লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে রাজি হয়েছে চীন ও ভারত

লাদাখ সীমান্তে সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর উত্তেজনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমাতে রাজি হয়েছে চীন এবং ভারত। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র ফোনালাপের পর চীনা মন্ত্রণালয় এ মতৈক্যর কথা জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন ভারতের কাছে। এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি বিধানের পাশাপাশি ভারতের উচিত সামনের সারিতে থাকা সেনাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।’ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সোমবার লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় দুই দেশ একে অপরকে দোষারোপ করেছে। এরপরই দু’পক্ষ উত্তেজনা প্রশমনে রাজি হওয়ার খবর এল। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেছেন, ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যে মতৈক্য হয়েছে, সেইমতো দু’পক্ষেরই কাজ করা উচিত। সীমান্ত এলাকায় একযোগে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে সেখানকার পরিস্থিতি ঠিকভাবে সামাল দেয়ার জন্য বিদ্যমান চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সমন্বয়ও বাড়ানো উচিত, বলেন ওয়াং। দু’পক্ষই উত্তেজনা প্রশমনে শান্তিপূর্ণভাবে এবং দু’দেশের সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে হওয়া মতৈক্য অনুযায়ী কাজ করাসহ মাঠ পর্যায়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি ঠান্ডা করে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে একমত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে চীনা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় পাথর, রড নিয়ে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা করেন। কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চলতে থাকার মধ্যেই চীন ভারতকে সীমান্তে তাদের সেনাদের সংযত রাখা এবং সীমান্তে উস্কানি বন্ধের দাবি জানায়।

এ দিকে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনাটি নিয়ে বলেন, সেনা জওয়ানদের বলিদান বৃথা যাবে না। তবে ‘ভারত শান্তি চায়’ সেকথাও মোদি বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। টিভিতে এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘ভারত শান্তি চায়। কিন্তু কেউ প্ররোচনা দিলে, যে কোনও পরিস্থিতিতে এর উপযুক্ত জবাব দিতেও তারা প্রস্তুত। দেশের অখ-তা, সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবার উপরে। তা নিয়ে কোনও সমঝোতা করা হবে না। চীনাদের সঙ্গে লড়ে শহীদ হওয়ার জন্য ভারতীয় জওয়ানদের নিয়ে দেশবাসী গর্বিত, বলেন মোদি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে রাজি হয়েছে চীন ও ভারত

সংবাদ ডেস্ক |

লাদাখ সীমান্তে সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর উত্তেজনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমাতে রাজি হয়েছে চীন এবং ভারত। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র ফোনালাপের পর চীনা মন্ত্রণালয় এ মতৈক্যর কথা জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন ভারতের কাছে। এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি বিধানের পাশাপাশি ভারতের উচিত সামনের সারিতে থাকা সেনাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।’ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সোমবার লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় দুই দেশ একে অপরকে দোষারোপ করেছে। এরপরই দু’পক্ষ উত্তেজনা প্রশমনে রাজি হওয়ার খবর এল। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেছেন, ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যে মতৈক্য হয়েছে, সেইমতো দু’পক্ষেরই কাজ করা উচিত। সীমান্ত এলাকায় একযোগে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে সেখানকার পরিস্থিতি ঠিকভাবে সামাল দেয়ার জন্য বিদ্যমান চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সমন্বয়ও বাড়ানো উচিত, বলেন ওয়াং। দু’পক্ষই উত্তেজনা প্রশমনে শান্তিপূর্ণভাবে এবং দু’দেশের সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে হওয়া মতৈক্য অনুযায়ী কাজ করাসহ মাঠ পর্যায়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি ঠান্ডা করে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে একমত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে চীনা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় পাথর, রড নিয়ে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা করেন। কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চলতে থাকার মধ্যেই চীন ভারতকে সীমান্তে তাদের সেনাদের সংযত রাখা এবং সীমান্তে উস্কানি বন্ধের দাবি জানায়।

এ দিকে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনাটি নিয়ে বলেন, সেনা জওয়ানদের বলিদান বৃথা যাবে না। তবে ‘ভারত শান্তি চায়’ সেকথাও মোদি বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। টিভিতে এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘ভারত শান্তি চায়। কিন্তু কেউ প্ররোচনা দিলে, যে কোনও পরিস্থিতিতে এর উপযুক্ত জবাব দিতেও তারা প্রস্তুত। দেশের অখ-তা, সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবার উপরে। তা নিয়ে কোনও সমঝোতা করা হবে না। চীনাদের সঙ্গে লড়ে শহীদ হওয়ার জন্য ভারতীয় জওয়ানদের নিয়ে দেশবাসী গর্বিত, বলেন মোদি।