পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগে জিটিএফ ফান্ড গঠন

পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ২০ কোটি ইউরো বা ১ হাজার ৮৩২ কোটি টাকার (১ ইউরো= ৯০.৬ টাকা) গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড (জিটিএফ) গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানা বাস্তবায়নের জন্য রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল এবং টেক্সটাইল পণ্যগুলোতে সমস্ত উৎপাদনকারী সরঞ্জাম এবং চামড়া উৎপাদন খাতে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি ও আনুষাঙ্গিক উপাদান আমদানির সুবিধার্থে এ ফান্ড গঠন করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগের জন্য গঠিত এই ফান্ড থেকে নেয়া ঋণের সুদহার হবে দি ইউরো ইন্টার ব্যাংক অফার রেট (ইউরিবোর)+ ১ শতাংশ। যদি ইউরিবোর ঋণাত্ত্বক হয় তাহলে ১ শতাংশ হারে সুদ কাটবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না কোন ব্যাংক।

জানা গেছে, চামড়া ও টেক্সটাইল শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ২০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (১ ডলার = ৮৫ টাকা)। কিন্তু এই গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড (জিটিএফ) থেকে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর তীব্র অনীহা। এই ফান্ডটি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে চামড়া শিল্পের এই করুণ অবস্থা দেখতে হতো না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই ফান্ড থেকে চামড়া ও টেক্সটাইল শিল্পে ঋণ বিতরণের জন্য ১৯টি ব্যাংক চুক্তি করেছে।

সূত্র জানায়, এই ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট (লাইবর) থেকে এক শতাংশ বেশি সুদ কর্তন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সুদ যুক্ত করে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করতে পারবে যে কোন তফসিলি ব্যাংক। বর্তমানে লাইবর রেট ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। সুতরাং সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ সুদেই এই ফান্ডের ঋণ পাবেন চামড়া বা টেক্সটাইল শিল্পের একজন গ্রাহক। পানি সংরক্ষণ পরিচালনা ও পরিশোধন, সম্পদ সংরক্ষণ এবং পুনর্ব্যবহার, শক্তির পুনর্ব্যবহার, তাপ এবং তাপমাত্রা পরিচালন, বায়ু চলাচল ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হলেও বিতরণে আগ্রহ নেই বেসরকারি ব্যাংকগুলোর।

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩ বৈশাখ ১৪২৭, ২১ শাবান ১৪৪১

পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগে জিটিএফ ফান্ড গঠন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ২০ কোটি ইউরো বা ১ হাজার ৮৩২ কোটি টাকার (১ ইউরো= ৯০.৬ টাকা) গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড (জিটিএফ) গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানা বাস্তবায়নের জন্য রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল এবং টেক্সটাইল পণ্যগুলোতে সমস্ত উৎপাদনকারী সরঞ্জাম এবং চামড়া উৎপাদন খাতে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি ও আনুষাঙ্গিক উপাদান আমদানির সুবিধার্থে এ ফান্ড গঠন করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগের জন্য গঠিত এই ফান্ড থেকে নেয়া ঋণের সুদহার হবে দি ইউরো ইন্টার ব্যাংক অফার রেট (ইউরিবোর)+ ১ শতাংশ। যদি ইউরিবোর ঋণাত্ত্বক হয় তাহলে ১ শতাংশ হারে সুদ কাটবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না কোন ব্যাংক।

জানা গেছে, চামড়া ও টেক্সটাইল শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ২০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (১ ডলার = ৮৫ টাকা)। কিন্তু এই গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড (জিটিএফ) থেকে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর তীব্র অনীহা। এই ফান্ডটি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে চামড়া শিল্পের এই করুণ অবস্থা দেখতে হতো না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই ফান্ড থেকে চামড়া ও টেক্সটাইল শিল্পে ঋণ বিতরণের জন্য ১৯টি ব্যাংক চুক্তি করেছে।

সূত্র জানায়, এই ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট (লাইবর) থেকে এক শতাংশ বেশি সুদ কর্তন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সুদ যুক্ত করে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করতে পারবে যে কোন তফসিলি ব্যাংক। বর্তমানে লাইবর রেট ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। সুতরাং সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ সুদেই এই ফান্ডের ঋণ পাবেন চামড়া বা টেক্সটাইল শিল্পের একজন গ্রাহক। পানি সংরক্ষণ পরিচালনা ও পরিশোধন, সম্পদ সংরক্ষণ এবং পুনর্ব্যবহার, শক্তির পুনর্ব্যবহার, তাপ এবং তাপমাত্রা পরিচালন, বায়ু চলাচল ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হলেও বিতরণে আগ্রহ নেই বেসরকারি ব্যাংকগুলোর।