দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলছে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে ভার্চুয়ালি চলবে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। এ সময় আসামি হাজির করা লাগবে না এবং মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আদেশ দেয়া হবে অনলাইনে।
সরকারি আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে চলছে বিচার কার্যক্রম। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তাকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে লকডাউন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ট্রাইব্যুনালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন সংশিষ্ট কর্মচারীরা। এর আগে গত ১২ মে পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের গেট খোলা ছিল। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। তাদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ২২ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১২ মে লকডাউন ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তাই সরকার ঘোষিত ছুটির পর ট্রাইব্যুনাল আর খোলেনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) সাঈদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে সংশিষ্টদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ট্রাইব্যুনালের এজলাসসহ এলাকা জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত কারাগার থেকে আসামি হাজির করতে হবে না। পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আদালতের আদেশে বিচারকদের স্বাক্ষরের পর প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স টিমকে জানানো হবে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন চলাকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দফায় দফায় বৈঠক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের সভাপতিত্বে একবার ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য বিচারপতি অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা নেয়ার জন্য এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সে ভারতে গেছেন। এখন সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালে চলবে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, এক এক করে ট্রাইব্যুনালের দুটি ব্যারাকে থাকা এপিবিএনের প্রায় ২২ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখনও প্রায় ১৭ জন সদস্য ট্রাইব্যুনালের ভেতরে অবস্থান করছেন। এ কারণে পুরো ট্রাইব্যুনাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্মকা- পরিচালিত হয়ে আসছিল। পরে ট্রাইব্যুনালের যাবতীয় রেকর্ডপত্রসহ পুরো ভবনের নিরাপত্তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। তারা এরই মধ্যে বাইরে থেকে ট্রাইব্যুনাল এলাকা কর্ডন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার, প্রসিকিউশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
সোমবার, ০১ জুন ২০২০ , ১৮ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৮ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলছে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে ভার্চুয়ালি চলবে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। এ সময় আসামি হাজির করা লাগবে না এবং মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আদেশ দেয়া হবে অনলাইনে।
সরকারি আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে চলছে বিচার কার্যক্রম। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তাকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে লকডাউন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ট্রাইব্যুনালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন সংশিষ্ট কর্মচারীরা। এর আগে গত ১২ মে পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের গেট খোলা ছিল। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। তাদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ২২ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১২ মে লকডাউন ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তাই সরকার ঘোষিত ছুটির পর ট্রাইব্যুনাল আর খোলেনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) সাঈদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে সংশিষ্টদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ট্রাইব্যুনালের এজলাসসহ এলাকা জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত কারাগার থেকে আসামি হাজির করতে হবে না। পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আদালতের আদেশে বিচারকদের স্বাক্ষরের পর প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স টিমকে জানানো হবে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন চলাকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দফায় দফায় বৈঠক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের সভাপতিত্বে একবার ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য বিচারপতি অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা নেয়ার জন্য এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সে ভারতে গেছেন। এখন সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালে চলবে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, এক এক করে ট্রাইব্যুনালের দুটি ব্যারাকে থাকা এপিবিএনের প্রায় ২২ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখনও প্রায় ১৭ জন সদস্য ট্রাইব্যুনালের ভেতরে অবস্থান করছেন। এ কারণে পুরো ট্রাইব্যুনাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্মকা- পরিচালিত হয়ে আসছিল। পরে ট্রাইব্যুনালের যাবতীয় রেকর্ডপত্রসহ পুরো ভবনের নিরাপত্তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। তারা এরই মধ্যে বাইরে থেকে ট্রাইব্যুনাল এলাকা কর্ডন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার, প্রসিকিউশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।