জোনভিত্তিক সীমানা নির্ধারণ হয়নি এখনও

রেড (লাল), ইয়েলো (হলুদ) এবং গ্রিন (সবুজ) জোনভিত্তিক লকডাউনের এলাকার সীমানা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। রেডজোনের এলাকা চিহ্নিত হওয়ার পরেও লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আরও চার-পাঁচ দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)’র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তবে জোনভিত্তিক লকডাউনের জন্য রোগীর সংখ্যা ও সীমানা নির্ধারণের কাজ করছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার ছাড়া দেশের কোথাও কোন এলাকাকেই রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি এবং কোথাও লকডাউনও কার্যকর নয়। তবে যখন থেকে যে এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করে লকডাউন কার্যকর করা হবে তখন থেকেই ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি কার্যকর হবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।

জোনিং পদ্ধতিতে লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনে বৈঠক করেন ডিএসসিসি’র মেয়র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতি সংক্রমণের পাড়া-মহল্লা সুনির্দিষ্ট করতেই দুই থেকে তিন দিন লেগে যাবে। তারপরে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আরও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন এসেছে। এ নিয়ে কিছু কনফিউশনও সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু আমি মনে করি এখানে কনফিউশনের কোন অবকাশ নেই। এখানে আমাদের যে লাল জোন চিহ্নিত করে দেয়া হবে আমরা সেই লাল জোন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করব। এই প্রজ্ঞাপন পাওয়ার প্রেক্ষিতেই আমরা এই সভা ডেকেছি। একটি ব্যবস্থাপনা কমিটিও করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটির আওতায় সবাইকে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে বাস্তবায়ন করব। নির্ধারিত ওয়ার্ড বা পুরো এলাকা অবরুদ্ধ না করে শুধু ‘বেশি আক্রান্ত এলাকায়’ লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে।

মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করবেন তারা। বিশেষ করে জোনিংয়ের মধ্যে লাল জোন নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন, সেটা বাস্তবায়ন করাই আমাদের প্রথম দায়িত্ব। যেই এলাকায় সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে, নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে জানাবে যে, এই এলাকাটা এই মহল্লাটা বা রাস্তাটা লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেটাকে লাল জোনের আওতায় এনে লকডাউন বাস্তবায়ন করব। আশা করছি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় যে সুনির্দিষ্ট এলাকা সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করব। গাইডলাইনে আমরা পেয়েছি সেখানে যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে, যারা আক্রান্ত না তাদেরও কোন স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন হলে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এবং সেখানে অফিস-আদালতসহ অন্য কর্মকা- বন্ধ থাকবে। এই এলাকায় যারা আছেন তাদের জন্য খাদ্যসেবা এবং যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে আছেন তাদের বিনামূল্যে খাদ্যসেবা দিতে আমাদের গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। এটা একটা ব্যাপক কার্যক্রম। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২৮টি এলাকার কথা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। সেই ২৮টি এলাকা বড়, এই বিষয়টা আমরা জানিয়েছি, তারাও অনুধাবন করেছে, তারাও সুনির্দিষ্ট একটি ওয়ার্ড ও অনেক ক্ষেত্রে বড় ওয়ার্ড সেই ওয়ার্ডের সব জায়গায় লকডাউন হোক চায় না। আমরা চাই সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কম কষ্ট হয় এমনভাবে যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। যারা শুধু সংক্রমিত তাদেরকে লকডাউনের আওতায় আনতে চাই। বাকি জীবন-জীবিকা স্বাভাবিকভাবে যেন চলতে পারে সেই বিষয়গুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’

লকডাউন বাস্তবায়নে কত সময় লাগতে পারে জানতে সাংবাদিকরা চাইলে মেয়র বলেন, আগামী দুই-তিন দিন তাদের লাগবে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে এলাকা নিশ্চিত করতে। তারপর আমাদের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা লাগবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে।

যে সব এলাকা লকডাউনের আওতায় আনা হতে তাদের সাময়িক কষ্ট মেনে নেয়ার আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস। তিনি বলেন, আমরা ঢাকাবাসী সবাই এটা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, এটা একটা সংক্রামক ব্যাধি। আমি অনুরোধ করব, নিজের কষ্ট সাধন হলেও নিজে নিরাপদ থাকতে অন্যকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এই লকডাউনের সময় সাময়িক কষ্ট ছাড়া এই মহামারী থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই। আমি জানি লকডাউনে অনেকেরই কষ্ট হবে, বিপদ হবে, ভবিষ্যতের চিন্তা করে সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই ব্যাধি থেকে মুক্ত হতে সবাইকে কষ্ট করতে হবে। কষ্ট সহ্য করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

জোনভিত্তিক লকডাউনের জন্য রোগীর সংখ্যা ও সীমিনা নির্ধারণের কাজ চলছে উল্লেখ করে আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ডা. মোস্তাক হোসেন সংবাদকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি পরামর্শ ছিল ভৌগলিক বিবেচনা করে পুরো এলাকা লকডাউন করার। কিন্তু রোগী সংখ্যা বিবেচনা জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তাবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আইইডিসিআর’র পক্ষ থেকে রোগীর সংখ্যা ও সীমানা নির্ধারণের কাজ করা হচ্ছে। এজন্য জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

তবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার ছাড়া দেশের কোথাও কোন এলাকাকেই রেডজোন হিসেবে ঘোষণার অফিশিয়াল কোন তথ্য নাই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আলী কদর। তিনি মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, রেডজোনে ছুটি কার্যকরের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের বিষয় না। তবে আমার জানা মতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার ছাড়া দেশের কোন এলাকা রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করার অফিশিয়াল কোন আদেশ আমরা পাইনি।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বিদ্যমান সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী রাজধানীর বাইরে জেলাগুলোয় কোন এলাকা লকডাউন করতে হলে সেই জেলার সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি নিয়েই লকডাউন করতে হবে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার লকডাউন কার্যকর করবেন।

বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ , ৩ আষাঢ় ১৪২৭, ২৪ শাওয়াল ১৪৪১

লাল-হলুদ-সবুজ

জোনভিত্তিক সীমানা নির্ধারণ হয়নি এখনও

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রেড (লাল), ইয়েলো (হলুদ) এবং গ্রিন (সবুজ) জোনভিত্তিক লকডাউনের এলাকার সীমানা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। রেডজোনের এলাকা চিহ্নিত হওয়ার পরেও লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আরও চার-পাঁচ দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)’র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তবে জোনভিত্তিক লকডাউনের জন্য রোগীর সংখ্যা ও সীমানা নির্ধারণের কাজ করছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার ছাড়া দেশের কোথাও কোন এলাকাকেই রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি এবং কোথাও লকডাউনও কার্যকর নয়। তবে যখন থেকে যে এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করে লকডাউন কার্যকর করা হবে তখন থেকেই ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি কার্যকর হবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।

জোনিং পদ্ধতিতে লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনে বৈঠক করেন ডিএসসিসি’র মেয়র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতি সংক্রমণের পাড়া-মহল্লা সুনির্দিষ্ট করতেই দুই থেকে তিন দিন লেগে যাবে। তারপরে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আরও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন এসেছে। এ নিয়ে কিছু কনফিউশনও সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু আমি মনে করি এখানে কনফিউশনের কোন অবকাশ নেই। এখানে আমাদের যে লাল জোন চিহ্নিত করে দেয়া হবে আমরা সেই লাল জোন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করব। এই প্রজ্ঞাপন পাওয়ার প্রেক্ষিতেই আমরা এই সভা ডেকেছি। একটি ব্যবস্থাপনা কমিটিও করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটির আওতায় সবাইকে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে বাস্তবায়ন করব। নির্ধারিত ওয়ার্ড বা পুরো এলাকা অবরুদ্ধ না করে শুধু ‘বেশি আক্রান্ত এলাকায়’ লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে।

মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করবেন তারা। বিশেষ করে জোনিংয়ের মধ্যে লাল জোন নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন, সেটা বাস্তবায়ন করাই আমাদের প্রথম দায়িত্ব। যেই এলাকায় সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে, নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে জানাবে যে, এই এলাকাটা এই মহল্লাটা বা রাস্তাটা লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেটাকে লাল জোনের আওতায় এনে লকডাউন বাস্তবায়ন করব। আশা করছি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় যে সুনির্দিষ্ট এলাকা সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করব। গাইডলাইনে আমরা পেয়েছি সেখানে যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে, যারা আক্রান্ত না তাদেরও কোন স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন হলে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এবং সেখানে অফিস-আদালতসহ অন্য কর্মকা- বন্ধ থাকবে। এই এলাকায় যারা আছেন তাদের জন্য খাদ্যসেবা এবং যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে আছেন তাদের বিনামূল্যে খাদ্যসেবা দিতে আমাদের গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। এটা একটা ব্যাপক কার্যক্রম। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২৮টি এলাকার কথা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। সেই ২৮টি এলাকা বড়, এই বিষয়টা আমরা জানিয়েছি, তারাও অনুধাবন করেছে, তারাও সুনির্দিষ্ট একটি ওয়ার্ড ও অনেক ক্ষেত্রে বড় ওয়ার্ড সেই ওয়ার্ডের সব জায়গায় লকডাউন হোক চায় না। আমরা চাই সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কম কষ্ট হয় এমনভাবে যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। যারা শুধু সংক্রমিত তাদেরকে লকডাউনের আওতায় আনতে চাই। বাকি জীবন-জীবিকা স্বাভাবিকভাবে যেন চলতে পারে সেই বিষয়গুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’

লকডাউন বাস্তবায়নে কত সময় লাগতে পারে জানতে সাংবাদিকরা চাইলে মেয়র বলেন, আগামী দুই-তিন দিন তাদের লাগবে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে এলাকা নিশ্চিত করতে। তারপর আমাদের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা লাগবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে।

যে সব এলাকা লকডাউনের আওতায় আনা হতে তাদের সাময়িক কষ্ট মেনে নেয়ার আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস। তিনি বলেন, আমরা ঢাকাবাসী সবাই এটা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, এটা একটা সংক্রামক ব্যাধি। আমি অনুরোধ করব, নিজের কষ্ট সাধন হলেও নিজে নিরাপদ থাকতে অন্যকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এই লকডাউনের সময় সাময়িক কষ্ট ছাড়া এই মহামারী থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই। আমি জানি লকডাউনে অনেকেরই কষ্ট হবে, বিপদ হবে, ভবিষ্যতের চিন্তা করে সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই ব্যাধি থেকে মুক্ত হতে সবাইকে কষ্ট করতে হবে। কষ্ট সহ্য করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

জোনভিত্তিক লকডাউনের জন্য রোগীর সংখ্যা ও সীমিনা নির্ধারণের কাজ চলছে উল্লেখ করে আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ডা. মোস্তাক হোসেন সংবাদকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি পরামর্শ ছিল ভৌগলিক বিবেচনা করে পুরো এলাকা লকডাউন করার। কিন্তু রোগী সংখ্যা বিবেচনা জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তাবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আইইডিসিআর’র পক্ষ থেকে রোগীর সংখ্যা ও সীমানা নির্ধারণের কাজ করা হচ্ছে। এজন্য জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

তবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার ছাড়া দেশের কোথাও কোন এলাকাকেই রেডজোন হিসেবে ঘোষণার অফিশিয়াল কোন তথ্য নাই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আলী কদর। তিনি মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, রেডজোনে ছুটি কার্যকরের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের বিষয় না। তবে আমার জানা মতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার ছাড়া দেশের কোন এলাকা রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করার অফিশিয়াল কোন আদেশ আমরা পাইনি।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বিদ্যমান সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী রাজধানীর বাইরে জেলাগুলোয় কোন এলাকা লকডাউন করতে হলে সেই জেলার সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি নিয়েই লকডাউন করতে হবে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার লকডাউন কার্যকর করবেন।