করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত দিল্লি

বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ৪ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি প্রাণ কেড়ে নেয়া করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। বিশেষ করে দেশটির তিন রাজ্য মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও দিল্লিতে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশটি এ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এর জেরে রাজধানী দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টায় এ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগের দিন রোববার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় জরুরিভিত্তিতে ট্রেনের ৫০০ কামরাকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করার ঘোষণা দেন তিনি । ভারতীয় সরকারি নোটের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। এনটিভি, বিবিসি।

এদিকে বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখে পৌঁছেছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার। মার্কিন বিশ^বিদ্যালয় জনস হপকিন্স-এর পক্ষ থেকে দেয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ১৯ জনের। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল ও পূর্ব ইউরোপের দেশ রাশিয়ার পরই দক্ষিণ এশিয়ার ভারতের অবস্থান। দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এদিন (সোমবার) সকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজারের কাছাকাছি (২০ হাজার ৯২২ জন)। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৯৫ জনে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র, দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর পর করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য দিল্লিতে সেখানকার আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে ২০ হাজার বেড বাড়াতে হোটেল ও ব্যাঙ্কোয়েটগুলো অধীনে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লির রাজ্য সরকার। এরমধ্যে দিল্লির সঙ্গে সীমানা সিল করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা। তাদের যুক্তি, দিল্লিতে আসা এবং দিল্লি থেকে যাওয়া লোকজনের মাধ্যমে রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছে।

দিল্লিতে যে হারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে যা বেড খালি রয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যে ভর্তি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগের দিন রোববার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে পৃথক বৈঠকের পর একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন অমিত শাহ। এরমধ্যে করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য শয্যা এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে ৫০০ মালবাহী ট্রেন ব্যবহারের বিষয়টিও রয়েছে।

গতকাল বৈঠকে মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ুসহ অন্য রাজ্য সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া বিধিনিষেধ নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বিজেপি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদি পার্টিকে।

অপরদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রোববার বৈঠক করে ৫০০ ট্রেনের কামরা দেয়ার কথা ঘোষণা করেন অমিত শাহ। বরাদ্দকৃত এসব কামরায় অতিরিক্ত ৮০০০ শয্যা তৈরি করে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হবে। এদিনের বৈঠকে শাহ বলেছেন, পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য দিল্লি সরকারকে সহায়তা করবে কেন্দ্র। একইসঙ্গে বেডের অভাব মেটাতে ৫০০ ট্রেনের কামরার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানেই গড়ে তোলা হবে আইসোলেশন ওয়ার্ড। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনও। অমিত শাহের সঙ্গে কথা হওয়ার পর এক টুইটার বার্তায় কেজরিওয়াল জানান, ‘দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে খুবই ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেকগুলো কার্যকরি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়ব।’

এদিনের বৈঠকে দিল্লিতে নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রেও জোর দেয়া হচ্ছে। অমিত শাহ বলেছেন, দু’দিনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দ্বিগুণ কড়া হবে দিল্লিতে। ছয় দিনের মধ্যে তা তিন গুণ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রাখার জন্য এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার জন্য অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সায়েন্সের জেষ্ঠ্য চিকিৎসকদের নিয়ে একটি কমিটি গড়া হবে। তারা টেলিফোনের মাধ্যমে পরামর্শ দেবেন। অপরদিকে এক টুইটার বার্তায় অমিত শাহ জানিয়েছেন, দিল্লির করোনা শয্যার অভাব মেটাতে ৫০০টি রেলবগির সহায়তা নেয়া হবে। এর জেরে ৮০০টি বেডের সমস্যা মিটবে। করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো থাকবে সেই বগিগুলোতে।

চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়াতে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর দিয়েও দিল্লিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র।

এর পাশাপাশি এক টুইটার বার্তায় দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অনিল কুমার বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল দিল্লি ও সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের বার্তা পেয়েছি।

মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ , ২ আষাঢ় ১৪২৭, ২৩ শাওয়াল ১৪৪

সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক

করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত দিল্লি

সংবাদ ডেস্ক |

বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ৪ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি প্রাণ কেড়ে নেয়া করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। বিশেষ করে দেশটির তিন রাজ্য মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও দিল্লিতে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশটি এ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এর জেরে রাজধানী দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টায় এ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগের দিন রোববার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় জরুরিভিত্তিতে ট্রেনের ৫০০ কামরাকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করার ঘোষণা দেন তিনি । ভারতীয় সরকারি নোটের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। এনটিভি, বিবিসি।

এদিকে বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখে পৌঁছেছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার। মার্কিন বিশ^বিদ্যালয় জনস হপকিন্স-এর পক্ষ থেকে দেয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ১৯ জনের। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল ও পূর্ব ইউরোপের দেশ রাশিয়ার পরই দক্ষিণ এশিয়ার ভারতের অবস্থান। দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এদিন (সোমবার) সকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজারের কাছাকাছি (২০ হাজার ৯২২ জন)। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৯৫ জনে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র, দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর পর করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য দিল্লিতে সেখানকার আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে ২০ হাজার বেড বাড়াতে হোটেল ও ব্যাঙ্কোয়েটগুলো অধীনে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লির রাজ্য সরকার। এরমধ্যে দিল্লির সঙ্গে সীমানা সিল করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা। তাদের যুক্তি, দিল্লিতে আসা এবং দিল্লি থেকে যাওয়া লোকজনের মাধ্যমে রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছে।

দিল্লিতে যে হারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে যা বেড খালি রয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যে ভর্তি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগের দিন রোববার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে পৃথক বৈঠকের পর একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন অমিত শাহ। এরমধ্যে করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য শয্যা এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে ৫০০ মালবাহী ট্রেন ব্যবহারের বিষয়টিও রয়েছে।

গতকাল বৈঠকে মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ুসহ অন্য রাজ্য সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া বিধিনিষেধ নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বিজেপি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদি পার্টিকে।

অপরদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রোববার বৈঠক করে ৫০০ ট্রেনের কামরা দেয়ার কথা ঘোষণা করেন অমিত শাহ। বরাদ্দকৃত এসব কামরায় অতিরিক্ত ৮০০০ শয্যা তৈরি করে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হবে। এদিনের বৈঠকে শাহ বলেছেন, পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য দিল্লি সরকারকে সহায়তা করবে কেন্দ্র। একইসঙ্গে বেডের অভাব মেটাতে ৫০০ ট্রেনের কামরার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানেই গড়ে তোলা হবে আইসোলেশন ওয়ার্ড। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনও। অমিত শাহের সঙ্গে কথা হওয়ার পর এক টুইটার বার্তায় কেজরিওয়াল জানান, ‘দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে খুবই ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেকগুলো কার্যকরি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়ব।’

এদিনের বৈঠকে দিল্লিতে নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রেও জোর দেয়া হচ্ছে। অমিত শাহ বলেছেন, দু’দিনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দ্বিগুণ কড়া হবে দিল্লিতে। ছয় দিনের মধ্যে তা তিন গুণ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রাখার জন্য এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার জন্য অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সায়েন্সের জেষ্ঠ্য চিকিৎসকদের নিয়ে একটি কমিটি গড়া হবে। তারা টেলিফোনের মাধ্যমে পরামর্শ দেবেন। অপরদিকে এক টুইটার বার্তায় অমিত শাহ জানিয়েছেন, দিল্লির করোনা শয্যার অভাব মেটাতে ৫০০টি রেলবগির সহায়তা নেয়া হবে। এর জেরে ৮০০টি বেডের সমস্যা মিটবে। করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো থাকবে সেই বগিগুলোতে।

চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়াতে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর দিয়েও দিল্লিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র।

এর পাশাপাশি এক টুইটার বার্তায় দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অনিল কুমার বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল দিল্লি ও সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের বার্তা পেয়েছি।