করোনা : বিশ্বজুড়ে

আক্রান্ত ২০ লাখ ছাড়িয়েছে

মৃত্যু ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৯২

মহামারী নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় গতকাল বিকেল ৪টায় ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ১১ হাজার ৯২৫ জনে দাড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৯২ জন।

ওয়ার্ল্ড ওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪০ জন। এরমধ্যে ৫১ হাজারের অধিক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৬ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১২০টির অধিক দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চীনে প্রাদুর্ভাব এখন নেই বললেই চলে। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের হার এখন প্রায় শূন্যেরর কোটায় রয়েছে। চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ২৯৫ জনের মধ্য ৭৭ হাজার ৮১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৩৪২ জন।

তবে চীনের বাইরে এই ভাইরাসের সংক্রামণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। এ মহামারীতে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ২৪৬ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৬৪ জনে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্কের, মারা গেছে ১০ হাজারেও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশিও আছেন।

করোনায় আক্রান্ত বা মৃতের হিসেবে আমেরিকার ধারে কাছেও কেউ নেই। আমেরিকার পর আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৩ জন। এখানে ১৮ হাজার ৫৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজারের অধিক মানুষ।

এরপর ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জনে। মৃতের দিক দিয়ে ইতালি দ্বিতীয় স্থানে। দেশটিতে ২১ হাজার ৬৭ জন মারা গেছেন। ইতালিতে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৩০ জন।

আক্রান্তের সংখ্যা চতুর্থ স্থানে আছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। এখানে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৩ জন। মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৭২৯ জন ও সুস্থ হয়েছেন ২৮ হাজার ৮০৫ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় পঞ্চম স্থানে ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানি। দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ২১০ জন আর মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭২ হাজার ৬০০ জন। ছষ্ঠ অবস্থানে এখন যুক্তরাজ্য। দেশটির আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৮৭৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ১০৭ জন।

চীনের পর এশিয়া মহাদেশের মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৮৭৭ আর মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪৮ হাজারের অধিক।

চীনের প্রতিবেশী দেশ জাপানে এদিন পর্যন্ত ৮ হাজার ১০০ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৪৬ জন। চীনের আরেক প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় এদিন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৯১ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬১৬ জন।

বাংলাদেশে গতকাল পর্যন্ত ১২৩১ জনের করোনা শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫০ মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এদিন পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৫৫ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৯৬ জন। পাকিস্তানে এদিন পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৮৮ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০৭ জন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩ বৈশাখ ১৪২৭, ২১ শাবান ১৪৪১

করোনা : বিশ্বজুড়ে

আক্রান্ত ২০ লাখ ছাড়িয়েছে

মৃত্যু ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৯২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

মহামারী নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় গতকাল বিকেল ৪টায় ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ১১ হাজার ৯২৫ জনে দাড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৯২ জন।

ওয়ার্ল্ড ওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪০ জন। এরমধ্যে ৫১ হাজারের অধিক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৬ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১২০টির অধিক দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চীনে প্রাদুর্ভাব এখন নেই বললেই চলে। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের হার এখন প্রায় শূন্যেরর কোটায় রয়েছে। চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ২৯৫ জনের মধ্য ৭৭ হাজার ৮১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৩৪২ জন।

তবে চীনের বাইরে এই ভাইরাসের সংক্রামণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। এ মহামারীতে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ২৪৬ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৬৪ জনে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্কের, মারা গেছে ১০ হাজারেও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশিও আছেন।

করোনায় আক্রান্ত বা মৃতের হিসেবে আমেরিকার ধারে কাছেও কেউ নেই। আমেরিকার পর আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৩ জন। এখানে ১৮ হাজার ৫৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজারের অধিক মানুষ।

এরপর ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জনে। মৃতের দিক দিয়ে ইতালি দ্বিতীয় স্থানে। দেশটিতে ২১ হাজার ৬৭ জন মারা গেছেন। ইতালিতে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৩০ জন।

আক্রান্তের সংখ্যা চতুর্থ স্থানে আছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। এখানে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৩ জন। মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৭২৯ জন ও সুস্থ হয়েছেন ২৮ হাজার ৮০৫ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় পঞ্চম স্থানে ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানি। দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ২১০ জন আর মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭২ হাজার ৬০০ জন। ছষ্ঠ অবস্থানে এখন যুক্তরাজ্য। দেশটির আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৮৭৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ১০৭ জন।

চীনের পর এশিয়া মহাদেশের মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৮৭৭ আর মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪৮ হাজারের অধিক।

চীনের প্রতিবেশী দেশ জাপানে এদিন পর্যন্ত ৮ হাজার ১০০ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৪৬ জন। চীনের আরেক প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় এদিন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৯১ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬১৬ জন।

বাংলাদেশে গতকাল পর্যন্ত ১২৩১ জনের করোনা শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫০ মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এদিন পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৫৫ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৯৬ জন। পাকিস্তানে এদিন পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৮৮ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০৭ জন।