চীন-ভারত সংঘর্ষে জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারত ও চীনের নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে তার মুখপাত্র উভয়পক্ষকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। ভয়েস অব আমেরিকা।

মার্কিন এ সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, গত মে মাস থেকে বিরতি দিয়ে এ দুই চীর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চলের লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে সোমবার মাঝরাতে সংঘর্ঘ বাধে। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে চলে দু’পক্ষের এ লড়াইয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতের একজন কর্নেল পদমর্যাদার সেনাসহ মোট ২০ সেনাসদস্য নিহত এবং গুরুতর আহত হয়েছেন ১১০ জন দাবি নয়াদিল্লির। এ সংঘর্ষে চীনের কমপক্ষে ৪৩ সেনা নিহত অথবা গুরুতর আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে (প্রেস ব্রিফিং) অংশ নিয়ে ভারত-চীন সংঘর্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগের কথা জানান তার মুখপাত্র এরিক কানেকো। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী সীমান্ত লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং উভয়পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এটা ইতিবাচক, উভয় দেশ উত্তেজনা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে।’ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমন সব মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র।

ভারত-চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে এ সংঘর্ষে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির কতজন সেনা হতাহত হয়েছে তা প্রকাশ করেনি বেইজিং। যদিও ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘটনায় ৪৩ জন চীনা সৈন্য গুরুতর আহত বা নিহত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম চীন ও ভারতের মধ্যে প্রাণহানির মতো এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।

১৯৬২ সালে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ হয়।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

চীন-ভারত সংঘর্ষে জাতিসংঘের উদ্বেগ

সংবাদ ডেস্ক |

ভারত ও চীনের নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে তার মুখপাত্র উভয়পক্ষকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। ভয়েস অব আমেরিকা।

মার্কিন এ সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, গত মে মাস থেকে বিরতি দিয়ে এ দুই চীর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চলের লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে সোমবার মাঝরাতে সংঘর্ঘ বাধে। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে চলে দু’পক্ষের এ লড়াইয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতের একজন কর্নেল পদমর্যাদার সেনাসহ মোট ২০ সেনাসদস্য নিহত এবং গুরুতর আহত হয়েছেন ১১০ জন দাবি নয়াদিল্লির। এ সংঘর্ষে চীনের কমপক্ষে ৪৩ সেনা নিহত অথবা গুরুতর আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে (প্রেস ব্রিফিং) অংশ নিয়ে ভারত-চীন সংঘর্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগের কথা জানান তার মুখপাত্র এরিক কানেকো। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী সীমান্ত লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং উভয়পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এটা ইতিবাচক, উভয় দেশ উত্তেজনা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে।’ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমন সব মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র।

ভারত-চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে এ সংঘর্ষে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির কতজন সেনা হতাহত হয়েছে তা প্রকাশ করেনি বেইজিং। যদিও ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘটনায় ৪৩ জন চীনা সৈন্য গুরুতর আহত বা নিহত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম চীন ও ভারতের মধ্যে প্রাণহানির মতো এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।

১৯৬২ সালে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ হয়।