করোনায় বাজার মূলধনে ধস নেমেছে বহুজাতিক কোম্পানির

করোনার কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক অনেক কোম্পানির বাজার মূলধন অনেকাংশে কমে গেছে। কোম্পানিগুলো এক সময় বিনিয়োগকারীদের আস্থার কারণে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করেছে। করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মার্চে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয় ১২ কার্যদিবস। এই ১২ কার্যদিবসেই তালিকাভুক্ত ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা সম্মিলিতভাবে হারিয়েছেন ৬ হাজার ২৯৫ কোটি ২৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। শেয়ারের দাম কমার কারণে বিনিয়োগকারীরা এই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।

তবে ৯ মার্চ থেকে শেয়ারবাজারে একের পর এক বড় ধস নামায় ১৯ মার্চ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (যে দামের নিচে নামতে পারবে না) নির্ধারণ করে দিয়ে নতুন নিয়মের সার্কিট ব্রেকার চালু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এতে একদিকে শেয়ার দরপতন আটকানো হয়, অন্যদিকে ৯ মার্চ লেনদেন শুরুতেই প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। যদি নতুন সার্কিট ব্রেকার না আনা হতো তাহলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমার পরিমাণ বাড়তো এবং বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি হতো।

ডিএসই’র তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ারপ্রতি দাম সব থেকে বেশি কমেছে রেকিট বেনকিজারের। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১৪৬ টাকা ৮০ পয়সা।

বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১

করোনায় বাজার মূলধনে ধস নেমেছে বহুজাতিক কোম্পানির

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

করোনার কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক অনেক কোম্পানির বাজার মূলধন অনেকাংশে কমে গেছে। কোম্পানিগুলো এক সময় বিনিয়োগকারীদের আস্থার কারণে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করেছে। করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মার্চে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয় ১২ কার্যদিবস। এই ১২ কার্যদিবসেই তালিকাভুক্ত ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা সম্মিলিতভাবে হারিয়েছেন ৬ হাজার ২৯৫ কোটি ২৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। শেয়ারের দাম কমার কারণে বিনিয়োগকারীরা এই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।

তবে ৯ মার্চ থেকে শেয়ারবাজারে একের পর এক বড় ধস নামায় ১৯ মার্চ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (যে দামের নিচে নামতে পারবে না) নির্ধারণ করে দিয়ে নতুন নিয়মের সার্কিট ব্রেকার চালু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এতে একদিকে শেয়ার দরপতন আটকানো হয়, অন্যদিকে ৯ মার্চ লেনদেন শুরুতেই প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। যদি নতুন সার্কিট ব্রেকার না আনা হতো তাহলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমার পরিমাণ বাড়তো এবং বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি হতো।

ডিএসই’র তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ারপ্রতি দাম সব থেকে বেশি কমেছে রেকিট বেনকিজারের। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১৪৬ টাকা ৮০ পয়সা।