দেশে করোনায় গতকাল পর্যন্ত পুলিশের ২৪ সদস্য মারা গেছেন। এর মধ্যে চারজন পুলিশ পরিদর্শক, ৬ জন সাব ইন্সপেক্টর (এসআই), ৩ জন সহকারী সাব ইন্সপেক্টর (এএসআই) এবং ৯ জন কনস্টেবল। পুলিশ সদর দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনায় প্রাণ হারানো ২৪ জনের মধ্যে ১০ জনই ছিলেন ডিএমপিতে কর্মরত। দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি নেয়ায় একক পেশা হিসেবে পুলিশের সদস্যরা সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে করোনাভাইরাসে প্রাণ হারানো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কনস্টেবল ও একজন অফিস সহকারীর পরিবার প্রতি দুই লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। কমিশনারের পক্ষে মিরপুর বিভাগের অফিস সহকারী নিরোদ চন্দ্র মন্ডলের পরিবারের হাতে ও রমনা বিভাগের কনস্টবল মো. আলমগীর হোসেনের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেয়া হয়। এর আগে ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদেরও একইভাবে অনুদান দেয়া হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দফতর জানায়, করোনায় মারা যাওয়া পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পদমর্যাদার চার কর্মকর্তা হলেন, পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এসপিবিএন-২ এর ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়ার (৫৮), সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের সদর কোর্টের ইন্সপেক্টর মো. ফজলুর রহমান (৫৭), কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পুলিশ লাইন্সের ইন্সপেক্টর মো. আবদুল জলিল সরদার (৫৫) এবং ডিএমপির সিটিটিসির ইন্সপেক্টর রাজু আহম্মেদ (৪৩)। এছাড়া করোনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার ছয় কর্মকর্তা মারা গেছেন। তারা হলেন, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্ররক্ষা শাখার এসআই নাজির উদ্দিন (৫৫), সিটিএসবির এসআই মজিবুর রহমান (৫৮) ও এসআই মো. রাসেল বিশ্বাস (৩৫)। এ তালিকায় আরও রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সীতাকুন্ড থানার এসআই মো. একরামুল ইসলাম (৪৫), রাজশাহী আরআরএফের এসআই মোশারফ হোসেন শেখ (৫৬) এবং ডিএমপির পিওএম-পশ্চিম বিভাগের এসআই সুলতানুল আরেফিন (৪৪)। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার তিন সদস্য হলেন, ডিএমপির পিওএম-দক্ষিণ বিভাগের এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায় (৪৮) ও এএসআই আ. খালেক (৩৬) এবং সিএমপির এএসআই মোহাম্মদ মর্তুজা কাইয়ুম (৪৮)। নায়েক পদ মর্যাদার একজন এবং কনস্টেবল পদমর্যাদার ৯ জন হলেন, ডিএমপির এমটি শাখার নায়েক আল মামুন (৪৩), হাজারীবাগ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মো. আলমগীর হোসেন (৫৪), ট্রাফিক-পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল মো. জালাল উদ্দিন (৪৭), ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২) এবং ওয়ারি ফাঁড়ির মো. জসিম উদ্দিন (৪০)। এ তালিকায় আরও রয়েছেন সিএমপির হালিশহর থানার কনস্টেবল নেকবার হোসেন (৪২), ট্রাফিক বন্দর বিভাগের মো. নঈমুল হক (৩৮) এবং কনস্টেবল মামুন উদ্দিন (২৭)। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার কনস্টেবল মো. আমিনুল হক (৪৪) ও চট্টগ্রাম জেলার সদর কোর্টের কনস্টেবল মোখলেছুর রহমান (৫৭)।