রংপুরে অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্সধারী ৪৫ জেলে

রংপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী শাসুল ইসলামের মাধ্যমে অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স নেয়ার মামলায় ৪৫ আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকেলে রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ রাশেদা সুলতানা এ আদেশ প্রদান করেন। রংপুরের দুদক আইনজীবী হারুনর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক আইনজীবী জানান, রংপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী সামসুল ইসলাম অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করে ৪ শতাধিক অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স সরবরাহ করেছেন। তিনি জনপ্রতি ৩-৪ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই সব লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরা বেশির ভাগই সেনা সদস্য। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি দল অস্ত্রের লাইসেন্স শাখার অফিস সহকারী সামসুল ইসলামের কক্ষ তল্লাশি করে ৩৯১টি অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্সের কাগজসহ ২০ লাখ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমূল্য চন্দ্র রায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীকালে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ৩শ ৯১ জনের নামে ২০১৯ সালের ২০ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। গত সোমবার ওই মামলার চার্জশীটভুক্ত ৪৫ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলার প্রধান আসামি অফিস সহকারী সামসুল ইসলাম দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী কালীন জামিনে আছেন।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

রংপুরে অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্সধারী ৪৫ জেলে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী শাসুল ইসলামের মাধ্যমে অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স নেয়ার মামলায় ৪৫ আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকেলে রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ রাশেদা সুলতানা এ আদেশ প্রদান করেন। রংপুরের দুদক আইনজীবী হারুনর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক আইনজীবী জানান, রংপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী সামসুল ইসলাম অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করে ৪ শতাধিক অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স সরবরাহ করেছেন। তিনি জনপ্রতি ৩-৪ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই সব লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরা বেশির ভাগই সেনা সদস্য। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি দল অস্ত্রের লাইসেন্স শাখার অফিস সহকারী সামসুল ইসলামের কক্ষ তল্লাশি করে ৩৯১টি অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্সের কাগজসহ ২০ লাখ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমূল্য চন্দ্র রায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীকালে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ৩শ ৯১ জনের নামে ২০১৯ সালের ২০ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। গত সোমবার ওই মামলার চার্জশীটভুক্ত ৪৫ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলার প্রধান আসামি অফিস সহকারী সামসুল ইসলাম দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী কালীন জামিনে আছেন।