প্রকৃতির ঢাল সুন্দরবন

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর আক্রমণে সুন্দরবন প্রমাণ করল, সেই আমাদের বিপদের সবচেয়ে বড় বিশ্বস্ত বন্ধু। সুন্দরবন এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঢালস্বরূপ হিসাবে কাজ করেছে। এই বন না থাকলে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর আক্রমণে উপকূলে বড় ধরনের তা-ব হতে পারতো।

শুধু ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষেত্রেই ঘটেনি। এর আগে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বরে বুলবুল, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা মারাত্মক বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে আছড়ে পড়লেও সুন্দরবনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ফলে অনেক কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল; প্রাণহানিও হয়েছিল আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় দেয়ালের মতো কাজ করে সুন্দরবন। অথচ ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত এ বনের অস্তিত্ব ক্রমেই বিপন্ন হচ্ছে। এ

বন নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা বলছেন জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার অন্যতম শক্তি সুন্দরবন। অথচ তেলের ট্যাংক ডুবে বনের অভ্যন্তরের পানি, পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষিত হওয়া, চোরা শিকারি ও বনসংলগ্ন এলাকায় শিল্প-কারখানা নির্মাণের কারণে সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলছে। আর এ বনের পাশে নির্মিতব্য রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়া সুন্দরবন। এভাবে চলতে থাকলে একমাত্র প্রাকৃতিক বর্মন সুন্দরবন হারিয়ে যেতে বেশি দিন সময় লাগবে না। এজন্য সকলকে সচেতন হওয়া জরুরি। আসুন আমরা সুন্দরবন বাঁচাতে সচেতন হই, নিজে বাঁচি, সুন্দরবন বাঁচাই এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সে আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসাবে রক্ষা করবে।

মো. জিল্লুর রহমান

সতিশ সরকার রোড,

গেণ্ডারিয়া, ঢাকা

শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১

প্রকৃতির ঢাল সুন্দরবন

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর আক্রমণে সুন্দরবন প্রমাণ করল, সেই আমাদের বিপদের সবচেয়ে বড় বিশ্বস্ত বন্ধু। সুন্দরবন এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঢালস্বরূপ হিসাবে কাজ করেছে। এই বন না থাকলে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর আক্রমণে উপকূলে বড় ধরনের তা-ব হতে পারতো।

শুধু ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষেত্রেই ঘটেনি। এর আগে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বরে বুলবুল, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা মারাত্মক বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে আছড়ে পড়লেও সুন্দরবনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ফলে অনেক কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল; প্রাণহানিও হয়েছিল আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় দেয়ালের মতো কাজ করে সুন্দরবন। অথচ ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত এ বনের অস্তিত্ব ক্রমেই বিপন্ন হচ্ছে। এ

বন নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা বলছেন জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার অন্যতম শক্তি সুন্দরবন। অথচ তেলের ট্যাংক ডুবে বনের অভ্যন্তরের পানি, পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষিত হওয়া, চোরা শিকারি ও বনসংলগ্ন এলাকায় শিল্প-কারখানা নির্মাণের কারণে সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলছে। আর এ বনের পাশে নির্মিতব্য রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়া সুন্দরবন। এভাবে চলতে থাকলে একমাত্র প্রাকৃতিক বর্মন সুন্দরবন হারিয়ে যেতে বেশি দিন সময় লাগবে না। এজন্য সকলকে সচেতন হওয়া জরুরি। আসুন আমরা সুন্দরবন বাঁচাতে সচেতন হই, নিজে বাঁচি, সুন্দরবন বাঁচাই এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সে আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসাবে রক্ষা করবে।

মো. জিল্লুর রহমান

সতিশ সরকার রোড,

গেণ্ডারিয়া, ঢাকা