দুই মাস পর জনসম্মুখে আসলেন পুতিন

বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে জনসম্মুখের আড়ালে থাকা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাতীয় ছুটির দিন উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে জারি থাকা লকডাউনের পর বৃহস্পতিবার এই প্রথম প্রকাশ্যে আসলেন তিনি। এপি। মার্কিন এ বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে উত্তর আমেরিকার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের পরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া।

গত শুক্রবার পর্যন্ত পূর্ব ইউরোপের দেশ রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭০৫ জনের। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপনে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন গার্ড রেজিমেন্টের প্যারেড একা দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ সময় পশ্চিম মস্কোর একটি স্মৃতি সৌধে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন দেখেন পুতিন। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পুতিন রাশিয়ার সহস্র বছরের ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। করোনা মহামারীতে সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ করার জন্য তিনি চিকিৎসাকর্মীদের প্রশংসা করেন।

পরে তিনি একটি পুরস্কার বিতরণেও অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি মাস্ক পরা ছিলেন না। তিনি হিরো অব রাশিয়া পদক যাদের হাতে তুলে দেন তাদের মুখেও মাস্ক ছিল না। এর আগে সর্বশেষ মার্চের শেষ দিকে প্রকাশ্যে আসেন পুতিন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই বৈঠকের পরই আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেন দেশজুড়ে। একই সঙ্গে তিনি আঞ্চলিক গভর্নরদের বিধিনিষেধ জারিরও ক্ষমতা দেন। এরপর থেকেই পুতিন প্রায় প্রতিদিন ভিডিও কলের মাধ্যমে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন ও পুতিনে মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন তারা সবাই সুস্থ।

রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ শাওয়াল ১৪৪

দুই মাস পর জনসম্মুখে আসলেন পুতিন

সংবাদ ডেস্ক |

বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে জনসম্মুখের আড়ালে থাকা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাতীয় ছুটির দিন উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে জারি থাকা লকডাউনের পর বৃহস্পতিবার এই প্রথম প্রকাশ্যে আসলেন তিনি। এপি। মার্কিন এ বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে উত্তর আমেরিকার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের পরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া।

গত শুক্রবার পর্যন্ত পূর্ব ইউরোপের দেশ রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭০৫ জনের। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপনে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন গার্ড রেজিমেন্টের প্যারেড একা দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ সময় পশ্চিম মস্কোর একটি স্মৃতি সৌধে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন দেখেন পুতিন। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পুতিন রাশিয়ার সহস্র বছরের ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। করোনা মহামারীতে সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ করার জন্য তিনি চিকিৎসাকর্মীদের প্রশংসা করেন।

পরে তিনি একটি পুরস্কার বিতরণেও অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি মাস্ক পরা ছিলেন না। তিনি হিরো অব রাশিয়া পদক যাদের হাতে তুলে দেন তাদের মুখেও মাস্ক ছিল না। এর আগে সর্বশেষ মার্চের শেষ দিকে প্রকাশ্যে আসেন পুতিন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই বৈঠকের পরই আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেন দেশজুড়ে। একই সঙ্গে তিনি আঞ্চলিক গভর্নরদের বিধিনিষেধ জারিরও ক্ষমতা দেন। এরপর থেকেই পুতিন প্রায় প্রতিদিন ভিডিও কলের মাধ্যমে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন ও পুতিনে মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন তারা সবাই সুস্থ।