নতুন রূপে অভি’র আবির্ভাব

একজন বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে গ্লামার জগতে জনপ্রিয় এক নাম অভি মঈনুদ্দীন। তবে এর বাইরেও আছে তার নানা গুণ। পেশায় সাংবাদিক বলে এতদিন সেগুলো আড়ালেই রেখেছেন। সাংবাদিকতা জীবনের দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় অতিবাহিত করার পর এবার নতুন রূপে আবির্ভাব ঘটছে অভির। একটি মৌলিক গান গাইতে যাচ্ছেন। গানটি তার নিজের লেখা ও সূর করা। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অদম্য ভালোবাসা সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে জন্ম নেয়া সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের। পেশাগতভাবে গান না গাইলেও মধ্যনগর বিপি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশুনাকালীন সময়ে তিনি মঞ্চে গান গেয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। মূলত সিলেট ক্যাডেট কলেজে পড়াশুনাকালীন সময়ে ওস্তাদ রাম কানাই লালের কাছে ক্যাডেট কলেজরই বাংলা’র অধ্যাপক আবুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন সঙ্গীতে তালিম নেন। সাংবাদিকতায় নিজেকে নিবেদিত করার কারণে পেশাগতভাবে কখনোই তার গান গাওয়া হয়ে উঠেনি। অভি বলেন, ‘গেলো ১১ জানুয়ারি হঠাৎ করেই গানটির সৃষ্টি হয়। গানের কথা হচ্ছে ‘চাইনা হৃদয় ভেঙ্গে যাক, হয়ে যাক পুড়ে পুড়ে ছাই’। সুর মাথায় আসতে আসতেই গানের কথা মোবাইলে রেকর্ড করেন নেই। পরে গানটির সঙ্গীতায়োজনের জন্য অনুরোধ করি সঙ্গীতশিল্পী ইউসুফ আহমেদ খানকে। এরইমধ্যে ইউসুফ ও সাউন্ডহ্যাকারের যৌথ উদ্যোগে আমার জীবনের প্রথম মৌলিক গানটির সঙ্গীতায়োজনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ইউসুফের নিজস্ব স্টুডিও ‘স্টুডিও আহ্বলাদ’এ গানটিতে কণ্ঠ দিবেন অভি মঈনুদ্দীন। নিজের জীবনের প্রথম মৌলিক গান প্রসঙ্গে অভি মঈনুদ্দীন বলেন, ‘সত্যি বলতে কী সিলেট ক্যাডেট কলেজেই গানে আমার মূল ভিত্তি গড়ে উঠে। এ কারণে আমার গানের আবেগের সঙ্গে ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো দারুণভাবে স্মৃতিতে জড়িয়ে আছে। ভীষণ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ জি, আমার শ্রদ্ধেয় আবুল হোসেন স্যার, আমার ক্যাডেট কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ের বন্ধুদের। আমার বিশ^াস গানটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবার পর গানটি শ্রোতা দর্শকের কাছে ভালো লাগার সৃষ্টি করবে।’ করোনা সমস্যা স্বাভাবিক হলেই গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণের কাজ শেষ হবে। তবে এখনও চূড়ান্ত নয় গানটি কোন ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে। উল্লেখ্য, অভি মঈনুদ্দীন সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি’তে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে সম্মিলিতি মেধা তালিকায় ১৮তম স্থান অধিকার করেছিলেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে তিনি অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিনোদন সাংবাদিকতায় স্বীকৃতি স্বরূপ’ তিনি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক সর্বাধিক ১৮ বার সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্বর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১

নতুন রূপে অভি’র আবির্ভাব

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

একজন বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে গ্লামার জগতে জনপ্রিয় এক নাম অভি মঈনুদ্দীন। তবে এর বাইরেও আছে তার নানা গুণ। পেশায় সাংবাদিক বলে এতদিন সেগুলো আড়ালেই রেখেছেন। সাংবাদিকতা জীবনের দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় অতিবাহিত করার পর এবার নতুন রূপে আবির্ভাব ঘটছে অভির। একটি মৌলিক গান গাইতে যাচ্ছেন। গানটি তার নিজের লেখা ও সূর করা। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অদম্য ভালোবাসা সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে জন্ম নেয়া সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের। পেশাগতভাবে গান না গাইলেও মধ্যনগর বিপি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশুনাকালীন সময়ে তিনি মঞ্চে গান গেয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। মূলত সিলেট ক্যাডেট কলেজে পড়াশুনাকালীন সময়ে ওস্তাদ রাম কানাই লালের কাছে ক্যাডেট কলেজরই বাংলা’র অধ্যাপক আবুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন সঙ্গীতে তালিম নেন। সাংবাদিকতায় নিজেকে নিবেদিত করার কারণে পেশাগতভাবে কখনোই তার গান গাওয়া হয়ে উঠেনি। অভি বলেন, ‘গেলো ১১ জানুয়ারি হঠাৎ করেই গানটির সৃষ্টি হয়। গানের কথা হচ্ছে ‘চাইনা হৃদয় ভেঙ্গে যাক, হয়ে যাক পুড়ে পুড়ে ছাই’। সুর মাথায় আসতে আসতেই গানের কথা মোবাইলে রেকর্ড করেন নেই। পরে গানটির সঙ্গীতায়োজনের জন্য অনুরোধ করি সঙ্গীতশিল্পী ইউসুফ আহমেদ খানকে। এরইমধ্যে ইউসুফ ও সাউন্ডহ্যাকারের যৌথ উদ্যোগে আমার জীবনের প্রথম মৌলিক গানটির সঙ্গীতায়োজনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ইউসুফের নিজস্ব স্টুডিও ‘স্টুডিও আহ্বলাদ’এ গানটিতে কণ্ঠ দিবেন অভি মঈনুদ্দীন। নিজের জীবনের প্রথম মৌলিক গান প্রসঙ্গে অভি মঈনুদ্দীন বলেন, ‘সত্যি বলতে কী সিলেট ক্যাডেট কলেজেই গানে আমার মূল ভিত্তি গড়ে উঠে। এ কারণে আমার গানের আবেগের সঙ্গে ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো দারুণভাবে স্মৃতিতে জড়িয়ে আছে। ভীষণ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ জি, আমার শ্রদ্ধেয় আবুল হোসেন স্যার, আমার ক্যাডেট কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ের বন্ধুদের। আমার বিশ^াস গানটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবার পর গানটি শ্রোতা দর্শকের কাছে ভালো লাগার সৃষ্টি করবে।’ করোনা সমস্যা স্বাভাবিক হলেই গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণের কাজ শেষ হবে। তবে এখনও চূড়ান্ত নয় গানটি কোন ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে। উল্লেখ্য, অভি মঈনুদ্দীন সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি’তে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে সম্মিলিতি মেধা তালিকায় ১৮তম স্থান অধিকার করেছিলেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে তিনি অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিনোদন সাংবাদিকতায় স্বীকৃতি স্বরূপ’ তিনি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক সর্বাধিক ১৮ বার সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্বর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।