করুণ অবস্থা আরিচা পরিবহন শ্রমিকদের

এ সময় মালিক-শ্রমিক নেতা কেউ তাদের পাশে নেই লাখ লাখ চাঁদার টাকা কোথায় গেল

করোনায় করুণ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে আরিচার পরিবহন শ্রমিকরা। এ দুঃসময়ে পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতাসহ কেউ নেই পাশে। অথচ যানবাহনের চাকা যখন ঘুরে তখন পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নামে তোলা হয় লাখ লাখ টাকা চাঁদা, এ অভিযোগ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোন সহযোগিতা পায়নি তারা। ফলে হাতে জমানো যে টাকা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগিতা চান পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের দাবি, হয় আমাদের গাড়ি চালাতে দেন, না হয় খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। তাদের অভিযোগ, এখনও কোন সহযোগিতা পায়নি আমরা, পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আরিচা ঘাট এবং আশপাশের এলাকায় প্রায় ৭/৮শ’ পরিবহন শ্রমিকের বসবাস। এরা করোনা পরিস্থিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। শিবালয়ে দফায় দফায় খাদ্য সহায়তা এলেও তার ছিটেফোঁটাও পায়নি এসব শ্রমিকরা।

হাতগুটিয়ে ঘরবন্দী হয়ে বসে আসেন চালক ফরিদ আলী। চোখে-মুখে হতাশার ছাপ। তিনি বলেন, করোনভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছি। আমাদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে, আমরা ঘরে বসে আছি। গত ২৩/২৪ দিন ধরে গাড়ি বন্ধ। ঘরের চাল ফুড়িয়ে গেছে। মা, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে কি খাবো ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছি না। ঘরে চাল নাই এর মধ্যে বাসা ভাড়াতো আছেই। কি করমু কিছু বুঝতাছি না। না পারছি সইতে, না পারছি মরতে।

ফরিদ আলী শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আরও বলেন, গাড়ির চাকা ঘুরলেই পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন এবং পরিবহন মালিক সমিতি। শ্রমিকদের কল্যাণের কথা বলে এসব শ্রমিক নেতারা হাজার হাজার টাকা চাঁদা তুলে থাকে আমাদের কাছ থেকে। অথচ এখন আমাদের দুঃসময় চলছে। মালিক ও শ্রমিক নেতাসহ কেউ নেই আমাদের পাশে। এদের ফোন দিলে এরা এমনভাবে কথা বলে মনে হয় আমাদের তারা চিনেনই না এবং ফোন কেটে দিয়ে গালি-গালাজ করেন তারা। এসব নেতারা চাঁদার টাকা ভাগাভাগি করে নেয় বলে তিনি জানান। এসব কথা বললে আমাদের মার খেতে হয় নেতাদের হাতে।

সরকার নাকি চাল দিচ্ছে? কই আমরা তো কোন সহযোগিতাই পাইলাম না। আর পাবই কেমন করে। যাদের মাধ্যমে সহযোগিতা আসছে, তারাই আত্মসাৎ করছে। ঘরের মেঝেতে চালের বস্তা মাটিতে পুতে রাখছে এবং তেল খাটিয়ার নিচে মওজুত করছে এক শ্রেণীর জন প্রতিনিধিরা এমন দৃশ্যও দেখা যাচ্ছে। এরকম হলে আমরা পাবো কিভাবে? তাই আপনারা আমাদের কথাগুলো তুইলা ধরেন যাতে সরকার আমাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন তিনি যেন আমাদের দিকে একটু সুনজর দেন।

কথা হয় আরেক বাসচালক মো. রাজু মিয়ার সঙ্গে। তার একার আয়ের উপর চলে ৮ জনের সংসার। করোনার কারণে সরকার যে দিকনিদের্শনা দিয়েছে আমরা তা মাইনা চলতাছি। কিন্ত আমাদের দিকেতো কেউ তাকাইলো না। পেটের তাগিতে সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের খাবার দেন, না হয় কাজ দেন, না হয় ত্রাণ দেন। এখন আমরা বাঁচুম কি খাইয়া? চলুম কি কইরা? আমরা তো শ্রমজীবী, অসায়, দরিদ্র মানুষ। প্রতিদিন উপার্জন করে প্রতিদিন খাইতে হয়। কয়দিন ঘরে বইসা থাকুম কন? ক্ষুধার জ্বালায় এখন করোনাকে ভয় পাচ্ছেন না বলে জানান তারা।

আরিচা ঘাটের বাসচালক মো. জুয়েল বলেন, আমাদের বাড়িতে আমরা তিনজন মোটর ডিপার্টমেন্টের লোক। এর ওপরই চলে আমাদের ৭ জনের সংসার। এখন এমন অবস্থা হয়েছে, কারও কাছে চাইতেও পারছি না আবার কেউ কোন সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে না। আমার মতো অনেকে আছে ঘরে খাবার নেই। অথচ মান সম্মানের ভয়ে কারও কাছে চাইতেও পারছে না। অনেক শ্রমিক আছে লজ্জায় এখনও ঘর থেকে বের হয়নি। কিন্ত সংসার এখন চলছে না, পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছে এসব শ্রমিকরা। শুনেছি, সরকার ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিবে। সেই অপেক্ষাতেই চাতক পাখির মতো চেয়ে আছি।

বাস চালক মো. লাভলু মিয়া বলেন, আমরা পরিবহন শ্রমিক। ২০/২২ দিন ধরে গাড়ি বন্ধ। কিভাবে আছি কেউ কোন খোঁজ-খবরও নেইনি আমাদের। এ পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পায়নি আমরা। এভাবে আর কত দিন থাকব? গাড়ি না চললে তো পেট চলে না।

বাসের কন্ট্রাকটর মো. হানিফ মিয়া জানান, আমরা পরিবহন শ্রমিক, গাড়ি চললে আয় হয়, না চললে আয়রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। দিন এনে দিন খাই। তাই গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে চলছে আমাদের সংসার।

মাইক্রোচালক রতন বলেন, লকডাউনের কারণে ২৫ দিন ধরে বাড়িতে বসা। আমার মতো ৪/৫শ’ পরিবহন শ্রমিক রয়েছে আরিচা ঘাটে। করোনাভাইরাসের কারণে গাড়ি চালাতে না পারায় সবাই এখন বেকার হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে আমরা কেউ কোন আনুদান পাইনি। এখন আমাদের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা আরিচা এলাকার রিকশা, ভ্যান চালকদেরও।

এ পরিস্থিতিতে তাদের সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজন এগিয়ে আসবেন বলে তারা আশাবাদী।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আরিচা অঞ্চলের একাধিক শ্রমিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে শিবালয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবহন খাত থেকে যে সব নেতা-কর্মী চাঁদাবাজি করে তার এ দুঃসময়ে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু সহযোগিতা করা হচ্ছে যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সবাই মিলে সম্বিলিতভাবে একটি তালিকা করলে পর্যাক্রমে সবার ঘরে সরকারের দেয়া খাদ্য সহায়তা পৌঁছে যেতো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তা হচ্ছে না। যে কারণে একই ব্যক্তি একাধিক স্থান হতে বার বার খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম ফিরোজ মাহমুদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পরিবহন শ্রমিকদের তালিকা পাওয়া গেছে। তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকেই খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৫ বৈশাখ ১৪২৭, ২৩ শাবান ১৪৪১

করুণ অবস্থা আরিচা পরিবহন শ্রমিকদের

এ সময় মালিক-শ্রমিক নেতা কেউ তাদের পাশে নেই লাখ লাখ চাঁদার টাকা কোথায় গেল

রফিকুল ইসলাম, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)

করোনায় করুণ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে আরিচার পরিবহন শ্রমিকরা। এ দুঃসময়ে পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতাসহ কেউ নেই পাশে। অথচ যানবাহনের চাকা যখন ঘুরে তখন পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নামে তোলা হয় লাখ লাখ টাকা চাঁদা, এ অভিযোগ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোন সহযোগিতা পায়নি তারা। ফলে হাতে জমানো যে টাকা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগিতা চান পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের দাবি, হয় আমাদের গাড়ি চালাতে দেন, না হয় খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। তাদের অভিযোগ, এখনও কোন সহযোগিতা পায়নি আমরা, পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আরিচা ঘাট এবং আশপাশের এলাকায় প্রায় ৭/৮শ’ পরিবহন শ্রমিকের বসবাস। এরা করোনা পরিস্থিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। শিবালয়ে দফায় দফায় খাদ্য সহায়তা এলেও তার ছিটেফোঁটাও পায়নি এসব শ্রমিকরা।

হাতগুটিয়ে ঘরবন্দী হয়ে বসে আসেন চালক ফরিদ আলী। চোখে-মুখে হতাশার ছাপ। তিনি বলেন, করোনভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছি। আমাদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে, আমরা ঘরে বসে আছি। গত ২৩/২৪ দিন ধরে গাড়ি বন্ধ। ঘরের চাল ফুড়িয়ে গেছে। মা, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে কি খাবো ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছি না। ঘরে চাল নাই এর মধ্যে বাসা ভাড়াতো আছেই। কি করমু কিছু বুঝতাছি না। না পারছি সইতে, না পারছি মরতে।

ফরিদ আলী শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আরও বলেন, গাড়ির চাকা ঘুরলেই পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন এবং পরিবহন মালিক সমিতি। শ্রমিকদের কল্যাণের কথা বলে এসব শ্রমিক নেতারা হাজার হাজার টাকা চাঁদা তুলে থাকে আমাদের কাছ থেকে। অথচ এখন আমাদের দুঃসময় চলছে। মালিক ও শ্রমিক নেতাসহ কেউ নেই আমাদের পাশে। এদের ফোন দিলে এরা এমনভাবে কথা বলে মনে হয় আমাদের তারা চিনেনই না এবং ফোন কেটে দিয়ে গালি-গালাজ করেন তারা। এসব নেতারা চাঁদার টাকা ভাগাভাগি করে নেয় বলে তিনি জানান। এসব কথা বললে আমাদের মার খেতে হয় নেতাদের হাতে।

সরকার নাকি চাল দিচ্ছে? কই আমরা তো কোন সহযোগিতাই পাইলাম না। আর পাবই কেমন করে। যাদের মাধ্যমে সহযোগিতা আসছে, তারাই আত্মসাৎ করছে। ঘরের মেঝেতে চালের বস্তা মাটিতে পুতে রাখছে এবং তেল খাটিয়ার নিচে মওজুত করছে এক শ্রেণীর জন প্রতিনিধিরা এমন দৃশ্যও দেখা যাচ্ছে। এরকম হলে আমরা পাবো কিভাবে? তাই আপনারা আমাদের কথাগুলো তুইলা ধরেন যাতে সরকার আমাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন তিনি যেন আমাদের দিকে একটু সুনজর দেন।

কথা হয় আরেক বাসচালক মো. রাজু মিয়ার সঙ্গে। তার একার আয়ের উপর চলে ৮ জনের সংসার। করোনার কারণে সরকার যে দিকনিদের্শনা দিয়েছে আমরা তা মাইনা চলতাছি। কিন্ত আমাদের দিকেতো কেউ তাকাইলো না। পেটের তাগিতে সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের খাবার দেন, না হয় কাজ দেন, না হয় ত্রাণ দেন। এখন আমরা বাঁচুম কি খাইয়া? চলুম কি কইরা? আমরা তো শ্রমজীবী, অসায়, দরিদ্র মানুষ। প্রতিদিন উপার্জন করে প্রতিদিন খাইতে হয়। কয়দিন ঘরে বইসা থাকুম কন? ক্ষুধার জ্বালায় এখন করোনাকে ভয় পাচ্ছেন না বলে জানান তারা।

আরিচা ঘাটের বাসচালক মো. জুয়েল বলেন, আমাদের বাড়িতে আমরা তিনজন মোটর ডিপার্টমেন্টের লোক। এর ওপরই চলে আমাদের ৭ জনের সংসার। এখন এমন অবস্থা হয়েছে, কারও কাছে চাইতেও পারছি না আবার কেউ কোন সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে না। আমার মতো অনেকে আছে ঘরে খাবার নেই। অথচ মান সম্মানের ভয়ে কারও কাছে চাইতেও পারছে না। অনেক শ্রমিক আছে লজ্জায় এখনও ঘর থেকে বের হয়নি। কিন্ত সংসার এখন চলছে না, পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছে এসব শ্রমিকরা। শুনেছি, সরকার ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিবে। সেই অপেক্ষাতেই চাতক পাখির মতো চেয়ে আছি।

বাস চালক মো. লাভলু মিয়া বলেন, আমরা পরিবহন শ্রমিক। ২০/২২ দিন ধরে গাড়ি বন্ধ। কিভাবে আছি কেউ কোন খোঁজ-খবরও নেইনি আমাদের। এ পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পায়নি আমরা। এভাবে আর কত দিন থাকব? গাড়ি না চললে তো পেট চলে না।

বাসের কন্ট্রাকটর মো. হানিফ মিয়া জানান, আমরা পরিবহন শ্রমিক, গাড়ি চললে আয় হয়, না চললে আয়রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। দিন এনে দিন খাই। তাই গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে চলছে আমাদের সংসার।

মাইক্রোচালক রতন বলেন, লকডাউনের কারণে ২৫ দিন ধরে বাড়িতে বসা। আমার মতো ৪/৫শ’ পরিবহন শ্রমিক রয়েছে আরিচা ঘাটে। করোনাভাইরাসের কারণে গাড়ি চালাতে না পারায় সবাই এখন বেকার হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে আমরা কেউ কোন আনুদান পাইনি। এখন আমাদের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা আরিচা এলাকার রিকশা, ভ্যান চালকদেরও।

এ পরিস্থিতিতে তাদের সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজন এগিয়ে আসবেন বলে তারা আশাবাদী।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আরিচা অঞ্চলের একাধিক শ্রমিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে শিবালয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবহন খাত থেকে যে সব নেতা-কর্মী চাঁদাবাজি করে তার এ দুঃসময়ে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু সহযোগিতা করা হচ্ছে যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সবাই মিলে সম্বিলিতভাবে একটি তালিকা করলে পর্যাক্রমে সবার ঘরে সরকারের দেয়া খাদ্য সহায়তা পৌঁছে যেতো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তা হচ্ছে না। যে কারণে একই ব্যক্তি একাধিক স্থান হতে বার বার খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম ফিরোজ মাহমুদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পরিবহন শ্রমিকদের তালিকা পাওয়া গেছে। তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকেই খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।