ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার প্রায় ৬৭ ভাগ স্থাপনায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। ডিএনসিসির টানা দশ দিনের চিরুনি অভিযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। চিরুনি অভিযানে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে সিটি করপোরেশন। যেখানে ৮৯ হাজার ৬২৬টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১ হাজার ৬০১টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এ কারণে সংশ্লিষ্টদের ২৪ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির এই অভিযান গতকাল শেষ হয়েছে।
অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনার ভয়কে জয় করে এই চিরুনি অভিযান সফল করতে আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা সাহসী ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। আগামী মাসে আমরা ২য় পর্যায়ে চিরুনি অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমি আশা করি তখনও আপনাদেরকে এভাবেই আমাদের পাশে পাবো।
ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্ততে জানানো হয়, চিরুনি অভিযানের দশম ও শেষ দিনে মোট ১৩ হাজার ৩৬৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে ১৬০ টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯ হাজার ৩৫টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯টি মামলায় মোট ৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও অ্যাডিসের লার্ভা পাওয়ায় অন্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযানে দেখা যায় ডিএনসিসির শতকরা প্রায় ৬৭ ভাগ স্থাপনায় অ্যাডিসের বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ বিরাজমান এবং শতকরা প্রায় ১.২ ভাগ স্থাপনায় অ্যাডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়া স্থানগুলো হচ্ছে- নির্মাণাধীন ভবন, পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ফুলের টব, বোতল, পানির মিটার, গ্যারেজ, পানির হাউস, মাটির পাত্র, ভাঙ্গা মগ, বাড়ির মেঝে ইত্যাদি। এই অভিযানে প্রতীয়মান হয়েছে যে, নগরবাসীর অনেকের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবন, বাড়ি ও স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে আরও সচেতনতা প্রয়োজন। এবারের চিরুনি অভিযানের অন্যতম সংযোজন ছিল অ্যাপের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা শুরু করা। চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার লার্ভা কিংবা অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিশেষ অ্যাপে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি হবে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতে ধাপে তাদেরকে মনিটর করা সহজ হবে।
মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ , ২ আষাঢ় ১৪২৭, ২৩ শাওয়াল ১৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার প্রায় ৬৭ ভাগ স্থাপনায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। ডিএনসিসির টানা দশ দিনের চিরুনি অভিযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। চিরুনি অভিযানে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে সিটি করপোরেশন। যেখানে ৮৯ হাজার ৬২৬টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১ হাজার ৬০১টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এ কারণে সংশ্লিষ্টদের ২৪ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির এই অভিযান গতকাল শেষ হয়েছে।
অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনার ভয়কে জয় করে এই চিরুনি অভিযান সফল করতে আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা সাহসী ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। আগামী মাসে আমরা ২য় পর্যায়ে চিরুনি অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমি আশা করি তখনও আপনাদেরকে এভাবেই আমাদের পাশে পাবো।
ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্ততে জানানো হয়, চিরুনি অভিযানের দশম ও শেষ দিনে মোট ১৩ হাজার ৩৬৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে ১৬০ টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯ হাজার ৩৫টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯টি মামলায় মোট ৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও অ্যাডিসের লার্ভা পাওয়ায় অন্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযানে দেখা যায় ডিএনসিসির শতকরা প্রায় ৬৭ ভাগ স্থাপনায় অ্যাডিসের বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ বিরাজমান এবং শতকরা প্রায় ১.২ ভাগ স্থাপনায় অ্যাডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়া স্থানগুলো হচ্ছে- নির্মাণাধীন ভবন, পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ফুলের টব, বোতল, পানির মিটার, গ্যারেজ, পানির হাউস, মাটির পাত্র, ভাঙ্গা মগ, বাড়ির মেঝে ইত্যাদি। এই অভিযানে প্রতীয়মান হয়েছে যে, নগরবাসীর অনেকের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবন, বাড়ি ও স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে আরও সচেতনতা প্রয়োজন। এবারের চিরুনি অভিযানের অন্যতম সংযোজন ছিল অ্যাপের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা শুরু করা। চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার লার্ভা কিংবা অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিশেষ অ্যাপে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি হবে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতে ধাপে তাদেরকে মনিটর করা সহজ হবে।