ফেনীতে দুই মাসে আক্রান্ত ৫০০

ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ২ মাসের মাথায় জেলাজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫শ ছাড়িয়ে গেছে।

জেলার ৬ উপজেলায় এখন মোট রোগীর সংখ্যা ৫শ ১৪জন। গত সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর ৩০ দিনের মাথায় ১৬ মে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০।

এর পরের ৪শ ৭৬ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে সময় লেগেছে মাত্র একমাস। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১শ ১৯ জন। মারা গেছে ১১ জন। জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, গত সোমবার পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলা থেকে মোট ৩ হাজার ৮শ ১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা শেষে ২ হাজার ৮শ ৫৫ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৫শ ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।

বর্তমানে ১৯ জন আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সদর উপজেলার ৩ জন, সোনাগাজী উপজেলায় ৫ জন, দাগনভূঞা উপজেলায় ২ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। অন্যদিকে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও অর্ধশত।

ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এস এম মাসুদ রানা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জেলার তিন উপজেলার ৮টি এলাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন দেয়া হয়েছে। ঈদের সময় বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক লোক বাড়ি এসে অবাধে চলাফেরা করেছেন। এতে সংক্রমণ বেড়েছে।

বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ , ৩ আষাঢ় ১৪২৭, ২৪ শাওয়াল ১৪৪১

ফেনীতে দুই মাসে আক্রান্ত ৫০০

প্রতিনিধি, ফেনী

ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ২ মাসের মাথায় জেলাজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫শ ছাড়িয়ে গেছে।

জেলার ৬ উপজেলায় এখন মোট রোগীর সংখ্যা ৫শ ১৪জন। গত সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর ৩০ দিনের মাথায় ১৬ মে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০।

এর পরের ৪শ ৭৬ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে সময় লেগেছে মাত্র একমাস। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১শ ১৯ জন। মারা গেছে ১১ জন। জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, গত সোমবার পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলা থেকে মোট ৩ হাজার ৮শ ১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা শেষে ২ হাজার ৮শ ৫৫ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৫শ ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।

বর্তমানে ১৯ জন আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সদর উপজেলার ৩ জন, সোনাগাজী উপজেলায় ৫ জন, দাগনভূঞা উপজেলায় ২ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। অন্যদিকে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও অর্ধশত।

ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এস এম মাসুদ রানা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জেলার তিন উপজেলার ৮টি এলাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন দেয়া হয়েছে। ঈদের সময় বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক লোক বাড়ি এসে অবাধে চলাফেরা করেছেন। এতে সংক্রমণ বেড়েছে।