)
কুমিল্লার চান্দিনায় মাইক্রোবাসে দুই যাত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে মিজানুর রহমান (৩৮) নামে এক মুরগি ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের বরাট গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মেম্বারের ছেলে।
নিহতের ভাগিনা রাসেল জানান, সকালে বরাট বাজারে মিজানুর রহমানের মুরগি দোকানে মুরগি কিনতে যায় পার্শ্ববর্তী সাইতলা গুচ্ছ গ্রামের আহাম্মদ আলী (২১)। ওই সময়ে মিজানুরের ছোট ভাই সফিউল্লাহ সুফী দোকানে বসা ছিল। আহাম্মদ মুরগি কেনার পর ফোন করার অজুহাতে সুফীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। সারাদিনেও মোবাইল ফোনটি ফেরত দেয়নি।
সন্ধ্যা ৭টায় মিজানুর রহমান মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওই গাড়িতে আহাম্মদ আলীর সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় দুইজনের মধ্যে মোবাইল ফোনের বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গাড়িটি নূরীতলা নামকস্থানে পৌঁছালে আহাম্মদ আলী ছুরি দিয়ে মিজানুর রহমানের বুক-পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে অস্ত্রের মুখে চালককে হুমকি দিয়ে গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল জানান, ঘটনাটি শোনার পরপরই আমরা চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ঘটনাস্থল যাই। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।