ঋণখেলাপিদের বিলাসবহুল জীবনধারাকে টেনে ধরুন অর্থমন্ত্রীকে ডিএসই’র পরিচালক

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করে তাদের লাইফস্টাইলে হাত দিতে অর্থমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে রকিবুর রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রী আপনি সরকারিভাবে একটি অ্যাসেট মানেজমেন্ট কোম্পানি করে সেই কোম্পানির মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা পরে বাজারে বিক্রি করে টাকা আদায়ের যে পরিকল্পনা করেছেন আমি মনে করি তা সফল হবার নয়। বরং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদের প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে যাবে। এই সুযোগে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা ঋণ পরিশোধ না করার আরও সুযোগ পেয়ে যাবে। তার চেয়ে বড় কথা হলো, এই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা যে জমি বন্ধক রেখেছে, মনে করেন যার বাজার মূল্য পাঁচ কোটি টাকা সেটা তারা দেখিয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে তারা যে পার্সোনাল গ্যারান্টি দিয়েছে বা করপোরেট গ্যারান্টি দিয়েছে তার কোন মূল্য নাই। তাদের বন্ধকের জমি বিক্রি করতে গেলে ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে দেখবেন এই জমিগুলো আরও অনেক জায়গায় বন্ধক দেয়া আছে।

তিনি আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী, মহান পার্লামেন্টে আপনি বলেছেন, এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকের যোগসাজশে এবং তাদের অনুগত ব্যাংকের এমডি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহায়তায় তারা গ্রাহকের টাকা নিজের নামে, বেনামে বা আত্মীয়স্বজনের নামে আত্মসাৎ করে বিদেশে শত শত কোটি টাকা পাচার করেছে, বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। কানাডা, দুবাই, সিঙ্গাপুরে তারা বিশাল সম্পদ গড়ে তুলেছে। আপনাকে কঠোর হতে হবে।

শনিবার, ১৬ মে ২০২০ , ২ জৈষ্ঠ্য ১৪২৭, ২২ রমাজান ১৪৪১

ঋণখেলাপিদের বিলাসবহুল জীবনধারাকে টেনে ধরুন অর্থমন্ত্রীকে ডিএসই’র পরিচালক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করে তাদের লাইফস্টাইলে হাত দিতে অর্থমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে রকিবুর রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রী আপনি সরকারিভাবে একটি অ্যাসেট মানেজমেন্ট কোম্পানি করে সেই কোম্পানির মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা পরে বাজারে বিক্রি করে টাকা আদায়ের যে পরিকল্পনা করেছেন আমি মনে করি তা সফল হবার নয়। বরং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদের প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে যাবে। এই সুযোগে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা ঋণ পরিশোধ না করার আরও সুযোগ পেয়ে যাবে। তার চেয়ে বড় কথা হলো, এই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা যে জমি বন্ধক রেখেছে, মনে করেন যার বাজার মূল্য পাঁচ কোটি টাকা সেটা তারা দেখিয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে তারা যে পার্সোনাল গ্যারান্টি দিয়েছে বা করপোরেট গ্যারান্টি দিয়েছে তার কোন মূল্য নাই। তাদের বন্ধকের জমি বিক্রি করতে গেলে ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে দেখবেন এই জমিগুলো আরও অনেক জায়গায় বন্ধক দেয়া আছে।

তিনি আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী, মহান পার্লামেন্টে আপনি বলেছেন, এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকের যোগসাজশে এবং তাদের অনুগত ব্যাংকের এমডি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহায়তায় তারা গ্রাহকের টাকা নিজের নামে, বেনামে বা আত্মীয়স্বজনের নামে আত্মসাৎ করে বিদেশে শত শত কোটি টাকা পাচার করেছে, বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। কানাডা, দুবাই, সিঙ্গাপুরে তারা বিশাল সম্পদ গড়ে তুলেছে। আপনাকে কঠোর হতে হবে।