ঝুঁকিপূর্ণ এপ্রিলে সবাইকে কঠোরভাবে সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর এক মাস পার হয়নি। এজন্য চলতি মাস বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, যেহেতু আমরা সফলভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছি না, তাই এপ্রিলজুড়ে আমরা ঝুঁকির মধ্যে আছি। কেউই নিরাপদ নই। সবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সতর্ক থাকতে হবে। গত শনিবার গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে মানুষ বিষয়টিকে আমলে নেয়নি বা গুরুত্ব দেয়নি। যার ফলে আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে আর মৃতের সংখ্যা ৯ জন। অর্থাৎ এ নিয়ে অবহেলা এবং গাফিলতি ছিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেটা বলেছেন, সেটা উদ্বেগজনক। যখন থেকে করোনায় ধীরে ধীরে মানুষ আক্রান্ত হওয়া শুরু করেছে তখনও কেউ সরকারি কোন নির্দেশনা মেনে চলেনি। পরে গত ২৬ মার্চ থেকে যখন সরকার সারা দেশ লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে তখন থেকে মানুষের মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা গেলেও পরে লকডাউনের মধ্যেও মানুষজন আবার আগের মতো বাড়ির বাইরে কোন কাজ ছাড়াই চলাফেরা শুরু করে দিয়েছিল। পরিস্থিতি বুঝে সরকার আরও কঠোর হওয়ার পর বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারা দুনিয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ঘরে থাকার নির্দেশনা অমান্য করে কেউ অকারণে বাইরে এলে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট কেউ বাইরে বের হলে প্রয়োজনে গুলি করার জন্য সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের জীবন বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ অনুভূত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশেও গত বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক দূরত্ব এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।

আমাদের সমস্যাটা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষই উদাসীন। কেউ মানছে তো কেউ মানছে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যদিও সরকার বারবার এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ এ বিষয়টিকে অবহেলা করছে। যেহেতু চলতি মাস আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভয়াবহ হতে পারে সেহেতু এ মাসে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এবং যেন মেনে চলতে বাধ্য হয় সরকারকেই কঠোর হতে হবে। আর এটা নিশ্চিত করতে হবে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। অসহায়, গরিবদের একটা সিস্টেমের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনসহ প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালনের মধ্য দিয়ে বিপদ ও ঝুঁকি কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টাই হোক এ মুহূর্তে করণীয়।

সোমবার, ০৬ এপ্রিল ২০২০ , ২৩ চৈত্র ১৪২৬, ১১ শাবান ১৪৪১

ঝুঁকিপূর্ণ এপ্রিলে সবাইকে কঠোরভাবে সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর এক মাস পার হয়নি। এজন্য চলতি মাস বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, যেহেতু আমরা সফলভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছি না, তাই এপ্রিলজুড়ে আমরা ঝুঁকির মধ্যে আছি। কেউই নিরাপদ নই। সবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সতর্ক থাকতে হবে। গত শনিবার গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে মানুষ বিষয়টিকে আমলে নেয়নি বা গুরুত্ব দেয়নি। যার ফলে আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে আর মৃতের সংখ্যা ৯ জন। অর্থাৎ এ নিয়ে অবহেলা এবং গাফিলতি ছিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেটা বলেছেন, সেটা উদ্বেগজনক। যখন থেকে করোনায় ধীরে ধীরে মানুষ আক্রান্ত হওয়া শুরু করেছে তখনও কেউ সরকারি কোন নির্দেশনা মেনে চলেনি। পরে গত ২৬ মার্চ থেকে যখন সরকার সারা দেশ লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে তখন থেকে মানুষের মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা গেলেও পরে লকডাউনের মধ্যেও মানুষজন আবার আগের মতো বাড়ির বাইরে কোন কাজ ছাড়াই চলাফেরা শুরু করে দিয়েছিল। পরিস্থিতি বুঝে সরকার আরও কঠোর হওয়ার পর বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারা দুনিয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ঘরে থাকার নির্দেশনা অমান্য করে কেউ অকারণে বাইরে এলে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট কেউ বাইরে বের হলে প্রয়োজনে গুলি করার জন্য সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের জীবন বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ অনুভূত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশেও গত বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক দূরত্ব এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।

আমাদের সমস্যাটা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষই উদাসীন। কেউ মানছে তো কেউ মানছে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যদিও সরকার বারবার এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ এ বিষয়টিকে অবহেলা করছে। যেহেতু চলতি মাস আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভয়াবহ হতে পারে সেহেতু এ মাসে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এবং যেন মেনে চলতে বাধ্য হয় সরকারকেই কঠোর হতে হবে। আর এটা নিশ্চিত করতে হবে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। অসহায়, গরিবদের একটা সিস্টেমের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনসহ প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালনের মধ্য দিয়ে বিপদ ও ঝুঁকি কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টাই হোক এ মুহূর্তে করণীয়।