সম্পদের বিপরীতে আয় কমেছে ব্যাংকের

ব্যাংকিং খাতে ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে সেপ্টেম্বরে শেষে তফসিলি ব্যাংকের মুনাফা দেয়ার ক্ষমতা কমে এসেছে। একদিকে কমেছে সম্পদের বিপরীতে মুনাফার হার। অন্যদিকে কমেছে মূলধনের বিপরীতে নিট আয়। ব্যাংকিং খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ায় মুনাফা দেয়ার সক্ষমতাও কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলির মূলধনের বিপরীতে আয় বা রিটার্ন অন ইক্যুইটি দাঁড়িয়েছে ঋণাত্বক ১ দশমিক ৯ শতাংশ। কিন্তু তিন মাস আগেও (এপ্রিল-জুন প্রন্তিক) এটা ছিল ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের সম্পদের বিপরীতে আয় বা রিটার্ন অন অ্যাসেট শূন্য দশমিক ২ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে। ব্যাংকাররা বলছেন, ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে পুরো ব্যাংক খাতের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

২০১৮ সাল শেষে যেখানে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২২ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৯ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সম্পদের বিপরীতে আয় কমেছে ব্যাংকের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

ব্যাংকিং খাতে ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে সেপ্টেম্বরে শেষে তফসিলি ব্যাংকের মুনাফা দেয়ার ক্ষমতা কমে এসেছে। একদিকে কমেছে সম্পদের বিপরীতে মুনাফার হার। অন্যদিকে কমেছে মূলধনের বিপরীতে নিট আয়। ব্যাংকিং খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ায় মুনাফা দেয়ার সক্ষমতাও কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলির মূলধনের বিপরীতে আয় বা রিটার্ন অন ইক্যুইটি দাঁড়িয়েছে ঋণাত্বক ১ দশমিক ৯ শতাংশ। কিন্তু তিন মাস আগেও (এপ্রিল-জুন প্রন্তিক) এটা ছিল ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের সম্পদের বিপরীতে আয় বা রিটার্ন অন অ্যাসেট শূন্য দশমিক ২ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে। ব্যাংকাররা বলছেন, ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে পুরো ব্যাংক খাতের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

২০১৮ সাল শেষে যেখানে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২২ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও অনেক বেশি।