২৯ জেলায় করোনা শনাক্ত ৭৪

কিশোরগঞ্জে ৮ ডাক্তারসহ ২৩

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ‘কোভিড-১৯’ রোগীর সংখ্যা। গত শনিবার ৮ জন ডাক্তার ও ৮ জন স্বাস্থ্য সহকারিসহ নতুন ২৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। এর বাইরে সদর উপজেলায় পুরনো একজনের নমুনায় আবারও পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ফলে শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, সদর উপজেলায় নতুন তিনজন, হোসেনপুরে একজন, করিমগঞ্জে ৮ জন, তাড়াইলে ৫ জন, ভৈরবে ৫ জন এবং কুলিয়ারচরে একজনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছ। এদের মধ্যে জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এবং ভৈরবের সহকারী কমিশনারও (ভূমি) রয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে মোট ১৯ জন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হলেন।

বরিশালে আরো এক চিকিৎসক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

গত শুক্রবার পর্যন্ত বরিশালে আরও একজন চিকিৎসক নভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। এদিকে গত শুক্রবার বরিশাল মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্রও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে একজন নার্সও করোনায় আক্রান্ত বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত বরিশাল জেলায় আক্রান্ত ১৭ জন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আরও ১

জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নতুন করে আরও একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের নাম সেলিম রেজা (২৪)। সে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামের লালচানের ছেলে। এ নিয়ে নাগরপুর উপজেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ জন। গত শুক্রবার রাতে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত যুবককে তার বাড়িতে আলাদা করে এক ঘরে রেখে আশপাশের ৩০ বাড়ি লকডাইন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত শনিবার সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান খান বলেন, গত (১৫ এপ্রিল) ভূঞাপুরে শনাক্ত হওয়া রোগীর সাথে একত্রে চাকুরী করার কারণে সেলিমের মধ্যে করোনা ভীতি জাগে। এরপর সে স্থানীয় বাবুর মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তার সহ ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার পরীক্ষার জন্য ঢাকা আইইডিসিআর এ প্রেরণ করি। এর মধ্যে সেলিম রেজার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

ময়মনসিংহ বিভাগে আরও ৫

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে প্রথম দফায় ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষার পর ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জনের করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বলে জানিযেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ। আক্রান্তরা হলো ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা ও গফরগাঁওয়ে দুইজন, নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়িতে দুইজন এবং জামালপুর জেলার ইসলামপুরে একজন। এনিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে নেত্রকোনা জেলায় ২৪ জন, জামালপুর জেলায় ২৩ জন, ময়মনসিংহ জেলায় ২১ জন এবং শেরপুর জেলায় ১৪ জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় তিনজন চিকিৎসক ও চারজন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন।

রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৪৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসক সহ রংপুর বিভাগে ৪৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫শ’ ২৬ জন হোম কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আমিন আহাম্মেদ। বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হওয়া জেলা হচ্ছে গাইবান্ধা সেখানে ১২ জন করোনা আক্রান্ত। এছাড়া পঞ্চগড়ে ১ নীলফামারীতে ৯ জন, লালমনিরহাট ২ কুড়িগ্রামে ২ জন ঠাকুরগাঁয়ে ৫ দিনাজপুরে ৯ জন এবং রংপুরে ৫ জন। এর মধ্যে শনিবার মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল হালিম লাভলুর করোনা পজেটিভ বলে প্রতিবেদন দেয়ায় রংপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ এ দাঁড়াল। এ ছাড়া আইসোলেশনের চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৫১ জন। এদের মধ্যে রংপুরে ২ পঞ্চগড়ে ৩ নীলফামারীতে ১১ জন, লালমনিরহাটে ২ কুড়িগ্রামে ২ জন, ঠাকুরগাঁও ৯ দিনাজপুরে ৯ জন এবং গাইবান্ধায় ১১ জন।

শিবচরে শিশুকন্যাসহ নারী ডাক্তার

প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দেশের প্রথম কনটেইনমেন্ট থেকে লকডাউন হওয়া শিবচরে এবার এক নারী চিকিৎসক ও তার শিশুকন্যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরআগে তার চিকিৎসক স্বামীও করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছে। সে নারায়ণগঞ্জে প্র্যাকটিস করত বলে জানা গেছে। আক্রান্তর অবস্থান নেয়া শিবচর হাসপাতালের ওই ডক্টরস্ কোয়ার্টারে বসবাস করা আরও ৩ চিকিৎসক পরিবার চরম ঝুঁকিতে থাকায় লকডাউন জোড়ালো করা হয়েছে। এ নিয়ে শিবচর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ সহ মাদারীপুর জেলায় মোট আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ এ। এদের মধ্যে একজন মারা গেছে, ২ জন সুস্থ ও বাকিরা আইসোলেশনে আছে। মাদারীপুর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ এ। এদের মধ্যে শিবচরের এক ইতালি প্রবাসীর পরিবারের ৬ সদস্য ছাড়পত্র পাওয়ার পর ২য় বার আক্রান্ত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছে।

ঝালকাঠি হোম কোয়ারেন্টিনে ৩০৯

প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত ৩০৯ জন হোম কোয়রেন্টাইনে রয়েছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে জেলার ৪টি উপজেলায় ৫২৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। ২১৮ জন ১৪ দিন কাটিয়ে হোম কোয়রেন্টাইনে কাটিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বেড়িয়ে এসেছেন। জেলায় ১৪৩ জনের স্যাম্পল বরিশালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৯২ জনের রিপোর্ট এসেছে। তাদের মধ্যে ৪ জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকি ৮৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা থেকে পাঠানো স্যাম্পলের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার।

সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০ , ৭ বৈশাখ ১৪২৭, ২৫ শাবান ১৪৪১

২৯ জেলায় করোনা শনাক্ত ৭৪

কিশোরগঞ্জে ৮ ডাক্তারসহ ২৩

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ‘কোভিড-১৯’ রোগীর সংখ্যা। গত শনিবার ৮ জন ডাক্তার ও ৮ জন স্বাস্থ্য সহকারিসহ নতুন ২৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। এর বাইরে সদর উপজেলায় পুরনো একজনের নমুনায় আবারও পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ফলে শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, সদর উপজেলায় নতুন তিনজন, হোসেনপুরে একজন, করিমগঞ্জে ৮ জন, তাড়াইলে ৫ জন, ভৈরবে ৫ জন এবং কুলিয়ারচরে একজনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছ। এদের মধ্যে জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এবং ভৈরবের সহকারী কমিশনারও (ভূমি) রয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে মোট ১৯ জন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হলেন।

বরিশালে আরো এক চিকিৎসক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

গত শুক্রবার পর্যন্ত বরিশালে আরও একজন চিকিৎসক নভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। এদিকে গত শুক্রবার বরিশাল মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্রও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে একজন নার্সও করোনায় আক্রান্ত বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত বরিশাল জেলায় আক্রান্ত ১৭ জন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আরও ১

জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নতুন করে আরও একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের নাম সেলিম রেজা (২৪)। সে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামের লালচানের ছেলে। এ নিয়ে নাগরপুর উপজেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ জন। গত শুক্রবার রাতে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত যুবককে তার বাড়িতে আলাদা করে এক ঘরে রেখে আশপাশের ৩০ বাড়ি লকডাইন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত শনিবার সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান খান বলেন, গত (১৫ এপ্রিল) ভূঞাপুরে শনাক্ত হওয়া রোগীর সাথে একত্রে চাকুরী করার কারণে সেলিমের মধ্যে করোনা ভীতি জাগে। এরপর সে স্থানীয় বাবুর মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তার সহ ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার পরীক্ষার জন্য ঢাকা আইইডিসিআর এ প্রেরণ করি। এর মধ্যে সেলিম রেজার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

ময়মনসিংহ বিভাগে আরও ৫

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে প্রথম দফায় ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষার পর ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জনের করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বলে জানিযেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ। আক্রান্তরা হলো ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা ও গফরগাঁওয়ে দুইজন, নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়িতে দুইজন এবং জামালপুর জেলার ইসলামপুরে একজন। এনিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে নেত্রকোনা জেলায় ২৪ জন, জামালপুর জেলায় ২৩ জন, ময়মনসিংহ জেলায় ২১ জন এবং শেরপুর জেলায় ১৪ জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় তিনজন চিকিৎসক ও চারজন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন।

রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৪৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসক সহ রংপুর বিভাগে ৪৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫শ’ ২৬ জন হোম কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আমিন আহাম্মেদ। বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হওয়া জেলা হচ্ছে গাইবান্ধা সেখানে ১২ জন করোনা আক্রান্ত। এছাড়া পঞ্চগড়ে ১ নীলফামারীতে ৯ জন, লালমনিরহাট ২ কুড়িগ্রামে ২ জন ঠাকুরগাঁয়ে ৫ দিনাজপুরে ৯ জন এবং রংপুরে ৫ জন। এর মধ্যে শনিবার মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল হালিম লাভলুর করোনা পজেটিভ বলে প্রতিবেদন দেয়ায় রংপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ এ দাঁড়াল। এ ছাড়া আইসোলেশনের চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৫১ জন। এদের মধ্যে রংপুরে ২ পঞ্চগড়ে ৩ নীলফামারীতে ১১ জন, লালমনিরহাটে ২ কুড়িগ্রামে ২ জন, ঠাকুরগাঁও ৯ দিনাজপুরে ৯ জন এবং গাইবান্ধায় ১১ জন।

শিবচরে শিশুকন্যাসহ নারী ডাক্তার

প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দেশের প্রথম কনটেইনমেন্ট থেকে লকডাউন হওয়া শিবচরে এবার এক নারী চিকিৎসক ও তার শিশুকন্যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরআগে তার চিকিৎসক স্বামীও করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছে। সে নারায়ণগঞ্জে প্র্যাকটিস করত বলে জানা গেছে। আক্রান্তর অবস্থান নেয়া শিবচর হাসপাতালের ওই ডক্টরস্ কোয়ার্টারে বসবাস করা আরও ৩ চিকিৎসক পরিবার চরম ঝুঁকিতে থাকায় লকডাউন জোড়ালো করা হয়েছে। এ নিয়ে শিবচর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ সহ মাদারীপুর জেলায় মোট আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ এ। এদের মধ্যে একজন মারা গেছে, ২ জন সুস্থ ও বাকিরা আইসোলেশনে আছে। মাদারীপুর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ এ। এদের মধ্যে শিবচরের এক ইতালি প্রবাসীর পরিবারের ৬ সদস্য ছাড়পত্র পাওয়ার পর ২য় বার আক্রান্ত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছে।

ঝালকাঠি হোম কোয়ারেন্টিনে ৩০৯

প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত ৩০৯ জন হোম কোয়রেন্টাইনে রয়েছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে জেলার ৪টি উপজেলায় ৫২৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। ২১৮ জন ১৪ দিন কাটিয়ে হোম কোয়রেন্টাইনে কাটিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বেড়িয়ে এসেছেন। জেলায় ১৪৩ জনের স্যাম্পল বরিশালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৯২ জনের রিপোর্ট এসেছে। তাদের মধ্যে ৪ জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকি ৮৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা থেকে পাঠানো স্যাম্পলের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার।