দুই দিন বিরতিতে কমেছে সূচক ও লেনদেন

মূল্যসংশোধন বলছেন সংশ্লিষ্টরা

সপ্তাহের প্রথম দুই দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে পতন হয়েছে। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এতে দিন শেষে সূচক কমেছে দুই বাজারেই। এছাড়া কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২৭.৪৮ পয়েন্ট আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৬৯ পয়েন্ট। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ৫২ কোটি টাকা, আর সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৭তম কমিশন বৈঠকে ‘ইবিএল এএমএল ফার্স্ট ইউনিট ফান্ড- এর অনুমোদনসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গ্রামীণফোনের (জিপি) শেয়ার দাম ১৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাড়ে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ৩২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট। ওই দিন ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছিল ২৫.৩৯ পয়েন্ট। কোম্পানিটিই মঙ্গলবার ডিএসইতে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমেছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এ দাম কমার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৯ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট। ‘জিপির সিম আর পাওয়া যাবে না’ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে বকেয়া নিয়ে চলামান দ্বন্দ্বের মধ্যে এমন সংবাদে শেয়ারবাজরে কোম্পানিটির বড় দরপতন হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী মতে গতকালের দরপতন স্বাভাবিক ‘মূল্য সংশোধন’। টানা দাম বাড়ার কারণে এখন কিছুটা মূল্য সংশোধন হলো। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কের কোন কারণ নেই। এছাড়া অনেকে বলছেন, শেয়ারবাজারের ওপরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও সেভাবে ফেরেনি। যে কারণে বাজার একটু ঊর্ধ্বমুখী থাকলেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। গতকালও তাই হয়েছিল। লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় এক পর্যায়ে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এ কারণেই সূচকের পতন হয়েছে।

মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে সূচকেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। প্রথম আধ ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। সেই সঙ্গে পতন হয় ডিএসইর সবকটি মূল্য সূচকের।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩৫৬টি কোম্পানির ১৭ কোটি ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৮২৩টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ৪৫৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৪৬ টাকা। আগের দিন বাজারটিতে লেনদেন হয়েছিল ৫০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

গতকাল ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৭.৪৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৭৯.৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৯.৮৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫২৬.৩০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৩.৪৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১.৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার।

লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, বিবিএস ক্যাবলস, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, কেপিসিএল, এডিএন টেলিকম, ওআইমেক্স ইলেকট্রোডস ও ভিএফএস থ্রেড। দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- জেমিনি সি ফুড, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মি.ফা. মুন্নু সিরামিক, মুন্নু স্টাফলার, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মি.ফা. ফু-ওয়াং ফুড, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মি.ফা. সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মি.ফা. ও বেঙ্গল উইন্ডসোর। অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- ঢাকা ডাইং, তাল্লু স্পিনিং, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, জিবিবি পাওয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, মিথুন নিটিং, প্রগতী ইন্স্যুরেন্স, তুংহাই নিটিং, জেনেক্স ইনফোসিস ও তাক্কাফুল ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৪২ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন বাজারটিতে লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।

ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ১০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের। ব্র্যাক ব্যাংক ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মা ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লক লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- কনফিডেন্স সিমেন্ট, ম্যারিকো, এম.এল ডাইং, নর্দার্ন জুট, পাইনিয়র ইন্স্যুরেন্স, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১

দুই দিন বিরতিতে কমেছে সূচক ও লেনদেন

মূল্যসংশোধন বলছেন সংশ্লিষ্টরা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

image

সপ্তাহের প্রথম দুই দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে পতন হয়েছে। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এতে দিন শেষে সূচক কমেছে দুই বাজারেই। এছাড়া কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২৭.৪৮ পয়েন্ট আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৬৯ পয়েন্ট। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ৫২ কোটি টাকা, আর সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৭তম কমিশন বৈঠকে ‘ইবিএল এএমএল ফার্স্ট ইউনিট ফান্ড- এর অনুমোদনসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গ্রামীণফোনের (জিপি) শেয়ার দাম ১৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাড়ে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ৩২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট। ওই দিন ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছিল ২৫.৩৯ পয়েন্ট। কোম্পানিটিই মঙ্গলবার ডিএসইতে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমেছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এ দাম কমার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৯ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট। ‘জিপির সিম আর পাওয়া যাবে না’ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে বকেয়া নিয়ে চলামান দ্বন্দ্বের মধ্যে এমন সংবাদে শেয়ারবাজরে কোম্পানিটির বড় দরপতন হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী মতে গতকালের দরপতন স্বাভাবিক ‘মূল্য সংশোধন’। টানা দাম বাড়ার কারণে এখন কিছুটা মূল্য সংশোধন হলো। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কের কোন কারণ নেই। এছাড়া অনেকে বলছেন, শেয়ারবাজারের ওপরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও সেভাবে ফেরেনি। যে কারণে বাজার একটু ঊর্ধ্বমুখী থাকলেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। গতকালও তাই হয়েছিল। লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় এক পর্যায়ে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এ কারণেই সূচকের পতন হয়েছে।

মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে সূচকেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। প্রথম আধ ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। সেই সঙ্গে পতন হয় ডিএসইর সবকটি মূল্য সূচকের।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩৫৬টি কোম্পানির ১৭ কোটি ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৮২৩টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ৪৫৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৪৬ টাকা। আগের দিন বাজারটিতে লেনদেন হয়েছিল ৫০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

গতকাল ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৭.৪৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৭৯.৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৯.৮৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫২৬.৩০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৩.৪৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১.৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার।

লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, বিবিএস ক্যাবলস, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, কেপিসিএল, এডিএন টেলিকম, ওআইমেক্স ইলেকট্রোডস ও ভিএফএস থ্রেড। দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- জেমিনি সি ফুড, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মি.ফা. মুন্নু সিরামিক, মুন্নু স্টাফলার, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মি.ফা. ফু-ওয়াং ফুড, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মি.ফা. সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মি.ফা. ও বেঙ্গল উইন্ডসোর। অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- ঢাকা ডাইং, তাল্লু স্পিনিং, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, জিবিবি পাওয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, মিথুন নিটিং, প্রগতী ইন্স্যুরেন্স, তুংহাই নিটিং, জেনেক্স ইনফোসিস ও তাক্কাফুল ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৪২ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন বাজারটিতে লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।

ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ১০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের। ব্র্যাক ব্যাংক ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মা ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লক লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- কনফিডেন্স সিমেন্ট, ম্যারিকো, এম.এল ডাইং, নর্দার্ন জুট, পাইনিয়র ইন্স্যুরেন্স, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।