চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদ করার সময় যাচাই-বাছাইয়ে নামে অন্যায়ভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কৃষি বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করা এক মহিলা প্রশিক্ষণার্থীকে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন, গত ১ জুন অফিস থেকে প্রশিক্ষণের কথা বলে রহনপুর পৌর এলাকার স্টেশন হঠাৎপাড়ায় তার ভাড়া বাসায় নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনাটি অবহিত করে গত ৩ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানকে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন ঘটনার শিকার ওই মহিলা প্রশিক্ষণার্থী। এছাড়া বিষয়টি জেলা ও উপজেলা কৃষি বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে ওই মহিলা প্রশিক্ষণার্থী জানান। মহিলা প্রশিক্ষণার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন জানান, ওই শিক্ষার্থী যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। আমি তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। এদিকে একই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদ করার সময় যাচাই-বাছাইয়ে নামে অন্যায় ভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম কর্তনের অভিযোগ করেছেন এক ইউপি সদস্য। গত ৩ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট করা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য (৪, ৫ ও ৬) আলতানুর খাতুন। অভিযোগের অনুলিপি সূত্রে জানা গেছে, গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির হোসেনকে উপজেলা প্রশাসন ৬ নং বোয়ালিয়া ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির পূর্বের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংযুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। তার বিরুদ্ধে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ওই ইউনিয়নের ৫ থেকে ৯নং ওয়ার্ডের প্রায় ১৫০ জন দুস্থ ব্যক্তির নাম অন্যায়ভাবে কর্তনের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় উপকারভোগীসহ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগকারীরা ওই কর্মকর্তাকে ওই ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন জানান, একটি মহল তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তালিকায় নানা অনিয়ম থাকায় যাচাই-বাছাইয়ে অনেকেই বাদ পড়েছে। এদিকে অভিযোগ করা ওই জনপ্রতিনিধি জানান, ইউএনওকে অভিযোগ দেয়ায় ওই কর্মকর্তা তাকে নানাভাবে হুমকি প্রর্দশন করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ দু’টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০ , ২৮ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৮ শাওয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদ করার সময় যাচাই-বাছাইয়ে নামে অন্যায়ভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কৃষি বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করা এক মহিলা প্রশিক্ষণার্থীকে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন, গত ১ জুন অফিস থেকে প্রশিক্ষণের কথা বলে রহনপুর পৌর এলাকার স্টেশন হঠাৎপাড়ায় তার ভাড়া বাসায় নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনাটি অবহিত করে গত ৩ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানকে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন ঘটনার শিকার ওই মহিলা প্রশিক্ষণার্থী। এছাড়া বিষয়টি জেলা ও উপজেলা কৃষি বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে ওই মহিলা প্রশিক্ষণার্থী জানান। মহিলা প্রশিক্ষণার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন জানান, ওই শিক্ষার্থী যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। আমি তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। এদিকে একই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদ করার সময় যাচাই-বাছাইয়ে নামে অন্যায় ভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম কর্তনের অভিযোগ করেছেন এক ইউপি সদস্য। গত ৩ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট করা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য (৪, ৫ ও ৬) আলতানুর খাতুন। অভিযোগের অনুলিপি সূত্রে জানা গেছে, গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির হোসেনকে উপজেলা প্রশাসন ৬ নং বোয়ালিয়া ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির পূর্বের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংযুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। তার বিরুদ্ধে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ওই ইউনিয়নের ৫ থেকে ৯নং ওয়ার্ডের প্রায় ১৫০ জন দুস্থ ব্যক্তির নাম অন্যায়ভাবে কর্তনের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় উপকারভোগীসহ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগকারীরা ওই কর্মকর্তাকে ওই ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন জানান, একটি মহল তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তালিকায় নানা অনিয়ম থাকায় যাচাই-বাছাইয়ে অনেকেই বাদ পড়েছে। এদিকে অভিযোগ করা ওই জনপ্রতিনিধি জানান, ইউএনওকে অভিযোগ দেয়ায় ওই কর্মকর্তা তাকে নানাভাবে হুমকি প্রর্দশন করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ দু’টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।