ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কিশোরগঞ্জে মশক নিধন অভিযান

করোনা মহামারীতে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় এবার মশক নিধনে নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কারিগরি সহায়তায় এবার ডেঙ্গুসহ মশক নিয়ন্ত্রণে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় ছিটানো হচ্ছে অধিক কার্যকর দু’রকম ওষুধ। ডোবা আর নর্দমাসহ মশার উৎপাদন স্থানগুলোতে ছিটানো হচ্ছে লার্ভিসাইড। আর মহল্লায় মহল্লায় অলিগলি এবং ঝোপঝাড়ে পূর্ণাঙ্গ মশার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফগার মেশিন। এতে কিছুদিন ধরে পৌর এলাকায় মশার ওৎপাত অনেকটা কমেছে বলে পৌরবাসী মনে করছেন।

মেয়র মাহমুদ পারভেজ জানান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নিজ উদ্যোগে নির্দিষ্ট কোম্পানির উন্নতমানের কাঁচামাল কিনে নিজেরা সঠিক নিয়মে নির্দিষ্ট মাত্রা বা অনুপাতে মিশ্রণ তৈরি করে সারা পৌর এলাকায় প্রয়োগ করছে । তিনি জানান, এতদিন মশক নিধনের কাঁচামালের সঙ্গে প্রচলিত নিয়মে পেট্রোলের মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করা হতো। তাতে ভাল ফল পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন বেশ ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় এডিস মশার তেমন প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্যান্য প্রজাতির মশার বেশ দাপটে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। সেটাও বর্তমানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে দু’রকম ওষুধই ছিটানো হচ্ছে। ডোবা ও নর্দমাসহ মশা উৎপাদনের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে ছিটানো হচ্ছে লার্ভিসাইড। যার কারণে মশার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে এখন মশার ওৎপাত অনেক কমে গেছে। আর পূর্ণাঙ্গ মশার জন্য ফগার মেশিনে ছিটানো হচ্ছে ওষুধ। তবে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখছে লার্ভিসাইড, জানিয়েছেন মেয়র মাহমুদ পারভেজ। মশার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলেই এখন মশার ওৎপাতও কমেছে। মেয়র আশাবাদী, এবার অন্তত কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পাওয়া যাবে।

রবিবার, ২৮ জুন ২০২০ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৭, ৬ জিলকদ ১৪৪১

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কিশোরগঞ্জে মশক নিধন অভিযান

মোস্তফা কামাল, কিশোরগঞ্জ

image

করোনা মহামারীতে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় এবার মশক নিধনে নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কারিগরি সহায়তায় এবার ডেঙ্গুসহ মশক নিয়ন্ত্রণে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় ছিটানো হচ্ছে অধিক কার্যকর দু’রকম ওষুধ। ডোবা আর নর্দমাসহ মশার উৎপাদন স্থানগুলোতে ছিটানো হচ্ছে লার্ভিসাইড। আর মহল্লায় মহল্লায় অলিগলি এবং ঝোপঝাড়ে পূর্ণাঙ্গ মশার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফগার মেশিন। এতে কিছুদিন ধরে পৌর এলাকায় মশার ওৎপাত অনেকটা কমেছে বলে পৌরবাসী মনে করছেন।

মেয়র মাহমুদ পারভেজ জানান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নিজ উদ্যোগে নির্দিষ্ট কোম্পানির উন্নতমানের কাঁচামাল কিনে নিজেরা সঠিক নিয়মে নির্দিষ্ট মাত্রা বা অনুপাতে মিশ্রণ তৈরি করে সারা পৌর এলাকায় প্রয়োগ করছে । তিনি জানান, এতদিন মশক নিধনের কাঁচামালের সঙ্গে প্রচলিত নিয়মে পেট্রোলের মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করা হতো। তাতে ভাল ফল পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন বেশ ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় এডিস মশার তেমন প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্যান্য প্রজাতির মশার বেশ দাপটে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। সেটাও বর্তমানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে দু’রকম ওষুধই ছিটানো হচ্ছে। ডোবা ও নর্দমাসহ মশা উৎপাদনের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে ছিটানো হচ্ছে লার্ভিসাইড। যার কারণে মশার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে এখন মশার ওৎপাত অনেক কমে গেছে। আর পূর্ণাঙ্গ মশার জন্য ফগার মেশিনে ছিটানো হচ্ছে ওষুধ। তবে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখছে লার্ভিসাইড, জানিয়েছেন মেয়র মাহমুদ পারভেজ। মশার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলেই এখন মশার ওৎপাতও কমেছে। মেয়র আশাবাদী, এবার অন্তত কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পাওয়া যাবে।