চীনে মানব শরীরে করোনার আরেক অ্যান্টিবডির পরীক্ষা শুরু

এদিকে চীনে মানবদেহে করোনার আরেকটি অ্যান্টিবডির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (হিউম্যান ট্রায়াল থেরাপি) শুরু হয়েছে। গত সোমবার এক স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীকে অ্যান্টিবডি চিকিৎসার ডোজ দেয়ার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয়। জেএস০১৬ নামক এ অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির যৌথভাবে উন্নয়ন ঘটিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এলি লিলি ও চীনা প্রতিষ্ঠান জুনশি বায়োসায়েন্সেস। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, অ্যান্টিবডি হচ্ছে এমন উপাদান যা শরীরে সহজাতভাবেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। জুনশি বায়োসায়েন্সেস চীনের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে চীনের বাইরে বিশ্বের অন্যত্র এলি লিলির একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে।

রিজেনেরনসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি তৈরির চেষ্টা করছে। চলতি মাসেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর বিষয়ে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানগুলো।

অপরদিকে জেএস০১৬ অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসঙ্গে এলি লিলি জানিয়েছে, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেও প্রথম ধাপের গবেষণা শুরু করবে। বিজ্ঞানীরা প্রথমে জেএস-১৬ নামক এ অ্যান্টিবডি চিকিৎসা মানুষের মধ্যে ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন। পরীক্ষায় নিরাপদ প্রমাণিত হলে তারপর এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখবেন গবেষকরা। প্রথম ধাপটি সফল হলে কীভাবে এটি সবচেয়ে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায় তা নির্ধারণে আরও ট্রায়াল চালানো হবে।

এই অ্যান্টিবডি নিজেই ভালো কাজ করে নাকি অন্য অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণে এটি আরও কার্যকর ভূমিকা রাখে- সেটিও যাচাই করে দেখা হবে।

জেএস-১৬ নামক এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসটিকে নিষ্কিয় করে ফেলবে। লিলি ও জুনশির বিজ্ঞানীরা ল্যাবে সম্ভাব্য অন্য আরো অ্যান্টিবডিও পরীক্ষা করছেন।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০ , ২৮ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৮ শাওয়াল ১৪৪১

চীনে মানব শরীরে করোনার আরেক অ্যান্টিবডির পরীক্ষা শুরু

সংবাদ ডেস্ক |

এদিকে চীনে মানবদেহে করোনার আরেকটি অ্যান্টিবডির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (হিউম্যান ট্রায়াল থেরাপি) শুরু হয়েছে। গত সোমবার এক স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীকে অ্যান্টিবডি চিকিৎসার ডোজ দেয়ার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয়। জেএস০১৬ নামক এ অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির যৌথভাবে উন্নয়ন ঘটিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এলি লিলি ও চীনা প্রতিষ্ঠান জুনশি বায়োসায়েন্সেস। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, অ্যান্টিবডি হচ্ছে এমন উপাদান যা শরীরে সহজাতভাবেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। জুনশি বায়োসায়েন্সেস চীনের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে চীনের বাইরে বিশ্বের অন্যত্র এলি লিলির একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে।

রিজেনেরনসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি তৈরির চেষ্টা করছে। চলতি মাসেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর বিষয়ে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানগুলো।

অপরদিকে জেএস০১৬ অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসঙ্গে এলি লিলি জানিয়েছে, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেও প্রথম ধাপের গবেষণা শুরু করবে। বিজ্ঞানীরা প্রথমে জেএস-১৬ নামক এ অ্যান্টিবডি চিকিৎসা মানুষের মধ্যে ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন। পরীক্ষায় নিরাপদ প্রমাণিত হলে তারপর এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখবেন গবেষকরা। প্রথম ধাপটি সফল হলে কীভাবে এটি সবচেয়ে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায় তা নির্ধারণে আরও ট্রায়াল চালানো হবে।

এই অ্যান্টিবডি নিজেই ভালো কাজ করে নাকি অন্য অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণে এটি আরও কার্যকর ভূমিকা রাখে- সেটিও যাচাই করে দেখা হবে।

জেএস-১৬ নামক এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসটিকে নিষ্কিয় করে ফেলবে। লিলি ও জুনশির বিজ্ঞানীরা ল্যাবে সম্ভাব্য অন্য আরো অ্যান্টিবডিও পরীক্ষা করছেন।