সরকারি পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা বন্ধ

নারায়ণগঞ্জ জেলার একমাত্র সরকারি পিসিআর ল্যাবে কিট সংকট থাকায় দুই দিন যাবত বন্ধ রয়েছে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কিট না পাঠালে পরীক্ষা করা যাবে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ৬ মে এই ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে নিয়মিত কিট এসেছে, পরীক্ষাও হয়েছে। দৈনিক ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা হয় ল্যাবটিতে। কিন্তু গত কয়েকদিন কিট না আসাতে কিট সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে গত বুধবার থেকে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবটিতে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। কিট কবে আসবে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সরাসরি কিছু না বলাতে জেলায় করোনা পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

দেশের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। শুরুর দিকে নারায়ণগঞ্জে সংগৃহীত নমুনা ঢাকার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হতো। সেখান থেকে পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্ব হওয়াতে ঢাকায় নমুনা পাঠানো বন্ধ করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলায় সংগৃহীত নমুনার বড় একটি অংশ নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যার সরকারি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। বাকিগুলো রূপগঞ্জের বেসরকারি গাজী পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। তবে গত দুই দিন সরকারি পিসিআর ল্যাবটিতে কিট সংকটের কারণে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে ল্যাবটিতে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায় সংবাদকে বলেন, কিট চেয়ে চিঠি দিয়েছি কিন্তু কিট এখনও আসেনি। গত বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। স্যাম্পল আসছে কিন্তু কিটের কারণে পরীক্ষা করাতে পারছি না। কিট কবে আসবে সেটাও বলতে পারছি না। এটা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কয়েকদিন পূর্বে ২৫ বক্সে প্রায় ৬০০ কিট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই কিট হাসাপাতালের পিসিআর ল্যাবে কাজ করছে না। এই কথা অধিদফতরে জানানো হয়েছে কিন্তু সমাধান আসেনি। হয় নতুন কিট পাঠাতে হবে অথবা যে মেশিনে ওই কিট কার্যকর সেরকম মেশিন পাঠাতে হবে।

শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১

নারায়ণগঞ্জে

সরকারি পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা বন্ধ

সৌরভ হোসেন সিয়াম, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার একমাত্র সরকারি পিসিআর ল্যাবে কিট সংকট থাকায় দুই দিন যাবত বন্ধ রয়েছে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কিট না পাঠালে পরীক্ষা করা যাবে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ৬ মে এই ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে নিয়মিত কিট এসেছে, পরীক্ষাও হয়েছে। দৈনিক ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা হয় ল্যাবটিতে। কিন্তু গত কয়েকদিন কিট না আসাতে কিট সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে গত বুধবার থেকে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবটিতে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। কিট কবে আসবে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সরাসরি কিছু না বলাতে জেলায় করোনা পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

দেশের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। শুরুর দিকে নারায়ণগঞ্জে সংগৃহীত নমুনা ঢাকার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হতো। সেখান থেকে পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্ব হওয়াতে ঢাকায় নমুনা পাঠানো বন্ধ করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলায় সংগৃহীত নমুনার বড় একটি অংশ নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যার সরকারি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। বাকিগুলো রূপগঞ্জের বেসরকারি গাজী পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। তবে গত দুই দিন সরকারি পিসিআর ল্যাবটিতে কিট সংকটের কারণে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে ল্যাবটিতে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায় সংবাদকে বলেন, কিট চেয়ে চিঠি দিয়েছি কিন্তু কিট এখনও আসেনি। গত বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। স্যাম্পল আসছে কিন্তু কিটের কারণে পরীক্ষা করাতে পারছি না। কিট কবে আসবে সেটাও বলতে পারছি না। এটা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কয়েকদিন পূর্বে ২৫ বক্সে প্রায় ৬০০ কিট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই কিট হাসাপাতালের পিসিআর ল্যাবে কাজ করছে না। এই কথা অধিদফতরে জানানো হয়েছে কিন্তু সমাধান আসেনি। হয় নতুন কিট পাঠাতে হবে অথবা যে মেশিনে ওই কিট কার্যকর সেরকম মেশিন পাঠাতে হবে।