৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ মোহাম্মদ সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা পাচারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া পুলিশের সাবেক এ ওসি দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল মামলা করেন। যেকোন দিন মামলা দায়ের হবে। মামলার পর আরও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে কিনা এবং বিদেশে অর্থ পাচার করেছে কিনা এ বিষয়টিও তদন্ত করা হবে। দুদক মনে করছে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের একটি বড় অংশ দেশের বাইরে পাচার করেছে ওসি প্রদীপ দম্পতি।

দুদকের পরিচালক (মিডিয়া) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তার অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন টেকনাফ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এছাড়া ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক উক্ত অবৈধ সম্পদ স্থানান্তর, হন্তাস্তর ও রূপান্তর করে ভোগদখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দ-বিধির ১০৯ ধারায় চট্টগ্রামে মামলাটি দায়ের করা হবে।

দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে (বর্তমানে হত্যা মামলার অসামি গ্রেফতার) অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয় ২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় দুদক। অনুসন্ধান কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন উপ-পরিচালক মুহ. মাহবুবল আলম। অনুসন্ধান শুরুর পর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দেয়া হয় ওসি প্রদীপ দম্পতিকে। দুদকের নোটিশের পেক্ষিতে ওসি প্রদীপ দম্পতি দুদকের সমন্বিত জেলা চট্টগ্রাম ২ এর কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণীও দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে ওসি প্রদীপ ৭০ লাখ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি তার স্ত্রী চুমকীর নামে থাকা সম্পদের তথ্যও দিয়েছেন। তবে সম্পদ বিবরণীতে ওসি প্রদীপ নিজের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি দেখিয়েছেন। শুধু ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১ বছরের সম্পদ দেখিয়েছেন ৪ কোটি টাকা। ওই সম্পদ অর্জনের উৎস সম্পর্কে ওসি প্রদীপ স্ত্রীর মাছের ব্যবসাকে দেখিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানে ওসি প্রদীপের নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ পাওয়া গেছে। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে সাড়ে ৩ কোটি টাকারও বেশি। তবে স্ত্রীর নামে ১ বছরে ৪ কোটি টাকার যে সম্পদের হিসেব দিয়েছেন ওসি প্রদীপ সেই সম্পদের বৈধতা নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। এছাড়া ওসি প্রদীপে আরও অবৈধ সম্পদ আছে কিনা সেগুলোও অনুসন্ধান চলছে। বিশেষ করে সাড়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন। ওইসব সম্পদের বৈধ আয়ের কোন উৎস বা এর স্বপক্ষে কোন নথিপত্র দুদকে জমা দেয়নি ওসি প্রদীপ।

দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মুহ. মাহবুবল আলম বলেন, ২০১৮ সালের প্রথম দিকে আমরা সম্পদের অনুসন্ধানে নামি। ২০১৯ সালের ওসি প্রদীপকে নোটিশ পাঠানো হয়। দুদকের পাঠানো নোটিশে ওসি প্রদীপ সম্পদের হিসেব দাখিল করেন। এরপর অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে ২০১৯ পেরিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুসন্ধান কার্যক্রমে কিছুটা বাধা পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও আমরা অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলাম। দুদক সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপ দম্পতির জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদের মধ্যে কক্সবাজার শহরে ৪ শতাংশ জমি, ৬ তলা ভবন, ফ্ল্যাট ও দুটি হোটেলের মালিকানাসহ বেশি কিছু সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলো ছাড়াও আর কোন অস্থাবর সম্পদ আছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। এছাড়া ওসি প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে দেশের বাইরে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ উঠেছে। দুদক অর্থ পাচারের অভিযোগটি আমলে নিয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগও অনুসন্ধান চলছে। এরমধ্যে মামলা হয়ে গেলে মামলা তদন্তে অর্থ পাচারেরও তদন্ত করা হবে।

image

অবৈধ অর্থে কেনা ভবনের বুকে ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী -সংবাদ

আরও খবর
অনেকের লড়াই দীর্ঘ হচ্ছে সংক্রমণ ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে
সংসদীয় ৩টি আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ‘আসল খলনায়ক’ জিয়া : প্রধানমন্ত্রী
মা-মেয়েকে নির্যাতন
পাঁচটি সংসদীয় আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৪১ জন
ঢাকা মেডিকেলে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে
করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা অঘোষিতভাবে বন্ধ
২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৭৩
তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সংসদীয় ৩টি আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
পালিত হচ্ছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস
আশুরায় উন্মুক্তস্থানে তাজিয়া মিছিল করা যাবে না

সোমবার, ২৪ আগস্ট ২০২০ , ৪ মহররম ১৪৪২, ২৪ আগস্ট ২০২০

৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

অবৈধ অর্থে কেনা ভবনের বুকে ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী -সংবাদ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ মোহাম্মদ সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা পাচারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া পুলিশের সাবেক এ ওসি দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল মামলা করেন। যেকোন দিন মামলা দায়ের হবে। মামলার পর আরও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে কিনা এবং বিদেশে অর্থ পাচার করেছে কিনা এ বিষয়টিও তদন্ত করা হবে। দুদক মনে করছে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের একটি বড় অংশ দেশের বাইরে পাচার করেছে ওসি প্রদীপ দম্পতি।

দুদকের পরিচালক (মিডিয়া) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তার অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন টেকনাফ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এছাড়া ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক উক্ত অবৈধ সম্পদ স্থানান্তর, হন্তাস্তর ও রূপান্তর করে ভোগদখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দ-বিধির ১০৯ ধারায় চট্টগ্রামে মামলাটি দায়ের করা হবে।

দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে (বর্তমানে হত্যা মামলার অসামি গ্রেফতার) অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয় ২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় দুদক। অনুসন্ধান কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন উপ-পরিচালক মুহ. মাহবুবল আলম। অনুসন্ধান শুরুর পর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দেয়া হয় ওসি প্রদীপ দম্পতিকে। দুদকের নোটিশের পেক্ষিতে ওসি প্রদীপ দম্পতি দুদকের সমন্বিত জেলা চট্টগ্রাম ২ এর কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণীও দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে ওসি প্রদীপ ৭০ লাখ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি তার স্ত্রী চুমকীর নামে থাকা সম্পদের তথ্যও দিয়েছেন। তবে সম্পদ বিবরণীতে ওসি প্রদীপ নিজের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি দেখিয়েছেন। শুধু ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১ বছরের সম্পদ দেখিয়েছেন ৪ কোটি টাকা। ওই সম্পদ অর্জনের উৎস সম্পর্কে ওসি প্রদীপ স্ত্রীর মাছের ব্যবসাকে দেখিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানে ওসি প্রদীপের নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ পাওয়া গেছে। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে সাড়ে ৩ কোটি টাকারও বেশি। তবে স্ত্রীর নামে ১ বছরে ৪ কোটি টাকার যে সম্পদের হিসেব দিয়েছেন ওসি প্রদীপ সেই সম্পদের বৈধতা নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। এছাড়া ওসি প্রদীপে আরও অবৈধ সম্পদ আছে কিনা সেগুলোও অনুসন্ধান চলছে। বিশেষ করে সাড়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন। ওইসব সম্পদের বৈধ আয়ের কোন উৎস বা এর স্বপক্ষে কোন নথিপত্র দুদকে জমা দেয়নি ওসি প্রদীপ।

দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মুহ. মাহবুবল আলম বলেন, ২০১৮ সালের প্রথম দিকে আমরা সম্পদের অনুসন্ধানে নামি। ২০১৯ সালের ওসি প্রদীপকে নোটিশ পাঠানো হয়। দুদকের পাঠানো নোটিশে ওসি প্রদীপ সম্পদের হিসেব দাখিল করেন। এরপর অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে ২০১৯ পেরিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুসন্ধান কার্যক্রমে কিছুটা বাধা পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও আমরা অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলাম। দুদক সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপ দম্পতির জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদের মধ্যে কক্সবাজার শহরে ৪ শতাংশ জমি, ৬ তলা ভবন, ফ্ল্যাট ও দুটি হোটেলের মালিকানাসহ বেশি কিছু সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলো ছাড়াও আর কোন অস্থাবর সম্পদ আছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। এছাড়া ওসি প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে দেশের বাইরে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ উঠেছে। দুদক অর্থ পাচারের অভিযোগটি আমলে নিয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগও অনুসন্ধান চলছে। এরমধ্যে মামলা হয়ে গেলে মামলা তদন্তে অর্থ পাচারেরও তদন্ত করা হবে।