এনটিআরসিএর ‘পকেট কাটা’ নিয়োগ প্রক্রিয়া ও কিছু প্রশ্ন

সাধন সরকার

আমি এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) একজন শিক্ষক নিবন্ধনধারী এবং চাকরিপ্রত্যাশী। এনটিআরসিএর ‘পকেট কাটা’ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গত প্রায় দুই-তিন বছর ধরে বেকার চাকরিপ্রত্যাশী লাখ লাখ তরুণদের মধ্যে অসহায়ত্ব কাজ করছে। বেকারদের জিম্মি করে এনটিআরসিএর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ব্যবসায়িক মনোভাব বাংলাদেশে তো বটেই, পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে কিনা সন্দেহ! নিবন্ধনধারী তরুণদের কত-শত প্রতিবাদ, আবেদন-নিবেদন সত্ত্বেও এনটিআরসিএ এই ব্যাপারে নির্বিকার! এছাড়া এনটিআরসিএর আরও কিছু পরিকল্পনাহীন পদক্ষেপের ফলে নিবন্ধনধারীদের মনে ব্যাপক হতাশার তৈরি হয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো-

যত খুশি তত আবেদন নয়, নিবন্ধিত শিক্ষকদের একটি আবেদনে নিয়োগ হোক

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (স্কুল, স্কুল-২, কলেজ পর্যায়) শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে ‘এনটিআরসিএ’ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) খুব শীঘ্রই গণবিজ্ঞপ্তি (১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদেরসহ) জারি করতে যাচ্ছে। ধারণা করা যায়, গণবিজ্ঞপ্তি জারির সাথে সাথেই পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। যার অর্থ হলো, আবার যত খুশি তত আবেদন! কেননা গতবারের অর্থাৎ ২০১৮ সালের নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগের (১-১৪ তম নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের জন্য) উদ্দেশ্যে যে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল সেখানে যত খুশি তত আবেদনের কথা বলা হয়েছিল। ২০১৬ সালের গণবিজ্ঞপ্তিতেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল। সহজ করে বললে, এর মাধ্যমে বেকার চাকরিপ্রত্যাশীদের ‘পকেট কাটা’ হয়েছিল! বলা হয়েছিল, সব নিবন্ধনধারী পদের ধরন ঠিক রেখে শূন্য পদ সাপেক্ষে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে। যার ফলে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার টাকা খরচ করেও আবেদন প্রক্রিয়ার মারপ্যাঁচে অনেক মেধাবী নিবন্ধনধারীরও চাকরি হয়নি। যাদের মেধাতালিকা একটু পিছনের দিকে ছিল চাকরির আশায় তাদের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য আরও বেশি অর্থ (লক্ষ টাকারও বেশি!) খরচ করতে হয়েছে। অনেকে শত শত প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেও স্বাভাবিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয়েছে। প্রশ্ন হলো, কেন একটি পদে চাকরির আশায় একাধিক প্রতিষ্ঠানে তথা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদন করতে হবে? একটি আবেদনের মাধ্যমে কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না? আসল কথা হলো, লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রত্যাশী নিবন্ধনধারীদের আবেদনের প্রতিযোগিতায় নামিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। একজন পরীক্ষার্থীকে শুরুতে টাকা দিয়ে আবেদন করে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিয়োগের সময় চাকরি পেতে আবার কেন হাজার হাজার টাকা খরচ করে আবেদন করতে হবে? তাও আবার একটি আবেদন না, যত খুশি তত আবেদন। কেননা একাধিক আবেদন না করলে মেধাবী নিবন্ধনধারীরও চাকরি ফসকে যেতে পারে!

বাংলাদেশের আর কোনো চাকরিতে এমন ‘পকেট কাটা’ নিয়োগ প্রক্রিয়া আছে বলে জানা নেই! এমন ভাগ্য যাচাইয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ম্যারপ্যাঁচে মেধাতালিকার অনেকে নিচে অবস্থান করে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে, আবার মেধাতালিকার উপরের দিকে অবস্থান করেও অনেকের চাকরি হচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, তাহলে মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে নাকি টাকারও মূল্যায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য চাকরিতে একটি আবেদনের মাধ্যমে চাকরি হলে শিক্ষক নিবন্ধনে হবে না কেন? নাকি বেকার চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিতেই হবে! আরও সহজে ব্যাখ্যা করে যদি বলি, একটি প্রতিষ্ঠানে একটি পদে ২৫ জন চাকরিপ্রত্যাশী নির্দিষ্ট অর্থ খরচ করে আবেদন করলেও (কেননা কেউ জানে না কে কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করবে অথবা কার চাকরি হবে!) চাকরি হবে একজনের, বাকি ২৪ জনের আবেদনের কষ্টের টাকা (প্রতিটি আবেদন ১৮০+ টাকা করে) নষ্ট হবে! পরিশেষে একটি প্রতিষ্ঠানে তো নিয়োগ হবে তাহলে কেন একটি আবেদনের টাকা রাখা হবে না? শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্বল করে প্রায় ৫ লক্ষের বেশি বেকার নিবন্ধনধারীদের প্রতি এনটিআরসিএর এই ‘পকেট কাটার’ প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত। নিবন্ধনধারীদের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদ সাপেক্ষে নিজ উপজেলা, জেলা, বিভাগে নিয়োগ দেওয়া উচিত। আর এভাবে যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া (একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন অর্থ হলো যত খুশি তত আবেদন) রাখতেই হয় তাহলে আবেদন যতই হোক না কেন একটি আবেদনের টাকা রাখলেই তো হয়। এনটিআরসিএর কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদনে এভাবে অসহায় বেকারদের পকেট কাটবেন না, মেধাবী নিবন্ধিতদের লটারির মতো করে ভাগ্য নির্ধারণ করবেন না! প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদন নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশোধন করে বিষয়ভিত্তিক একটি আবেদনের ভিত্তিতে মেধাতালিকা অনুসারে নিবন্ধনধারীদের অতি দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।

এনটিআরসিএর ভাইভার গুরুত্ব কতটুকু

এনটিআরসিএর ভাইভার নম্বর যোগ হয় না। কেননা লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মূলত জাতীয় মেধাতালিকা করে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশ্ন হলো, যে ভাইভার নম্বর যোগ করা হয় না সে ভাইভা নিয়ে লাভ কী? তবে মজার বিষয় হলো, ভাইভাতে তিন ক্যাটাগরির (স্কুল, স্কুল-২, কলেজ পর্যায়) শত শত প্রার্থীকে ফেলও পর্যন্ত করানো হয়। যে ভাইভার নম্বর যোগ হয় না, সে ভাইভাতে প্রার্থীদের ফেল করানোর অধিকার কী আছে? ভাইভার এত আয়োজন ও সময় নষ্ট করে লাভ কী হচ্ছে? প্রশ্ন হলো, যেখানে অন্যান্য সব চাকরির পরীক্ষায় তো ভাইভার নম্বর যোগ করা হচ্ছে। তাহলে শিক্ষক নিবন্ধনে হবে না কেন? ১৩ তম শিক্ষক নিবন্ধন থেকে তিন ধাপে (প্রিলি, লিখিত, ভাইভা) একজন চাকরি প্রার্থীকে পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করা হয়। এর আগের নিবন্ধনগুলোতে (১-১২তম) শুধু প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতো। ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা থেকে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে নিবন্ধনধারীদের চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। আর এই জাতীয় মেধাতালিকায় থাকে শুরু থেকে অর্থাৎ প্রথম নিবন্ধন থেকে বর্তমান নিবন্ধনধারীরা(১-১৫তম পর্যন্ত শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা)। প্রশ্ন হলো, নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই প্রথম থেকে ১২তম পর্যন্ত নিবন্ধনধারীদের(তখন ভাইভা নেয়া হতো না) সাথে যেহেতু ১৩ (১৩তম নিবন্ধন থেকে ভাইভা শুরু), ১৪ ও ১৫তম নিবন্ধনধারীদের একসাথে মিলিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া যেহেতু শুরু করা হবে তাহলে আলাদাভাবে ঘটা করে কেন বর্তমানে ভাইভা নেয়া হচ্ছে এবং সে ভাইভাতে ফেল করানো হচ্ছে? ভাইভা নেয়ার ফলে এবং পরীক্ষা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ফলে ১৩ ও ১৪তমদের একক নিয়োগের আশ্বাসও এনটিআরসিএ থেকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে (১৩, ১৪তম নিবন্ধনধারীদের) কোনো একক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়নি। একক নিয়োগ যখন নাই-ই হবে তবে পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে লাভ কী হলো? যাই-ই হোক, এখন জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, হয় ভাইভার নম্বর মোট নম্বরের সাথে যোগ করা হোক অন্যথায় গুরুত্বহীন ভাইভা পরীক্ষা বাদ দেয়া হোক।

বয়স ৩৫ পার হওয়া নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের সমাধান কোন পথে

আরও একটি জটিল সমস্যা হলো, আবেদনে নতুন শর্ত হিসেবে ৩৫ প্লাস বয়সধারীদের (৩৫+ বয়সী লক্ষাধিক নিবন্ধনধারী) অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী এবারও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবে না। বয়স ৩৫ পার হওয়া নিবন্ধনধারীদের দোষটা কী? যখন (২০১৮ সালের নীতিমালার আগে) চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল তখন তো নির্দিষ্ট বয়সের কথা বলা হয়নি। এখন আবেদন করার সময় বয়স ৩৫ পার হওয়ার কারণে বাদ পড়া অনেকের শিক্ষাজীবনে চারটিতে প্রথম শ্রেণি আছে। আবার স্কুল-কলেজের নিবন্ধনে বাদ পড়া অনেকের মেধা তালিকা প্রথমসারির দিকে (২য়, ৩য়, ৬ষ্ঠ ...)। তাদের যদি সদ্য নীতিমালার বেড়াজালে আটকিয়ে বাদ দেওয়া হয় তাহলে এ দুঃখ তারা কোথায় রাখবে? ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালায় বয়স ৩৫ পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে কিন্তু এর আগে যাদের নিবন্ধন সনদ আছে তাদের তো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেয়া উচিত। কেননা এ ব্যাপারে নিবন্ধনধারীদের যুক্তিই সঠিক। কেননা চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে সবাই আবেদন করে। কবে, কখন, কোথায় নিয়োগ হবে এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে।

নারী কোটা ও নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান উল্লেখ

গণবিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত আবেদনের সময় যে পদে আবেদন করা হয় সে পদটি নারী কোটা না পুরুষ কোটা আবার এমপিও না নন-এমপিও; অনেক সময় এটা বোঝা যায় না। দেখা গেছে, আবেদন করার পর অনেক পুরুষ প্রার্থী চাকরিতে (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে) যোগ দিতে গিয়ে দেখে পদটি নারী কোটার। আবার অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে দেখে পদটি নন-এমপিও। এমনটি হওয়ার ফলে অনেক প্রার্থী ব্যাপক হয়রানি ও সমস্যার শিকার হয়েছে। অনেকের চাকরি হয়েও চলে গেছে! অনেকে আবার নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে বছরের পর ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন। এনটিআরসিএর কাছে আকুল আবেদন, যখন চূড়ান্ত আবেদনে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান দেখে যখন একজন প্রার্থী আবেদন করবে সেখানে প্রতিষ্ঠানের পাশে কিংবা অন্য কোনো ভাবে যেন স্পষ্টভাবে লেখা থাকে পদটি নারী বা পুরুষ কোটা। আবার একইভাবে যেন লেখা থাকে পদটি এমপিও বা নন-এমপিও। তাহলে নিবন্ধনধারীরা যেমন দেখেশুনে আবেদন করতে পারবে, তেমনি হয়রানি ও সমস্যা কিছুটা হলেও এড়াতে পারবে।

সবচেয়ে ভালো হয় যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদের তালিকা আগেই দিয়ে দেয়া হয়। তাহলে জেনে-বুঝে আবেদন করতে নিবন্ধনপ্রত্যাশীদের সুবিধা হবে। যাহোক, ‘এনটিআরসিএ’ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই (গত ২৩ জানুয়ারি) ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাথে সাথেই আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সময়ও খুব অল্প দিয়েছে (আবেদনের শেষ তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি)। দরকার ছিল আসন্ন গণবিজ্ঞপ্তি ও ১৬তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া! এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিজের বেলায় নিয়ম-কানুনের কথা বলে, কিন্তু নিবন্ধনধারীদের যৌক্তিক দাবি ও বিভিন্ন সমস্যার কথা বিভিন্ন সময় বিবেচনায় নেয়া হয় না। যাহোক, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর লক্ষ লক্ষ নিবন্ধন সনদধারীর মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। আবার বিভিন্ন সময় এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিবেচনাহীন সিদ্ধান্তে হাজার হাজার শিক্ষক নিবন্ধনধারীর কপাল পুড়েছে! আশাকরি এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিজের স্বার্থ নয়, বেকার চাকরিপ্রত্যাশী লাখ লাখ তরুণের কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

[লেখক : কলাম লেখক ও পরিবেশকর্মী; সদস্য, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)]

sadonsarker2005@gmail.com

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

এনটিআরসিএর ‘পকেট কাটা’ নিয়োগ প্রক্রিয়া ও কিছু প্রশ্ন

সাধন সরকার

আমি এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) একজন শিক্ষক নিবন্ধনধারী এবং চাকরিপ্রত্যাশী। এনটিআরসিএর ‘পকেট কাটা’ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গত প্রায় দুই-তিন বছর ধরে বেকার চাকরিপ্রত্যাশী লাখ লাখ তরুণদের মধ্যে অসহায়ত্ব কাজ করছে। বেকারদের জিম্মি করে এনটিআরসিএর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ব্যবসায়িক মনোভাব বাংলাদেশে তো বটেই, পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে কিনা সন্দেহ! নিবন্ধনধারী তরুণদের কত-শত প্রতিবাদ, আবেদন-নিবেদন সত্ত্বেও এনটিআরসিএ এই ব্যাপারে নির্বিকার! এছাড়া এনটিআরসিএর আরও কিছু পরিকল্পনাহীন পদক্ষেপের ফলে নিবন্ধনধারীদের মনে ব্যাপক হতাশার তৈরি হয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো-

যত খুশি তত আবেদন নয়, নিবন্ধিত শিক্ষকদের একটি আবেদনে নিয়োগ হোক

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (স্কুল, স্কুল-২, কলেজ পর্যায়) শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে ‘এনটিআরসিএ’ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) খুব শীঘ্রই গণবিজ্ঞপ্তি (১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদেরসহ) জারি করতে যাচ্ছে। ধারণা করা যায়, গণবিজ্ঞপ্তি জারির সাথে সাথেই পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। যার অর্থ হলো, আবার যত খুশি তত আবেদন! কেননা গতবারের অর্থাৎ ২০১৮ সালের নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগের (১-১৪ তম নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের জন্য) উদ্দেশ্যে যে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল সেখানে যত খুশি তত আবেদনের কথা বলা হয়েছিল। ২০১৬ সালের গণবিজ্ঞপ্তিতেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল। সহজ করে বললে, এর মাধ্যমে বেকার চাকরিপ্রত্যাশীদের ‘পকেট কাটা’ হয়েছিল! বলা হয়েছিল, সব নিবন্ধনধারী পদের ধরন ঠিক রেখে শূন্য পদ সাপেক্ষে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে। যার ফলে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার টাকা খরচ করেও আবেদন প্রক্রিয়ার মারপ্যাঁচে অনেক মেধাবী নিবন্ধনধারীরও চাকরি হয়নি। যাদের মেধাতালিকা একটু পিছনের দিকে ছিল চাকরির আশায় তাদের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য আরও বেশি অর্থ (লক্ষ টাকারও বেশি!) খরচ করতে হয়েছে। অনেকে শত শত প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেও স্বাভাবিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয়েছে। প্রশ্ন হলো, কেন একটি পদে চাকরির আশায় একাধিক প্রতিষ্ঠানে তথা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদন করতে হবে? একটি আবেদনের মাধ্যমে কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না? আসল কথা হলো, লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রত্যাশী নিবন্ধনধারীদের আবেদনের প্রতিযোগিতায় নামিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। একজন পরীক্ষার্থীকে শুরুতে টাকা দিয়ে আবেদন করে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিয়োগের সময় চাকরি পেতে আবার কেন হাজার হাজার টাকা খরচ করে আবেদন করতে হবে? তাও আবার একটি আবেদন না, যত খুশি তত আবেদন। কেননা একাধিক আবেদন না করলে মেধাবী নিবন্ধনধারীরও চাকরি ফসকে যেতে পারে!

বাংলাদেশের আর কোনো চাকরিতে এমন ‘পকেট কাটা’ নিয়োগ প্রক্রিয়া আছে বলে জানা নেই! এমন ভাগ্য যাচাইয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ম্যারপ্যাঁচে মেধাতালিকার অনেকে নিচে অবস্থান করে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে, আবার মেধাতালিকার উপরের দিকে অবস্থান করেও অনেকের চাকরি হচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, তাহলে মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে নাকি টাকারও মূল্যায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য চাকরিতে একটি আবেদনের মাধ্যমে চাকরি হলে শিক্ষক নিবন্ধনে হবে না কেন? নাকি বেকার চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিতেই হবে! আরও সহজে ব্যাখ্যা করে যদি বলি, একটি প্রতিষ্ঠানে একটি পদে ২৫ জন চাকরিপ্রত্যাশী নির্দিষ্ট অর্থ খরচ করে আবেদন করলেও (কেননা কেউ জানে না কে কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করবে অথবা কার চাকরি হবে!) চাকরি হবে একজনের, বাকি ২৪ জনের আবেদনের কষ্টের টাকা (প্রতিটি আবেদন ১৮০+ টাকা করে) নষ্ট হবে! পরিশেষে একটি প্রতিষ্ঠানে তো নিয়োগ হবে তাহলে কেন একটি আবেদনের টাকা রাখা হবে না? শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্বল করে প্রায় ৫ লক্ষের বেশি বেকার নিবন্ধনধারীদের প্রতি এনটিআরসিএর এই ‘পকেট কাটার’ প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত। নিবন্ধনধারীদের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদ সাপেক্ষে নিজ উপজেলা, জেলা, বিভাগে নিয়োগ দেওয়া উচিত। আর এভাবে যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া (একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন অর্থ হলো যত খুশি তত আবেদন) রাখতেই হয় তাহলে আবেদন যতই হোক না কেন একটি আবেদনের টাকা রাখলেই তো হয়। এনটিআরসিএর কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদনে এভাবে অসহায় বেকারদের পকেট কাটবেন না, মেধাবী নিবন্ধিতদের লটারির মতো করে ভাগ্য নির্ধারণ করবেন না! প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদন নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশোধন করে বিষয়ভিত্তিক একটি আবেদনের ভিত্তিতে মেধাতালিকা অনুসারে নিবন্ধনধারীদের অতি দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।

এনটিআরসিএর ভাইভার গুরুত্ব কতটুকু

এনটিআরসিএর ভাইভার নম্বর যোগ হয় না। কেননা লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মূলত জাতীয় মেধাতালিকা করে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশ্ন হলো, যে ভাইভার নম্বর যোগ করা হয় না সে ভাইভা নিয়ে লাভ কী? তবে মজার বিষয় হলো, ভাইভাতে তিন ক্যাটাগরির (স্কুল, স্কুল-২, কলেজ পর্যায়) শত শত প্রার্থীকে ফেলও পর্যন্ত করানো হয়। যে ভাইভার নম্বর যোগ হয় না, সে ভাইভাতে প্রার্থীদের ফেল করানোর অধিকার কী আছে? ভাইভার এত আয়োজন ও সময় নষ্ট করে লাভ কী হচ্ছে? প্রশ্ন হলো, যেখানে অন্যান্য সব চাকরির পরীক্ষায় তো ভাইভার নম্বর যোগ করা হচ্ছে। তাহলে শিক্ষক নিবন্ধনে হবে না কেন? ১৩ তম শিক্ষক নিবন্ধন থেকে তিন ধাপে (প্রিলি, লিখিত, ভাইভা) একজন চাকরি প্রার্থীকে পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করা হয়। এর আগের নিবন্ধনগুলোতে (১-১২তম) শুধু প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতো। ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা থেকে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে নিবন্ধনধারীদের চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। আর এই জাতীয় মেধাতালিকায় থাকে শুরু থেকে অর্থাৎ প্রথম নিবন্ধন থেকে বর্তমান নিবন্ধনধারীরা(১-১৫তম পর্যন্ত শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা)। প্রশ্ন হলো, নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই প্রথম থেকে ১২তম পর্যন্ত নিবন্ধনধারীদের(তখন ভাইভা নেয়া হতো না) সাথে যেহেতু ১৩ (১৩তম নিবন্ধন থেকে ভাইভা শুরু), ১৪ ও ১৫তম নিবন্ধনধারীদের একসাথে মিলিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া যেহেতু শুরু করা হবে তাহলে আলাদাভাবে ঘটা করে কেন বর্তমানে ভাইভা নেয়া হচ্ছে এবং সে ভাইভাতে ফেল করানো হচ্ছে? ভাইভা নেয়ার ফলে এবং পরীক্ষা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ফলে ১৩ ও ১৪তমদের একক নিয়োগের আশ্বাসও এনটিআরসিএ থেকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে (১৩, ১৪তম নিবন্ধনধারীদের) কোনো একক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়নি। একক নিয়োগ যখন নাই-ই হবে তবে পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে লাভ কী হলো? যাই-ই হোক, এখন জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, হয় ভাইভার নম্বর মোট নম্বরের সাথে যোগ করা হোক অন্যথায় গুরুত্বহীন ভাইভা পরীক্ষা বাদ দেয়া হোক।

বয়স ৩৫ পার হওয়া নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের সমাধান কোন পথে

আরও একটি জটিল সমস্যা হলো, আবেদনে নতুন শর্ত হিসেবে ৩৫ প্লাস বয়সধারীদের (৩৫+ বয়সী লক্ষাধিক নিবন্ধনধারী) অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী এবারও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবে না। বয়স ৩৫ পার হওয়া নিবন্ধনধারীদের দোষটা কী? যখন (২০১৮ সালের নীতিমালার আগে) চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল তখন তো নির্দিষ্ট বয়সের কথা বলা হয়নি। এখন আবেদন করার সময় বয়স ৩৫ পার হওয়ার কারণে বাদ পড়া অনেকের শিক্ষাজীবনে চারটিতে প্রথম শ্রেণি আছে। আবার স্কুল-কলেজের নিবন্ধনে বাদ পড়া অনেকের মেধা তালিকা প্রথমসারির দিকে (২য়, ৩য়, ৬ষ্ঠ ...)। তাদের যদি সদ্য নীতিমালার বেড়াজালে আটকিয়ে বাদ দেওয়া হয় তাহলে এ দুঃখ তারা কোথায় রাখবে? ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালায় বয়স ৩৫ পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে কিন্তু এর আগে যাদের নিবন্ধন সনদ আছে তাদের তো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেয়া উচিত। কেননা এ ব্যাপারে নিবন্ধনধারীদের যুক্তিই সঠিক। কেননা চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে সবাই আবেদন করে। কবে, কখন, কোথায় নিয়োগ হবে এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে।

নারী কোটা ও নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান উল্লেখ

গণবিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত আবেদনের সময় যে পদে আবেদন করা হয় সে পদটি নারী কোটা না পুরুষ কোটা আবার এমপিও না নন-এমপিও; অনেক সময় এটা বোঝা যায় না। দেখা গেছে, আবেদন করার পর অনেক পুরুষ প্রার্থী চাকরিতে (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে) যোগ দিতে গিয়ে দেখে পদটি নারী কোটার। আবার অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে দেখে পদটি নন-এমপিও। এমনটি হওয়ার ফলে অনেক প্রার্থী ব্যাপক হয়রানি ও সমস্যার শিকার হয়েছে। অনেকের চাকরি হয়েও চলে গেছে! অনেকে আবার নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে বছরের পর ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন। এনটিআরসিএর কাছে আকুল আবেদন, যখন চূড়ান্ত আবেদনে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান দেখে যখন একজন প্রার্থী আবেদন করবে সেখানে প্রতিষ্ঠানের পাশে কিংবা অন্য কোনো ভাবে যেন স্পষ্টভাবে লেখা থাকে পদটি নারী বা পুরুষ কোটা। আবার একইভাবে যেন লেখা থাকে পদটি এমপিও বা নন-এমপিও। তাহলে নিবন্ধনধারীরা যেমন দেখেশুনে আবেদন করতে পারবে, তেমনি হয়রানি ও সমস্যা কিছুটা হলেও এড়াতে পারবে।

সবচেয়ে ভালো হয় যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদের তালিকা আগেই দিয়ে দেয়া হয়। তাহলে জেনে-বুঝে আবেদন করতে নিবন্ধনপ্রত্যাশীদের সুবিধা হবে। যাহোক, ‘এনটিআরসিএ’ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই (গত ২৩ জানুয়ারি) ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাথে সাথেই আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সময়ও খুব অল্প দিয়েছে (আবেদনের শেষ তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি)। দরকার ছিল আসন্ন গণবিজ্ঞপ্তি ও ১৬তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া! এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিজের বেলায় নিয়ম-কানুনের কথা বলে, কিন্তু নিবন্ধনধারীদের যৌক্তিক দাবি ও বিভিন্ন সমস্যার কথা বিভিন্ন সময় বিবেচনায় নেয়া হয় না। যাহোক, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর লক্ষ লক্ষ নিবন্ধন সনদধারীর মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। আবার বিভিন্ন সময় এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিবেচনাহীন সিদ্ধান্তে হাজার হাজার শিক্ষক নিবন্ধনধারীর কপাল পুড়েছে! আশাকরি এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিজের স্বার্থ নয়, বেকার চাকরিপ্রত্যাশী লাখ লাখ তরুণের কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

[লেখক : কলাম লেখক ও পরিবেশকর্মী; সদস্য, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)]

sadonsarker2005@gmail.com