জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সেবাগুলো চলমান রাখার আহ্বান ই-ক্যাবের

সারাবিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসের আক্রমনে এক জটিল সংকটে রয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সদস্য কোম্পানীগুলোকে তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমাজের নিরাপত্তায় করনীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং যারা নিত্যপণ্য, ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রয় এবং ডেলিভারীর সঙ্গে জড়িত তাদের সেবা অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানিয়েছে। এই অবস্থায় নিত্যপণ্য, ঔষধ সামগ্রী ভিত্তিক ই-কমার্স কোম্পানি, ডেলিভারি সেবা প্রদানকারী লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ পোস্ট অফিসকে সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কতৃপক্ষকে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ই-ক্যাবের সেক্রেটারি আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, জরুরি প্রয়োজনে যাতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি সেজন্য আমরা ই-ক্যাব থেকে অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছি: ১. বাংলাদেশ পোস্ট অফিসসহ দেশের সকল ডেলিভারি কোম্পানিগুলো একত্রে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছি যার মাধ্যমে মানুষের হাতে ই-কমার্সের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ পৌঁছে দিতে পারি। ২. ডেলিভারি কাজে যে সকল কর্মী বিভিন্ন লজিস্টিক ও ই-কমার্স কোম্পানীতে কাজ করছেন তাদেরকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়া এবং ওয়্যারহাউজগুলোকে সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। ৩. গুরুত্বপূর্ণ সেইফটি ইকুইপমেন্ট প্রস্তুতকারী এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ডাটাবেজ তৈরি করছি। যাতে এসব জিনিস যাদের প্রয়োজন এবং যারা উৎপাদন ও বিক্রয় করেন তাদের মধ্যে সংযোগ তৈরী করা যায়। ৪. ই-কমার্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি ডেডিকেটেড হেল্প সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি। যাতে জরুরী অবস্থায় তারা বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ পায়। ৫. একটি ই-বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার তৈরি করছি যার মাধ্যমে ঘরে বসে মানুষ ই-লার্নিং এবং ই-বিজনেস সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা পাওয়া যাবে। ৬. ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষা করার জন্য একটি কমপ্লেইন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। ৭. মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে সচেতন করে তোলার জন্য একটি অনলাইন ভলান্টিয়ার টিম তৈরি করছি। ৮. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য সরকারি-বেসরকারি ফান্ড এবং ডোনেশন কালেকশন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ৯. একটি ই-কমার্স রিসার্চ টিম তৈরি করছি যারা বিভিন্ন ডাটা এনালাইসিস করে জরুরী প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। ১০. জরুরি অবস্থায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এটুআই, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০ , ১৬ চৈত্র ১৪২৬, ৩০ রজব সানি ১৪৪১

জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সেবাগুলো চলমান রাখার আহ্বান ই-ক্যাবের

সারাবিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসের আক্রমনে এক জটিল সংকটে রয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সদস্য কোম্পানীগুলোকে তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমাজের নিরাপত্তায় করনীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং যারা নিত্যপণ্য, ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রয় এবং ডেলিভারীর সঙ্গে জড়িত তাদের সেবা অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানিয়েছে। এই অবস্থায় নিত্যপণ্য, ঔষধ সামগ্রী ভিত্তিক ই-কমার্স কোম্পানি, ডেলিভারি সেবা প্রদানকারী লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ পোস্ট অফিসকে সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কতৃপক্ষকে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ই-ক্যাবের সেক্রেটারি আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, জরুরি প্রয়োজনে যাতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি সেজন্য আমরা ই-ক্যাব থেকে অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছি: ১. বাংলাদেশ পোস্ট অফিসসহ দেশের সকল ডেলিভারি কোম্পানিগুলো একত্রে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছি যার মাধ্যমে মানুষের হাতে ই-কমার্সের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ পৌঁছে দিতে পারি। ২. ডেলিভারি কাজে যে সকল কর্মী বিভিন্ন লজিস্টিক ও ই-কমার্স কোম্পানীতে কাজ করছেন তাদেরকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়া এবং ওয়্যারহাউজগুলোকে সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। ৩. গুরুত্বপূর্ণ সেইফটি ইকুইপমেন্ট প্রস্তুতকারী এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ডাটাবেজ তৈরি করছি। যাতে এসব জিনিস যাদের প্রয়োজন এবং যারা উৎপাদন ও বিক্রয় করেন তাদের মধ্যে সংযোগ তৈরী করা যায়। ৪. ই-কমার্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি ডেডিকেটেড হেল্প সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি। যাতে জরুরী অবস্থায় তারা বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ পায়। ৫. একটি ই-বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার তৈরি করছি যার মাধ্যমে ঘরে বসে মানুষ ই-লার্নিং এবং ই-বিজনেস সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা পাওয়া যাবে। ৬. ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষা করার জন্য একটি কমপ্লেইন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। ৭. মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে সচেতন করে তোলার জন্য একটি অনলাইন ভলান্টিয়ার টিম তৈরি করছি। ৮. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য সরকারি-বেসরকারি ফান্ড এবং ডোনেশন কালেকশন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ৯. একটি ই-কমার্স রিসার্চ টিম তৈরি করছি যারা বিভিন্ন ডাটা এনালাইসিস করে জরুরী প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। ১০. জরুরি অবস্থায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এটুআই, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।