ঈশ্বরদীতে বন্ধ হয়নি এনজিওর কিস্তি আদায়

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই দুঃসময়ে ঋণের কিস্তি আদায়ে ‘চাপ’ না দিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঈশ্বরদীতে কয়েকটি এনজিওর মাঠ কর্মীরা এই নিষেধাজ্ঞা মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ ঋণ গ্রহীতাদের প্রতি সপ্তাহে কিস্তি প্রদানে অনেকটা বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা। সরেজমিন এ অভিযাগের সত্যতাও মিলেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে একাধিক এনজিওর একাধিক সদস্যরা বলেছেন, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে এনজিওর মাঠকর্মীরা নির্ধারিত পয়ন্টে খাতাপত্র নিয়ে হাজির হন। এসব সমিতির সদস্যদের পাশ বই ও কিস্তির টাকা নিয়ে তাদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সাঁডা গোপালপুর এলাকার একজন নারী সদস্য বলেন, আমার স্বামী একজন দিনমজুর, করোনাকালে কাজ না থাকায় তিনি বেকার হয়ে বাড়িতেই রয়েছেন, এই অবস্থায় সংসার চালানোই যেখানে দায় হয়ে পড়েছে, সেখানে আমার পক্ষে সমিতির কিস্তির টাকা প্রদান করা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু সমিতির মাঠকর্মীরা প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে কিস্তির টাকা প্রদান করার জন্য নানাভাবে চাপ দিয়ে কিস্তির টাকা প্রদানে বাধ্য করছেন। শহরের মধ্য অরণকোলা এলাকার আব্দুল হালিম জানান, প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন এনজিওর কর্মীরা এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছেন। কোন সদস্য কিস্তির টাকা যথাসময়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের নানা কথা বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। পৌর এলাকার ফতেমোহাম্মদপুর, উপজেলার সাহাপুর, পাকশী, দাশুড়িয়া ইউপির বিভিন্ন গ্রামের একাধিক সদস্যরা জানান, করোনার এই দুঃসময়েও তারা ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এসব বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুদ রানা জানান, সরকারের নির্দেশনা রয়েছে ঋণের কিস্তি প্রদান করতে কোন সদস্যদের বাধ্য করা যাবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঈশ^রদী শিহাব রায়হান বলেন, ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে কোন এনজিওর বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ বা প্রমান পেলে ওই এনজিওর বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার, ২৭ জুন ২০২০ , ১৩ আষাঢ় ১৪২৭, ৫ জিলকদ ১৪৪১

ঈশ্বরদীতে বন্ধ হয়নি এনজিওর কিস্তি আদায়

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই দুঃসময়ে ঋণের কিস্তি আদায়ে ‘চাপ’ না দিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঈশ্বরদীতে কয়েকটি এনজিওর মাঠ কর্মীরা এই নিষেধাজ্ঞা মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ ঋণ গ্রহীতাদের প্রতি সপ্তাহে কিস্তি প্রদানে অনেকটা বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা। সরেজমিন এ অভিযাগের সত্যতাও মিলেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে একাধিক এনজিওর একাধিক সদস্যরা বলেছেন, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে এনজিওর মাঠকর্মীরা নির্ধারিত পয়ন্টে খাতাপত্র নিয়ে হাজির হন। এসব সমিতির সদস্যদের পাশ বই ও কিস্তির টাকা নিয়ে তাদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সাঁডা গোপালপুর এলাকার একজন নারী সদস্য বলেন, আমার স্বামী একজন দিনমজুর, করোনাকালে কাজ না থাকায় তিনি বেকার হয়ে বাড়িতেই রয়েছেন, এই অবস্থায় সংসার চালানোই যেখানে দায় হয়ে পড়েছে, সেখানে আমার পক্ষে সমিতির কিস্তির টাকা প্রদান করা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু সমিতির মাঠকর্মীরা প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে কিস্তির টাকা প্রদান করার জন্য নানাভাবে চাপ দিয়ে কিস্তির টাকা প্রদানে বাধ্য করছেন। শহরের মধ্য অরণকোলা এলাকার আব্দুল হালিম জানান, প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন এনজিওর কর্মীরা এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছেন। কোন সদস্য কিস্তির টাকা যথাসময়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের নানা কথা বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। পৌর এলাকার ফতেমোহাম্মদপুর, উপজেলার সাহাপুর, পাকশী, দাশুড়িয়া ইউপির বিভিন্ন গ্রামের একাধিক সদস্যরা জানান, করোনার এই দুঃসময়েও তারা ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এসব বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুদ রানা জানান, সরকারের নির্দেশনা রয়েছে ঋণের কিস্তি প্রদান করতে কোন সদস্যদের বাধ্য করা যাবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঈশ^রদী শিহাব রায়হান বলেন, ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে কোন এনজিওর বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ বা প্রমান পেলে ওই এনজিওর বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।