দেশের সব জেলায় করোনা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা করুন

সংবাদের এক প্রতিবেদনে জানা গেল, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৬ জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের (টেস্ট) কোন ব্যবস্থা নেই। সেসব জেলার করোনারোগী জেলা বা বিভাগীয় শহরে গিয়ে টেস্ট ও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভাগ্যবান ১৮টি জেলার মানুষ নিজ জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা (টেস্ট) করার সুযোগ পাচ্ছে। যেসব জেলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা নেই তার জনসংখ্যা ৪ কোটির বেশি। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মতে, যেসব জেলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা নেই সেসব জেলায় টেস্ট করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না।

এখনও দেশের ৪৬টি জেলায় করোনা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা না থাকার খবরটি হতাশাজনক। এ ব্যবস্থা না থাকার কারণে ওই জেলার বাসিন্দাদের পার্শ্ববর্তী জেলা বা বিভাগীয় সদরে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এতে কালক্ষেপণ হয়। ফলে অনেক সময় টেস্টের ফল ভুল হয়, তাছাড়া অনেক টেস্ট করাও সম্ভব হয় না। যে জেলাগুলোয় পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই তার লোকসংখ্যা আট কোটি। অর্থাৎ দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর সংক্রমণের প্রকৃত রিপোর্টই এখনও পাওয়া যায়নি। তার মানে এখন পর্যন্ত আমরা সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান পাচ্ছি তা শুধু অর্ধেক জনগোষ্ঠীর। বাকি অর্ধেক এখনও দৃষ্টিসীমার বাইরে, তাদের বিষয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই, করোনা শনাক্তকরণের কোন ব্যবস্থা নেই, কোন উদ্যোগ নেই।

এ অব্যবস্থাপনায় কখনই করোনার মতো মহামারী মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনবলের অভাবেই ওই সব জেলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। যখন দেশে করোনা সংক্রমণের তিন মাস পেরিয়ে গেছে তখনও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা যায়নি। এর দায় অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। এখনও যদি আমরা করোনার বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে চাই, তবে যে জেলাগুলোয় শনাক্তকরণের ব্যবস্থা নেই, সেখানে জনবল সংকট দূর করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ করতে হবে। যদি দেশে দক্ষ জনবলের ঘাটতি থাকে তবে চুক্তিভিত্তিক প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষিত বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনরকম কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।

শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১

দেশের সব জেলায় করোনা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা করুন

সংবাদের এক প্রতিবেদনে জানা গেল, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৬ জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের (টেস্ট) কোন ব্যবস্থা নেই। সেসব জেলার করোনারোগী জেলা বা বিভাগীয় শহরে গিয়ে টেস্ট ও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভাগ্যবান ১৮টি জেলার মানুষ নিজ জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা (টেস্ট) করার সুযোগ পাচ্ছে। যেসব জেলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা নেই তার জনসংখ্যা ৪ কোটির বেশি। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মতে, যেসব জেলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা নেই সেসব জেলায় টেস্ট করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না।

এখনও দেশের ৪৬টি জেলায় করোনা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা না থাকার খবরটি হতাশাজনক। এ ব্যবস্থা না থাকার কারণে ওই জেলার বাসিন্দাদের পার্শ্ববর্তী জেলা বা বিভাগীয় সদরে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এতে কালক্ষেপণ হয়। ফলে অনেক সময় টেস্টের ফল ভুল হয়, তাছাড়া অনেক টেস্ট করাও সম্ভব হয় না। যে জেলাগুলোয় পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই তার লোকসংখ্যা আট কোটি। অর্থাৎ দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর সংক্রমণের প্রকৃত রিপোর্টই এখনও পাওয়া যায়নি। তার মানে এখন পর্যন্ত আমরা সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান পাচ্ছি তা শুধু অর্ধেক জনগোষ্ঠীর। বাকি অর্ধেক এখনও দৃষ্টিসীমার বাইরে, তাদের বিষয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই, করোনা শনাক্তকরণের কোন ব্যবস্থা নেই, কোন উদ্যোগ নেই।

এ অব্যবস্থাপনায় কখনই করোনার মতো মহামারী মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনবলের অভাবেই ওই সব জেলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। যখন দেশে করোনা সংক্রমণের তিন মাস পেরিয়ে গেছে তখনও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা যায়নি। এর দায় অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। এখনও যদি আমরা করোনার বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে চাই, তবে যে জেলাগুলোয় শনাক্তকরণের ব্যবস্থা নেই, সেখানে জনবল সংকট দূর করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ করতে হবে। যদি দেশে দক্ষ জনবলের ঘাটতি থাকে তবে চুক্তিভিত্তিক প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষিত বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনরকম কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।