৩৩ হাজার ১১৫ আসামির জামিন

ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সারাদেশের অধস্তন আদালত এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১১৫ জন আসামির জামিন দিয়েছে। এ সময় অর্থাৎ ২০ কার্যদিবসে অধস্তন ভার্চুয়াল আদালতে ৬০ হাজার ৪১৯টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ১১ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসে সারাদেশের অধস্তন আদালতে ৩৩ হাজার ২৮৭টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়। জামিন পান ২০ হাজার ৯৩৮ জন আসামি। ৩১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে ১৪ হাজার ৩৪০টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ৬ হাজার ৫৪২ জন আসমিকে জামিন দেয়া হয়। এরপর ৭ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে ১২ হাজার ৭৬২টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে। আর এতে জামিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৭৫ জন আসমি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের অধস্তন আদালত থেকে এক হাজার ১৮৪, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে এক হাজার ১২১, রংপুর বিভাগ থেকে ৪৩৫, বরিশাল বিভাগ থেকে ২৪০, রাজশাহী বিভাগ থেকে ৭৮৪, খুলনা বিভাগ থেকে ৮৩৪, সিলেট বিভাগ থেকে ৫০০ ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধস্তন আদালত থেকে ১০১ জন আসামি জামিন পেয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সাধারণ ছুটির মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আদালতের বিচারকাজ চালানোর জন্য গত ৯ মে অধ্যাদেশ জারির পর ১০ মে ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ জারি করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনটি আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনার’ পাশাপাশি ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর ১১ মে থেকে শুরু হয় দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের যাত্রা।

রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ শাওয়াল ১৪৪

নিম্ন আদালতে

৩৩ হাজার ১১৫ আসামির জামিন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সারাদেশের অধস্তন আদালত এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১১৫ জন আসামির জামিন দিয়েছে। এ সময় অর্থাৎ ২০ কার্যদিবসে অধস্তন ভার্চুয়াল আদালতে ৬০ হাজার ৪১৯টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ১১ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসে সারাদেশের অধস্তন আদালতে ৩৩ হাজার ২৮৭টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়। জামিন পান ২০ হাজার ৯৩৮ জন আসামি। ৩১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে ১৪ হাজার ৩৪০টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ৬ হাজার ৫৪২ জন আসমিকে জামিন দেয়া হয়। এরপর ৭ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে ১২ হাজার ৭৬২টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে। আর এতে জামিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৭৫ জন আসমি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের অধস্তন আদালত থেকে এক হাজার ১৮৪, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে এক হাজার ১২১, রংপুর বিভাগ থেকে ৪৩৫, বরিশাল বিভাগ থেকে ২৪০, রাজশাহী বিভাগ থেকে ৭৮৪, খুলনা বিভাগ থেকে ৮৩৪, সিলেট বিভাগ থেকে ৫০০ ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধস্তন আদালত থেকে ১০১ জন আসামি জামিন পেয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সাধারণ ছুটির মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আদালতের বিচারকাজ চালানোর জন্য গত ৯ মে অধ্যাদেশ জারির পর ১০ মে ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ জারি করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনটি আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনার’ পাশাপাশি ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর ১১ মে থেকে শুরু হয় দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের যাত্রা।