চালু হলো ‘বানান আন্দোলন’র নিজস্ব ওয়েবসাইট

বাংলা ভাষা চর্চার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘বানান আন্দোলন’র নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু হলো। গত ২৯ মে ‘বানান আন্দোলন’র অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে একটি ভিডিও লাইভের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি উন্মুক্ত করার এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলা শব্দের শুদ্ধ প্রয়োগ ও ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করার লক্ষ্যে গড়ে ওঠা এ ফেসবুক গ্রুপটি ভাষাচর্চার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ওয়েবসাইটটির ঘোষণা প্রদানের মধ্য দিয়ে কার্যত একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিল।

প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহী কথাসাহিত্যিক ওয়াহেদ সবুজ বলেন, ‘ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার অবস্থান এখন পঞ্চম। পৃথিবীর প্রায় ৩০ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। এমন একটি ভাষা নিয়ে যে পরিমাণ গবেষণাকর্ম ও তাত্ত্বিক কাজ হওয়া দরকার ছিল, তা হয়নি। এমনকি ভাষার শুদ্ধ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আমাদের অধিকাংশই অসচেতন ও উদাসীন। একটি ভাষা পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে টিকে থাকার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।’ ওয়েবসাইটটি বিষয়ে ওয়াহেদ সবুজ জানান, ‘এ প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা বানান ও বাংলা শব্দের উচ্চারণ তথা সামগ্রিকভাবে বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা ও গবেষণার একটি ক্ষেত্র উন্মুক্ত হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বাংলা ভাষার গবেষকেরা পর্যন্ত সবাই এখান থেকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এটি হবে বাংলা ভাষা চর্চার সবচাইতে বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এ পুরো ভাষাশিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রমটি হবে সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত। কোন রকম অর্থব্যয় ছাড়াই মানুষ এখানে ভাষা চর্চার সুযোগ পাবেন।’

https://bananandolon.com/ এর সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আইটি-প্রধান রেজবুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘ভাষাচর্চার সঙ্গে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিকে যুক্তকরণের মাধ্যমে শুদ্ধতার চর্চায় বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সহযোগী হয়ে পথ চলার অভিপ্রায়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রযুক্তির সহায়তায় পৃথিবীর সকল প্রান্তে বসবাসরত বাঙালিদের শুদ্ধ ভাষাচর্চার একটি অভিন্ন লক্ষ্যে এক স্থানে জড়ো করার প্রয়াসে আমাদের এ প্রচেষ্টা।’

এর আগে, ২০১৫ সালে ফেসবুকে ‘বানান আন্দোলন’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করার মধ্য দিয়ে বাংলা বানান নিয়ে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। চলতি বছর এপ্রিলে অনলাইনে বাংলা ভাষা শিক্ষার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১

চালু হলো ‘বানান আন্দোলন’র নিজস্ব ওয়েবসাইট

image

বাংলা ভাষা চর্চার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘বানান আন্দোলন’র নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু হলো। গত ২৯ মে ‘বানান আন্দোলন’র অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে একটি ভিডিও লাইভের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি উন্মুক্ত করার এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলা শব্দের শুদ্ধ প্রয়োগ ও ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করার লক্ষ্যে গড়ে ওঠা এ ফেসবুক গ্রুপটি ভাষাচর্চার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ওয়েবসাইটটির ঘোষণা প্রদানের মধ্য দিয়ে কার্যত একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিল।

প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহী কথাসাহিত্যিক ওয়াহেদ সবুজ বলেন, ‘ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার অবস্থান এখন পঞ্চম। পৃথিবীর প্রায় ৩০ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। এমন একটি ভাষা নিয়ে যে পরিমাণ গবেষণাকর্ম ও তাত্ত্বিক কাজ হওয়া দরকার ছিল, তা হয়নি। এমনকি ভাষার শুদ্ধ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আমাদের অধিকাংশই অসচেতন ও উদাসীন। একটি ভাষা পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে টিকে থাকার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।’ ওয়েবসাইটটি বিষয়ে ওয়াহেদ সবুজ জানান, ‘এ প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা বানান ও বাংলা শব্দের উচ্চারণ তথা সামগ্রিকভাবে বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা ও গবেষণার একটি ক্ষেত্র উন্মুক্ত হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বাংলা ভাষার গবেষকেরা পর্যন্ত সবাই এখান থেকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এটি হবে বাংলা ভাষা চর্চার সবচাইতে বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এ পুরো ভাষাশিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রমটি হবে সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত। কোন রকম অর্থব্যয় ছাড়াই মানুষ এখানে ভাষা চর্চার সুযোগ পাবেন।’

https://bananandolon.com/ এর সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আইটি-প্রধান রেজবুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘ভাষাচর্চার সঙ্গে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিকে যুক্তকরণের মাধ্যমে শুদ্ধতার চর্চায় বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সহযোগী হয়ে পথ চলার অভিপ্রায়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রযুক্তির সহায়তায় পৃথিবীর সকল প্রান্তে বসবাসরত বাঙালিদের শুদ্ধ ভাষাচর্চার একটি অভিন্ন লক্ষ্যে এক স্থানে জড়ো করার প্রয়াসে আমাদের এ প্রচেষ্টা।’

এর আগে, ২০১৫ সালে ফেসবুকে ‘বানান আন্দোলন’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করার মধ্য দিয়ে বাংলা বানান নিয়ে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। চলতি বছর এপ্রিলে অনলাইনে বাংলা ভাষা শিক্ষার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।