শীর্ষে থাকা ইউরোপীয় দেশগুলোতেও কমছে
বিশ্বের প্রায় অর্ধশত দেশ ও অঞ্চলে নিয়মিত করোনার সংক্রমণ ঘটছে না। আরও ১৫/১৬টি দেশে দৈনিক এক থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত মোট ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৬টিতে আক্রান্ত অর্থাৎ করোনা শনাক্ত হওয়া সব রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। দেশগুলো শতভাগ করোনামুক্ত, নেই নতুন সংক্রমণ। এছাড়া করোনা সংক্রমণের শীর্ষে থাকা ইউরোপের দেশগুলোতেও নিয়মিত কমে আসছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব। বর্তমানে বিশে্বর ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের নিয়মিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ার্ল্ডওমিটার।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর খুব দ্রুত সময়েই সারাবিশে্ব ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। প্রথম শনাক্তের মাত্র দুই মাসেই অর্থাৎ গত মার্চের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয় বিশে্বর সবচেয়ে বেশি প্রায় দেড়শ’ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য (গতকাল সন্ধ্যা ৬টা) অনুযায়ী, বিশে্ব মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭৬ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৪০৪ জন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় বিশে্ব নতুন করোনা রোগী (অ্যাক্টিভ কেস) ৩৬ হাজার ৫৯৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৭০ জনের।
করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, মৃত্যুর হারেও শীর্ষে দেশটি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২১ লাখ ৪২ হাজার ৪২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫২৯ জনের। আর করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ১৩২ জন এবং দেশটিতে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। গত মার্চের পর থেকে দেশটিতে নিয়মিত করোনার সংক্রমণ না হলেও গতকাল ৫৭ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
১৬ দেশে শতভাগ রোগী সুস্থ
১৬টি দেশ ও অঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত শতভাগ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ নেই বললেই চলে। দেশগুলো হলো-সেন্ট পিয়েরে মিকুয়েলন, অ্যাগুলা, সেন্ট বার্থ, ক্যারিবিয়ান নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ ঘিনি, সেচ্যালেস, ভ্যাটিকান সিটি, গ্রিনল্যান্ড, ফকল্যান্ডস দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ফিজি, লাউস, থিমুর ল্যাস্টে, ম্যাকাও, ফ্যান্স পলিনেশিয়া ও ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ।
নিয়মিত সংক্রমণ হচ্ছে না প্রায় অর্ধশত দেশে
সংক্রমণের শীর্ষে থাকা দেশগুলোতে করোনার দাপট কমছে। জার্মানিতে গত ১৩ জুন শনাক্ত হয়েছে মাত্র ১৭২ জন করোনা রোগী। ওইদিন ফ্রান্সে শনাক্ত হয় ৫২৬ জন, কানাডায় ৪৬৭ জন, জাপানে ৫০ জন, অস্ট্রিয়ায় ১৪ জন, মালয়েশিয়ায় ৪৩ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ১২ জন, শ্রীলঙ্কায় চারজন।
নিউজিল্যান্ডে গত ১৯ মে’র পর করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। ভিয়েতনামে ১৫ দিনে মাত্র ৬ জন রোগী পাওয়া গেছে। মায়ানমারে গত ১২ জুন একজন রোগী শনাক্ত হয়। গত ৫ মে’র পর মন্টেনেগ্রোতে কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। মঙ্গোলিয়ায় গত এক সপ্তাহে মাত্র তিনজন রোগীর সন্ধ্যান মিলেছে। জিব্রাল্টারে গত ৭ জুন একজন রোগী শনাক্ত হয়, এরপর কারোর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়নি। ক্যাম্বডিয়ায় গত ১৫ দিনে ২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়মিত হচ্ছে।
সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১
শীর্ষে থাকা ইউরোপীয় দেশগুলোতেও কমছে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বিশ্বের প্রায় অর্ধশত দেশ ও অঞ্চলে নিয়মিত করোনার সংক্রমণ ঘটছে না। আরও ১৫/১৬টি দেশে দৈনিক এক থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত মোট ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৬টিতে আক্রান্ত অর্থাৎ করোনা শনাক্ত হওয়া সব রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। দেশগুলো শতভাগ করোনামুক্ত, নেই নতুন সংক্রমণ। এছাড়া করোনা সংক্রমণের শীর্ষে থাকা ইউরোপের দেশগুলোতেও নিয়মিত কমে আসছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব। বর্তমানে বিশে্বর ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের নিয়মিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ার্ল্ডওমিটার।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর খুব দ্রুত সময়েই সারাবিশে্ব ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। প্রথম শনাক্তের মাত্র দুই মাসেই অর্থাৎ গত মার্চের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয় বিশে্বর সবচেয়ে বেশি প্রায় দেড়শ’ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য (গতকাল সন্ধ্যা ৬টা) অনুযায়ী, বিশে্ব মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭৬ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৪০৪ জন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় বিশে্ব নতুন করোনা রোগী (অ্যাক্টিভ কেস) ৩৬ হাজার ৫৯৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৭০ জনের।
করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, মৃত্যুর হারেও শীর্ষে দেশটি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২১ লাখ ৪২ হাজার ৪২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫২৯ জনের। আর করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ১৩২ জন এবং দেশটিতে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। গত মার্চের পর থেকে দেশটিতে নিয়মিত করোনার সংক্রমণ না হলেও গতকাল ৫৭ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
১৬ দেশে শতভাগ রোগী সুস্থ
১৬টি দেশ ও অঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত শতভাগ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ নেই বললেই চলে। দেশগুলো হলো-সেন্ট পিয়েরে মিকুয়েলন, অ্যাগুলা, সেন্ট বার্থ, ক্যারিবিয়ান নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ ঘিনি, সেচ্যালেস, ভ্যাটিকান সিটি, গ্রিনল্যান্ড, ফকল্যান্ডস দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ফিজি, লাউস, থিমুর ল্যাস্টে, ম্যাকাও, ফ্যান্স পলিনেশিয়া ও ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ।
নিয়মিত সংক্রমণ হচ্ছে না প্রায় অর্ধশত দেশে
সংক্রমণের শীর্ষে থাকা দেশগুলোতে করোনার দাপট কমছে। জার্মানিতে গত ১৩ জুন শনাক্ত হয়েছে মাত্র ১৭২ জন করোনা রোগী। ওইদিন ফ্রান্সে শনাক্ত হয় ৫২৬ জন, কানাডায় ৪৬৭ জন, জাপানে ৫০ জন, অস্ট্রিয়ায় ১৪ জন, মালয়েশিয়ায় ৪৩ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ১২ জন, শ্রীলঙ্কায় চারজন।
নিউজিল্যান্ডে গত ১৯ মে’র পর করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। ভিয়েতনামে ১৫ দিনে মাত্র ৬ জন রোগী পাওয়া গেছে। মায়ানমারে গত ১২ জুন একজন রোগী শনাক্ত হয়। গত ৫ মে’র পর মন্টেনেগ্রোতে কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। মঙ্গোলিয়ায় গত এক সপ্তাহে মাত্র তিনজন রোগীর সন্ধ্যান মিলেছে। জিব্রাল্টারে গত ৭ জুন একজন রোগী শনাক্ত হয়, এরপর কারোর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়নি। ক্যাম্বডিয়ায় গত ১৫ দিনে ২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়মিত হচ্ছে।