গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া

ভয়াবহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সাধারণ ছুটিতে সরকারি নির্দেশে সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ থাকা গণপরিবহন গত ৩১ মে থেকে কতিপয় নির্দেশনা ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের শর্তে পুনরায় চালুর ঘোষণা প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে, সামাজিক দূরত্বের কারণে বাসে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে বলে পরিবহন মালিকদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি আমলে নিয়ে সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু এতে করে মালিকরা বরাবরের মতো লাভবান হলেও চলমান ক্রান্তিকালেও ফেঁসে গেল সাধারণ যাত্রীরা।

স্বাভাবিক সময়েও অতিরিক্ত ভাড়া, আসনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, থেমে থেমে পথচলাসহ নানা চাপে যাত্রীদের বিড়ম্বনার অন্ত নেই। তাছাড়া কোন কারণে ভাড়া বাড়ানোর পর বিশেষ অবস্থা কেটে যাওয়ার পরেও তা কমানোর নজির খুব একটা নেই। আর এবারও তার ব্যতিক্রম হবে কিনা- তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। চলমান সংকটে যেসব স্বাস্থ্যবিধির কথা মেনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাও প্রথম দিন থেকে অনেকটাই লঙ্ঘিত। তাই কেবল যাত্রীদের দূরত্ব আর তাদের মুখের মাস্ক যে উদ্ভুত বিপর্যয় এড়াতে যথেষ্ট নয় তা নিশ্চিত। তার উপর বর্ধিত ভাড়া নিশ্চিত ও নিয়মিত আয়ের ব্যক্তিদের জন্য কম চাপের হলেও অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ও নিম্নবিত্তদের জন্য নিঃসন্দেহেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তাছাড়া যে কারণে এই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সেই আপদকালের স্থায়িত্ব সম্পর্কেও আমরা কিছু জানি না।

একদিকে অদৃশ্য ভাইরাসের আক্রমণের ভয় আর অন্যদিকে নানাবিধ বিড়ম্বনাসহ অনিশ্চিত মেয়াদ পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়ার চাপ মানুষের দুর্ভোগের সীমা লম্বা করবে। তাই সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ, সাধারণ মানুষদের জীবন ও আর্থিক সঙ্কটের কথা সুবিবেচনা পূর্বক গণপরিবহনে নির্দেশিত স্বা¯বিধির কঠোর তদারকির পাশাপাশি ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একইসঙ্গে গণপরিবহন মালিকদের মানবিকতাও কাম্য।

আবু ফারুক

বনরুপা পাড়া সদর, বান্দরবান।

আরও খবর

বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ , ৩ আষাঢ় ১৪২৭, ২৪ শাওয়াল ১৪৪১

গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া

ভয়াবহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সাধারণ ছুটিতে সরকারি নির্দেশে সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ থাকা গণপরিবহন গত ৩১ মে থেকে কতিপয় নির্দেশনা ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের শর্তে পুনরায় চালুর ঘোষণা প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে, সামাজিক দূরত্বের কারণে বাসে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে বলে পরিবহন মালিকদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি আমলে নিয়ে সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু এতে করে মালিকরা বরাবরের মতো লাভবান হলেও চলমান ক্রান্তিকালেও ফেঁসে গেল সাধারণ যাত্রীরা।

স্বাভাবিক সময়েও অতিরিক্ত ভাড়া, আসনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, থেমে থেমে পথচলাসহ নানা চাপে যাত্রীদের বিড়ম্বনার অন্ত নেই। তাছাড়া কোন কারণে ভাড়া বাড়ানোর পর বিশেষ অবস্থা কেটে যাওয়ার পরেও তা কমানোর নজির খুব একটা নেই। আর এবারও তার ব্যতিক্রম হবে কিনা- তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। চলমান সংকটে যেসব স্বাস্থ্যবিধির কথা মেনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাও প্রথম দিন থেকে অনেকটাই লঙ্ঘিত। তাই কেবল যাত্রীদের দূরত্ব আর তাদের মুখের মাস্ক যে উদ্ভুত বিপর্যয় এড়াতে যথেষ্ট নয় তা নিশ্চিত। তার উপর বর্ধিত ভাড়া নিশ্চিত ও নিয়মিত আয়ের ব্যক্তিদের জন্য কম চাপের হলেও অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ও নিম্নবিত্তদের জন্য নিঃসন্দেহেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তাছাড়া যে কারণে এই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সেই আপদকালের স্থায়িত্ব সম্পর্কেও আমরা কিছু জানি না।

একদিকে অদৃশ্য ভাইরাসের আক্রমণের ভয় আর অন্যদিকে নানাবিধ বিড়ম্বনাসহ অনিশ্চিত মেয়াদ পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়ার চাপ মানুষের দুর্ভোগের সীমা লম্বা করবে। তাই সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ, সাধারণ মানুষদের জীবন ও আর্থিক সঙ্কটের কথা সুবিবেচনা পূর্বক গণপরিবহনে নির্দেশিত স্বা¯বিধির কঠোর তদারকির পাশাপাশি ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একইসঙ্গে গণপরিবহন মালিকদের মানবিকতাও কাম্য।

আবু ফারুক

বনরুপা পাড়া সদর, বান্দরবান।