হানিফ সংকেতের ‘টনক নড়াতে টনিক’

এবারের অমর একুশের বইমেলায়ও বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও লেখক হানিফ সংকেত এর একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘টনক নড়াতে টনিক’। ২০১৯ সালে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে হানিফ সংকেতের প্রকাশিত লেখার সংকলন নিয়েই এই ‘টনক নড়াতে টনিক’ বই। এটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। ‘টনক নড়াতে টনিক’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। বইটি এখন বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। উলেখ্য বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে উপন্যাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ইতিপূর্বে হানিফ সংকেতের ৩১টির মত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

হানিফ সংকেত বলেন, ‘মিডিয়াতে আমার শুরুটাই লেখালেখি দিয়ে। আর সেটা সত্তুর দশকের শুরু থেকেই। দর্শকদের ভালোবাসার কারণে ইত্যাদিকে নিয়ে বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সবসময় লিখতে পারি না। কারণ গত ৩২ বছর ধরেই আমাকে একটা সিডিউল মেনে চলতে হচ্ছে। আর সেই সিডিউলটা আমার হাতে নয়, টিভির হাতে। একটি নির্দিষ্ট তারিখে ইত্যাদি প্রচার হয় বলে আমাকে সেই তারিখের পূর্বে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করে জমা দিতে হয়। তবে যতই ব্যস্ত থাকি না কেন মনের ক্ষুধার তাড়নায় চেষ্টা করি সংখ্যায় বেশি না হলেও বছরে অন্তত একটি হলেও বই প্রকাশ করতে।’ ‘টনক নড়াতে টনিক’ বইটি সম্পর্কে হানিফ সংকেত বলেন, ‘খনক করে বাজলে কাঁকন, টনক নড়ে কর্তার’-এটা সাংসারিক বিষয়ে একটি প্রচলিত বচন। বিশেষ কোনো কাজে অমনোযোগী কর্তার দৃষ্টি আকর্ষণে কর্ত্রীর একটি কৌশল এই কাঁকন বাদন। আমরা জানি টনক শব্দের অর্থ চৈতন্য, আর এই চৈতন্য ফেরাবার বিষয়টি শুধু কর্তা-গিন্নির মধ্যেই সীমিত নয়। সংসারের ছোট পরিসর থেকে বেরিয়ে এসে আত্মপরিজন, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদেরও অনেক ক্ষেত্রে সময়মত টনক নড়ে না। সামাজিক অসঙ্গতির প্রসঙ্গ কাদের সঙ্গে যুক্ত, ভুক্তভোগী মাত্রেই তা জানেন। কিন্তু তাদের টনক নড়াতে যুক্তিসঙ্গত টনিক, অর্থাৎ শক্তিবর্ধক ওষুধ, প্রয়োগের আয়োগ সবার সামর্থ্যে কুলায় না। তবে এই সামর্থ্যরে অধিকারী আধিকারিকরা সচেষ্ট প্রচেষ্টায় প্রবৃত্ত হলেই টনিক ছাড়াই টনক নড়ানো সম্ভব।’

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৩ ফল্গুন ১৪২৬, ২১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

হানিফ সংকেতের ‘টনক নড়াতে টনিক’

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

এবারের অমর একুশের বইমেলায়ও বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও লেখক হানিফ সংকেত এর একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘টনক নড়াতে টনিক’। ২০১৯ সালে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে হানিফ সংকেতের প্রকাশিত লেখার সংকলন নিয়েই এই ‘টনক নড়াতে টনিক’ বই। এটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। ‘টনক নড়াতে টনিক’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। বইটি এখন বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। উলেখ্য বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে উপন্যাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ইতিপূর্বে হানিফ সংকেতের ৩১টির মত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

হানিফ সংকেত বলেন, ‘মিডিয়াতে আমার শুরুটাই লেখালেখি দিয়ে। আর সেটা সত্তুর দশকের শুরু থেকেই। দর্শকদের ভালোবাসার কারণে ইত্যাদিকে নিয়ে বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সবসময় লিখতে পারি না। কারণ গত ৩২ বছর ধরেই আমাকে একটা সিডিউল মেনে চলতে হচ্ছে। আর সেই সিডিউলটা আমার হাতে নয়, টিভির হাতে। একটি নির্দিষ্ট তারিখে ইত্যাদি প্রচার হয় বলে আমাকে সেই তারিখের পূর্বে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করে জমা দিতে হয়। তবে যতই ব্যস্ত থাকি না কেন মনের ক্ষুধার তাড়নায় চেষ্টা করি সংখ্যায় বেশি না হলেও বছরে অন্তত একটি হলেও বই প্রকাশ করতে।’ ‘টনক নড়াতে টনিক’ বইটি সম্পর্কে হানিফ সংকেত বলেন, ‘খনক করে বাজলে কাঁকন, টনক নড়ে কর্তার’-এটা সাংসারিক বিষয়ে একটি প্রচলিত বচন। বিশেষ কোনো কাজে অমনোযোগী কর্তার দৃষ্টি আকর্ষণে কর্ত্রীর একটি কৌশল এই কাঁকন বাদন। আমরা জানি টনক শব্দের অর্থ চৈতন্য, আর এই চৈতন্য ফেরাবার বিষয়টি শুধু কর্তা-গিন্নির মধ্যেই সীমিত নয়। সংসারের ছোট পরিসর থেকে বেরিয়ে এসে আত্মপরিজন, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদেরও অনেক ক্ষেত্রে সময়মত টনক নড়ে না। সামাজিক অসঙ্গতির প্রসঙ্গ কাদের সঙ্গে যুক্ত, ভুক্তভোগী মাত্রেই তা জানেন। কিন্তু তাদের টনক নড়াতে যুক্তিসঙ্গত টনিক, অর্থাৎ শক্তিবর্ধক ওষুধ, প্রয়োগের আয়োগ সবার সামর্থ্যে কুলায় না। তবে এই সামর্থ্যরে অধিকারী আধিকারিকরা সচেষ্ট প্রচেষ্টায় প্রবৃত্ত হলেই টনিক ছাড়াই টনক নড়ানো সম্ভব।’