নদী ভাঙন রোধে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ

দশে মিলে স্বনির্ভর দেশ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কদমগাছী গ্রামে ছোট যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলে সেখানে প্রায় ৫শ’ মিটার এলাকাজুড়ে নদীর ভাঙন সৃষ্টি হয়। তীব্র ভাঙনে কয়েক দিনের মধ্যে নদীর বেরি বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। সমস্যাটি বার বার এলাকাবাসীসহ উপজেলা প্রশাসন নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত কারলেও কোন ফল হয়নি। তারা শুধু এসে ভাঙন স্থান পরিদর্শন করে যান। অবশেষে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ভাঙন ঠেকালেন।

এলাকাবাসী জানায়, ভাঙন না ঠেকালে বাঁধ ভেঙ্গে পুরো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর বাঁধ ভেঙ্গে গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাছাড়া প্রতি বছর আশি^ন মাসে এই এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়। এতে নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে আসে। এমন অবস্থায় বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকার প্রায় ৫টি ইউনিয়নের ফসলি মাঠ ও বাড়িঘর তলিয়ে যাবে। আর এই ভাঙন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামবাসীকে কাজ করতে উৎসাহ জোগালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা.আবু তাহির। এছাড়াও গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়ান মথুরাপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী তারা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করলেন।

অপরদিকে, মথুরাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু বেরি বাঁধ রক্ষার জন্য গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দিলেন নগদ ২২ হাজার টাকা ও কিছু শুকনা খাবার। আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাঙ্গন স্থানে কর্মরত গ্রামবাসীদের যোগান দিলেন খাবার। তিনি নিজেও গ্রামবাসীর সঙ্গে খাবারে শরীক হলেন। উৎসাহ উদ্দীপনা পেয়ে উজ্জীবিত গ্রামবাসী আনন্দের সঙ্গে নদীর ভাঙ্গন ঠেকালেন। নদীর বেরি বাঁধ নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আব্দুল কুদ্দুস, মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিল্টন, মিঠু, বাদেশ, আলতাব, জালাল, কামরুল, মিলন, সোহেল, দেলোয়ার, ফজলু, বাবু, সোহাগ, এমরান, বজলু, মিশু, তপন, মানিক, হামিদুল, হাসু, উজ্জ্বল, রিয়াজুল, আজিজুলসহ আরও অনেকেই।

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট ২০২০ , ৫ মহররম ১৪৪২, ২৫ আগস্ট ২০২০

নদী ভাঙন রোধে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ

দশে মিলে স্বনির্ভর দেশ

প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)

image

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কদমগাছী গ্রামে ছোট যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলে সেখানে প্রায় ৫শ’ মিটার এলাকাজুড়ে নদীর ভাঙন সৃষ্টি হয়। তীব্র ভাঙনে কয়েক দিনের মধ্যে নদীর বেরি বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। সমস্যাটি বার বার এলাকাবাসীসহ উপজেলা প্রশাসন নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত কারলেও কোন ফল হয়নি। তারা শুধু এসে ভাঙন স্থান পরিদর্শন করে যান। অবশেষে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ভাঙন ঠেকালেন।

এলাকাবাসী জানায়, ভাঙন না ঠেকালে বাঁধ ভেঙ্গে পুরো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর বাঁধ ভেঙ্গে গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাছাড়া প্রতি বছর আশি^ন মাসে এই এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়। এতে নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে আসে। এমন অবস্থায় বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকার প্রায় ৫টি ইউনিয়নের ফসলি মাঠ ও বাড়িঘর তলিয়ে যাবে। আর এই ভাঙন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামবাসীকে কাজ করতে উৎসাহ জোগালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা.আবু তাহির। এছাড়াও গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়ান মথুরাপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী তারা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করলেন।

অপরদিকে, মথুরাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু বেরি বাঁধ রক্ষার জন্য গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দিলেন নগদ ২২ হাজার টাকা ও কিছু শুকনা খাবার। আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাঙ্গন স্থানে কর্মরত গ্রামবাসীদের যোগান দিলেন খাবার। তিনি নিজেও গ্রামবাসীর সঙ্গে খাবারে শরীক হলেন। উৎসাহ উদ্দীপনা পেয়ে উজ্জীবিত গ্রামবাসী আনন্দের সঙ্গে নদীর ভাঙ্গন ঠেকালেন। নদীর বেরি বাঁধ নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আব্দুল কুদ্দুস, মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিল্টন, মিঠু, বাদেশ, আলতাব, জালাল, কামরুল, মিলন, সোহেল, দেলোয়ার, ফজলু, বাবু, সোহাগ, এমরান, বজলু, মিশু, তপন, মানিক, হামিদুল, হাসু, উজ্জ্বল, রিয়াজুল, আজিজুলসহ আরও অনেকেই।