বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় ৬০ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে লক্ষাধিক নিবন্ধিত শিক্ষকরা নানা উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA) দায়িত্ব পালন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের ১ম ও ২য় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে। দুশ্চিন্তার খবর হচ্ছে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি নানা ধরনের অজুহাত শুরু করেছে। উল্লেখ্য যে, বিদায়ী NTRCA চেয়ারম্যান জনাব আসফাক হোসেন গণবিজ্ঞপ্তির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে মর্মে সাক্ষাৎকার দেন এবং আশ্বস্ত করেন ফেব্রুয়ারি বা মার্চে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে কিন্তু এখন জুন মাস অতিক্রম করছে তাও কোন সুরাহা মেলেনি। এতে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে সম্ভাব্য প্রায় দেড় থেকে দুইলক্ষ আবেদনকারী অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার হচ্ছে অনেকের বয়স ৩৫ এর বেশি হয়ে গেছে বা হয়ে যাবে যারা এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করার সুযোগ হারাবেন। নিবন্ধিত শিক্ষকেরা বিভিন্ন ভাবে NTRCA কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা বিভিন্ন উত্তর দিয়ে কালক্ষেপন করছে যা প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার জন্ম দিচ্ছে এবং বর্তমানে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই চাকরি খাত অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা চাকরি প্রার্থীদের মানষিক দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এসব নিবন্ধিত শিক্ষকেরা পরিবার, সমাজ থেকে অবহেলিত হয়ে মানবেতর ও খুব কষ্টে জীবন পার করছেন। নিবন্ধিত এসব শিক্ষকেরা যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে না পারলে এবং করোনার কারনে যে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এতে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। করোনা-পরবর্তী শিক্ষা ক্ষেত্রে সামগ্রিক যে ঘাটতি সৃষ্টি হবে উল্লেখিত পদের বিপরীতে এসব শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করতে পারলে যথেষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে উঠা যাবে। তাছাড়া ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভয়ংকর বেকারত্বের পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলবে। অতএব, এসব নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদানের জন্য, প্রায় ৬০ হাজার পরিবারে মুখে হাসি ফুটানোর জন্য, দেশের ভয়ঙ্কর বেকারত্বের সাময়িক স্বস্তির জন্য সর্বোপরি সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্য শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণকে বেগবান করতে এবং করোনা পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতির পরিমাণকে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা একান্ত জরুরি। তাই আর কালক্ষেপণ না করে যত দ্রুত সম্ভব ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রায় লক্ষাধিক নিবন্ধনধারী শিক্ষকের প্রাণের দাবি পূরণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষ NTRCA এর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
মো. সান্তু আলী
প্রভাষক, NTRCA কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত
১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় ৬০ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে লক্ষাধিক নিবন্ধিত শিক্ষকরা নানা উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA) দায়িত্ব পালন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের ১ম ও ২য় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে। দুশ্চিন্তার খবর হচ্ছে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি নানা ধরনের অজুহাত শুরু করেছে। উল্লেখ্য যে, বিদায়ী NTRCA চেয়ারম্যান জনাব আসফাক হোসেন গণবিজ্ঞপ্তির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে মর্মে সাক্ষাৎকার দেন এবং আশ্বস্ত করেন ফেব্রুয়ারি বা মার্চে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে কিন্তু এখন জুন মাস অতিক্রম করছে তাও কোন সুরাহা মেলেনি। এতে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে সম্ভাব্য প্রায় দেড় থেকে দুইলক্ষ আবেদনকারী অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার হচ্ছে অনেকের বয়স ৩৫ এর বেশি হয়ে গেছে বা হয়ে যাবে যারা এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করার সুযোগ হারাবেন। নিবন্ধিত শিক্ষকেরা বিভিন্ন ভাবে NTRCA কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা বিভিন্ন উত্তর দিয়ে কালক্ষেপন করছে যা প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার জন্ম দিচ্ছে এবং বর্তমানে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই চাকরি খাত অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা চাকরি প্রার্থীদের মানষিক দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এসব নিবন্ধিত শিক্ষকেরা পরিবার, সমাজ থেকে অবহেলিত হয়ে মানবেতর ও খুব কষ্টে জীবন পার করছেন। নিবন্ধিত এসব শিক্ষকেরা যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে না পারলে এবং করোনার কারনে যে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এতে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। করোনা-পরবর্তী শিক্ষা ক্ষেত্রে সামগ্রিক যে ঘাটতি সৃষ্টি হবে উল্লেখিত পদের বিপরীতে এসব শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করতে পারলে যথেষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে উঠা যাবে। তাছাড়া ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভয়ংকর বেকারত্বের পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলবে। অতএব, এসব নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদানের জন্য, প্রায় ৬০ হাজার পরিবারে মুখে হাসি ফুটানোর জন্য, দেশের ভয়ঙ্কর বেকারত্বের সাময়িক স্বস্তির জন্য সর্বোপরি সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্য শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণকে বেগবান করতে এবং করোনা পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতির পরিমাণকে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা একান্ত জরুরি। তাই আর কালক্ষেপণ না করে যত দ্রুত সম্ভব ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রায় লক্ষাধিক নিবন্ধনধারী শিক্ষকের প্রাণের দাবি পূরণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষ NTRCA এর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
মো. সান্তু আলী
প্রভাষক, NTRCA কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত
১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী