গ্রেফতার ১০৯ মামলা ৫১
সড়ক-মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে পহেলা জুন থেকে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল পর্যন্ত ১০৯ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে সড়ক-মহাসড়ক চাঁদাবাজ মুক্ত করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
এর আগে চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাস দমনে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক-নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এরপর মাঠ পর্যায়ে পুলিশ হার্ডলাইনে অবস্থান নেয়। সড়ক পথে যে সব পয়েন্টে চাঁদাবাজি হচ্ছে, তার গোপন তথ্য সংগ্রহ করে অভিযান শুরু হয়েছে। চাঁদাবাজরা হাতেনাতে ধরা পড়ছে। শ্রমিক নেতা থেকে শুরু করে যাকে চাঁদাবাজিতে পাওয়া গেছে, তাকেই গ্রেফতার ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ছাড়াও সব আঞ্চলিক সড়কে, বাস টার্মিনাল যেখান থেকে বাস ছাড়ে ও যেখানে যেখানে বাস থামে প্রতিটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। আশুলিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈরসহ সব পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, হাইয়ের কোন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ রয়েছে, সড়ক-মহাসড়কে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যেতো। ঢাকার পাইকারি বাজার থেকে শুরু করে খুচরা বাজার পর্যন্ত এর প্রভাব পড়ত। পুলিশের এ অভিযানে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে পণ্যের দাম অনেক কমবে বলে অনেকেই আশা করছেন। মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দেশের অন্যান্য সেক্টরেও চাঁদাবাজি থাকবে না। চাঁদাবাজ রাঘববোয়ালরা ধরা পড়লে পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমনটা করছেন অনেকেই।
শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১
গ্রেফতার ১০৯ মামলা ৫১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
সড়ক-মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে পহেলা জুন থেকে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল পর্যন্ত ১০৯ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে সড়ক-মহাসড়ক চাঁদাবাজ মুক্ত করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
এর আগে চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাস দমনে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক-নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এরপর মাঠ পর্যায়ে পুলিশ হার্ডলাইনে অবস্থান নেয়। সড়ক পথে যে সব পয়েন্টে চাঁদাবাজি হচ্ছে, তার গোপন তথ্য সংগ্রহ করে অভিযান শুরু হয়েছে। চাঁদাবাজরা হাতেনাতে ধরা পড়ছে। শ্রমিক নেতা থেকে শুরু করে যাকে চাঁদাবাজিতে পাওয়া গেছে, তাকেই গ্রেফতার ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ছাড়াও সব আঞ্চলিক সড়কে, বাস টার্মিনাল যেখান থেকে বাস ছাড়ে ও যেখানে যেখানে বাস থামে প্রতিটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। আশুলিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈরসহ সব পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, হাইয়ের কোন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ রয়েছে, সড়ক-মহাসড়কে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যেতো। ঢাকার পাইকারি বাজার থেকে শুরু করে খুচরা বাজার পর্যন্ত এর প্রভাব পড়ত। পুলিশের এ অভিযানে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে পণ্যের দাম অনেক কমবে বলে অনেকেই আশা করছেন। মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দেশের অন্যান্য সেক্টরেও চাঁদাবাজি থাকবে না। চাঁদাবাজ রাঘববোয়ালরা ধরা পড়লে পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমনটা করছেন অনেকেই।