করোনা মোকাবিলায় করণীয়

নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকারের কাছে তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত দাবিগুলো হচ্ছে- মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সরাসরি অর্থ সাহায্য দেয়া, সর্বদলীয় জাতীয় কমিটি গঠন করা এবং দেশব্যাপী কোভিড-১৯ রোগের পরীক্ষার ব্যাপক সুযোগ তৈরি করা। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

যেসব দাবি জানানো হয়েছে তা নতুন নয়। দেশে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরপরই বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় উল্লিখিত দাবি জানিয়েছে। কোভিড-১৯ নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ঝুঁকিও তৈরি করেছে। নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বিপুলসংখ্যক মানুষ এখনই অভাব-অনটনের শিকার হয়েছে। সরকার দ্রুত ত্রাণ কার্যক্রম গ্রহণ করলেও অনেকের কাছেই ত্রাণ পৌঁছায়নি। ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর মিলছে প্রতিদিনই। আবার বিপুলসংখ্যক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ায় ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকে মনে করছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে সরাসরি অর্থ পৌঁছে দেয়া জরুরি। আমরা মনে করি, বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে পারে। এর ফলে অনিয়ম-দুর্নীতির লাগামও টেনে ধরা যাবে।

বিএনপি আরো আগেই সর্বদলীয় জাতীয় কমিটি গঠনের কথা বলেছে। তবে সরকারের মধ্যে এ নিয়ে কোন চিন্তা আছে বলে মনে হয় না। দলগুলোর অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে, দেশের কোন ধরনের বাস্তবতাতেই তারা এক হতে রাজি নয়। সরকার অভিযোগ করছে, বিরোধীরা গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলছে। বিরোধীরা বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বলতে চাই, নভেল করোনাভাইরাস আর দশটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নয়, এ পরিস্থিতিতে দোষারোপের খেলা বন্ধ করে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

শুরুর তুলনায় এখন কোভিড-১৯ শনাক্ত করার সুযোগ বেড়েছে। তবে এটা যথেষ্ট নয়। আমরা মনে করি, পরীক্ষার সুযোগ ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত বিস্তৃত করা অত্যন্ত জরুরি। অন্ততপক্ষে ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এক বা দুই মাসে করোনাভাইরাস বিদায় নেবে না বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুশিয়ার করেছে। যতদিন না ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করে যেতেই হবে। কাজেই এ বিষয়ে সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০ , ৩০ চৈত্র ১৪২৬, ১৮শাবান ১৪৪১

করোনা মোকাবিলায় করণীয়

নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকারের কাছে তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত দাবিগুলো হচ্ছে- মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সরাসরি অর্থ সাহায্য দেয়া, সর্বদলীয় জাতীয় কমিটি গঠন করা এবং দেশব্যাপী কোভিড-১৯ রোগের পরীক্ষার ব্যাপক সুযোগ তৈরি করা। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

যেসব দাবি জানানো হয়েছে তা নতুন নয়। দেশে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরপরই বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় উল্লিখিত দাবি জানিয়েছে। কোভিড-১৯ নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ঝুঁকিও তৈরি করেছে। নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বিপুলসংখ্যক মানুষ এখনই অভাব-অনটনের শিকার হয়েছে। সরকার দ্রুত ত্রাণ কার্যক্রম গ্রহণ করলেও অনেকের কাছেই ত্রাণ পৌঁছায়নি। ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর মিলছে প্রতিদিনই। আবার বিপুলসংখ্যক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ায় ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকে মনে করছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে সরাসরি অর্থ পৌঁছে দেয়া জরুরি। আমরা মনে করি, বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে পারে। এর ফলে অনিয়ম-দুর্নীতির লাগামও টেনে ধরা যাবে।

বিএনপি আরো আগেই সর্বদলীয় জাতীয় কমিটি গঠনের কথা বলেছে। তবে সরকারের মধ্যে এ নিয়ে কোন চিন্তা আছে বলে মনে হয় না। দলগুলোর অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে, দেশের কোন ধরনের বাস্তবতাতেই তারা এক হতে রাজি নয়। সরকার অভিযোগ করছে, বিরোধীরা গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলছে। বিরোধীরা বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বলতে চাই, নভেল করোনাভাইরাস আর দশটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নয়, এ পরিস্থিতিতে দোষারোপের খেলা বন্ধ করে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

শুরুর তুলনায় এখন কোভিড-১৯ শনাক্ত করার সুযোগ বেড়েছে। তবে এটা যথেষ্ট নয়। আমরা মনে করি, পরীক্ষার সুযোগ ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত বিস্তৃত করা অত্যন্ত জরুরি। অন্ততপক্ষে ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এক বা দুই মাসে করোনাভাইরাস বিদায় নেবে না বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুশিয়ার করেছে। যতদিন না ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করে যেতেই হবে। কাজেই এ বিষয়ে সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।