কোন নির্দেশনা ও বিধি কাজে লাগছে না

বাঁচতে হলে এখন নিজেকে ঘরে রাখতে হবে

করোনাভাইরাসের মধ্যে বেঁচে থাকাই অনিশ্চিত। এখন বাঁচতে হলে নিজেকে ঘরের মধ্যে সুরক্ষায় থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় কোন নির্দেশ সাধারণ মানুষ মানছে না। করোনাভাইরাসের একশ’ দিন পার হয়ে গেলেও নানা গাফিলতির কারণে অবস্থার এখনও অবনতি হচ্ছে। উন্নতির কোন আসা দেখছি না। মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত এখন জোনভিত্তিতে যে লকডাউন করেছে তা কতটুকু কার্যকর হবে তাও অনিশ্চিত। এলাকাভিত্তিক না দিয়ে এখন রাজধানীতে কারফিউ জারি করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।

কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সরকারের নির্দেশনা কাজে লাগেনি। অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞরা দ্বিমত পোষণ করেছেন। তখন কেউ কথা শুনেনি। এখন তাদের মতে, বেঁচে থাকার জন্য নিজেকেই ঘরে থাকতে হবে। তাও কমপক্ষে ২১ দিন। এখন যে অবস্থা চলছে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। তাই নিজের বাঁচা নিজেকেই বাঁচতে হবে। হাসপাতালে এখন চিকিৎসা পাওয়া কষ্টকর। রোগী আর রোগী। জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে রাজধানীতে কারফিউ জারি করে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জোনভিত্তিক লকডাউন কার্যকর কতটুকু সফল হতে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। তাই হাসপাতালের সক্ষমতা, আইসিউর সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।

একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনা সংক্রমণ দেশে একশ’ দিন পার হয়ে গেছে। উন্নতি তো দূরের কথা এখন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরে গাফিলতির কারণে হয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন। তাদের মতে, জোনভিত্তিক লকডাউন স্বাস্থ্য বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। আর স্থানীয় জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে তা কার্যকর করতে হবে। স্থানীয় জনসাধারণ অংশগ্রহণ করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, এখন নিজে ও নিজের পরিবারকে বাঁচাতে নিজেদের সতর্ক হতে হবে এবং নিজে ও পরিবারের সুরক্ষা নিজেকেই করতে হবে। রেডজোনে লকডাউন সম্পর্কে তিনি বলেন, যেভাবে ওয়ার্ড ও মহল্লাভিত্তিক লকডাউন হচ্ছে তা কোনভাবে ফলপ্রসূ হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। হাসপাতালে এখনই জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তারদের চিকিৎসার জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিজের নিরাপত্তা নিজের একশ’ ভাগ করতে হবে। পারসোনাল প্রটেকশন নিজের করতে হবে। বাইরে ঘোরাফেরা এড়িয়ে চলতে হবে। এখন আর কোন উপায় নেই। জোন ভাগ করেও কাজ হবে না। এক জোন ভালো হলে সেই জোনের লোক আরেক জোনে যাবে। তখন আবার ছড়াবে। যাহোক এখন নিজের নিরাপত্তা নিজেকে নিতে হবে।

বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ , ৩ আষাঢ় ১৪২৭, ২৪ শাওয়াল ১৪৪১

বিশেষজ্ঞ অভিমত

কোন নির্দেশনা ও বিধি কাজে লাগছে না

বাঁচতে হলে এখন নিজেকে ঘরে রাখতে হবে

বাকিবিল্লাহ |

করোনাভাইরাসের মধ্যে বেঁচে থাকাই অনিশ্চিত। এখন বাঁচতে হলে নিজেকে ঘরের মধ্যে সুরক্ষায় থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় কোন নির্দেশ সাধারণ মানুষ মানছে না। করোনাভাইরাসের একশ’ দিন পার হয়ে গেলেও নানা গাফিলতির কারণে অবস্থার এখনও অবনতি হচ্ছে। উন্নতির কোন আসা দেখছি না। মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত এখন জোনভিত্তিতে যে লকডাউন করেছে তা কতটুকু কার্যকর হবে তাও অনিশ্চিত। এলাকাভিত্তিক না দিয়ে এখন রাজধানীতে কারফিউ জারি করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।

কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সরকারের নির্দেশনা কাজে লাগেনি। অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞরা দ্বিমত পোষণ করেছেন। তখন কেউ কথা শুনেনি। এখন তাদের মতে, বেঁচে থাকার জন্য নিজেকেই ঘরে থাকতে হবে। তাও কমপক্ষে ২১ দিন। এখন যে অবস্থা চলছে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। তাই নিজের বাঁচা নিজেকেই বাঁচতে হবে। হাসপাতালে এখন চিকিৎসা পাওয়া কষ্টকর। রোগী আর রোগী। জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে রাজধানীতে কারফিউ জারি করে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জোনভিত্তিক লকডাউন কার্যকর কতটুকু সফল হতে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। তাই হাসপাতালের সক্ষমতা, আইসিউর সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।

একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনা সংক্রমণ দেশে একশ’ দিন পার হয়ে গেছে। উন্নতি তো দূরের কথা এখন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরে গাফিলতির কারণে হয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন। তাদের মতে, জোনভিত্তিক লকডাউন স্বাস্থ্য বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। আর স্থানীয় জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে তা কার্যকর করতে হবে। স্থানীয় জনসাধারণ অংশগ্রহণ করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, এখন নিজে ও নিজের পরিবারকে বাঁচাতে নিজেদের সতর্ক হতে হবে এবং নিজে ও পরিবারের সুরক্ষা নিজেকেই করতে হবে। রেডজোনে লকডাউন সম্পর্কে তিনি বলেন, যেভাবে ওয়ার্ড ও মহল্লাভিত্তিক লকডাউন হচ্ছে তা কোনভাবে ফলপ্রসূ হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। হাসপাতালে এখনই জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তারদের চিকিৎসার জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিজের নিরাপত্তা নিজের একশ’ ভাগ করতে হবে। পারসোনাল প্রটেকশন নিজের করতে হবে। বাইরে ঘোরাফেরা এড়িয়ে চলতে হবে। এখন আর কোন উপায় নেই। জোন ভাগ করেও কাজ হবে না। এক জোন ভালো হলে সেই জোনের লোক আরেক জোনে যাবে। তখন আবার ছড়াবে। যাহোক এখন নিজের নিরাপত্তা নিজেকে নিতে হবে।