আক্রান্ত ৮৭ হাজার ছাড়ালো মৃত্যু ১১৭১ জন

একদিনে শনাক্ত ৩১৪১, মৃত্যু ৩২ জন

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এতে মারা গেলেন এক হাজার ১৭১ জন। নতুন করে আরও তিন হাজার ১৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৭ হাজার ৫২০ জনে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ৬০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৬৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৫০৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ এক হাজার ৪৬৫টি। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯০৩ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৮ হাজার ৩৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ২৭ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং একজন করে বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভা?গের। ২০ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, ১১ জন বাসায় এবং একজনকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব নয়জন, সত্তরোর্ধ্ব দুইজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী তিনজন রয়েছেন।

করোনা আক্রান্তের তালিকায় বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৮ তম। কয়েকদিন আগেও ছিল ২০তম। সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থান অবনতির দিকে যাচ্ছে। এর আগে করোনায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল করোনার উৎপত্তি স্থল চীনের পরে। এখন চীনের পাশাপাশি কাতারকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ্যডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের স্ত্রী কামরুন নাহারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হয়ে মারা গেলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। রোববার সকালে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট দেয়া হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৭১২ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৫ হাজার ২৮১ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯৪ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৯ হাজার ৭৫৮ জন। হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৭৯২ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার ৪৩৪ জনকে। কোয়ারেন্টিইন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৭৬৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬২২ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৪ জন।

বুলেটিনে বলা হয়, দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১

দেশে করোনা পরিস্থিতি

আক্রান্ত ৮৭ হাজার ছাড়ালো মৃত্যু ১১৭১ জন

একদিনে শনাক্ত ৩১৪১, মৃত্যু ৩২ জন

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এতে মারা গেলেন এক হাজার ১৭১ জন। নতুন করে আরও তিন হাজার ১৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৭ হাজার ৫২০ জনে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ৬০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৬৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৫০৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ এক হাজার ৪৬৫টি। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯০৩ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৮ হাজার ৩৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ২৭ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং একজন করে বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভা?গের। ২০ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, ১১ জন বাসায় এবং একজনকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব নয়জন, সত্তরোর্ধ্ব দুইজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী তিনজন রয়েছেন।

করোনা আক্রান্তের তালিকায় বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৮ তম। কয়েকদিন আগেও ছিল ২০তম। সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থান অবনতির দিকে যাচ্ছে। এর আগে করোনায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল করোনার উৎপত্তি স্থল চীনের পরে। এখন চীনের পাশাপাশি কাতারকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ্যডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের স্ত্রী কামরুন নাহারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হয়ে মারা গেলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। রোববার সকালে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট দেয়া হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৭১২ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৫ হাজার ২৮১ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯৪ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৯ হাজার ৭৫৮ জন। হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৭৯২ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার ৪৩৪ জনকে। কোয়ারেন্টিইন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৭৬৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬২২ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৪ জন।

বুলেটিনে বলা হয়, দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।