কিশোরগঞ্জ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীতে পৌরসভার পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এখন বর্ষাকাল। কয়েক বছর আগে এটি কিছুটা খনন করার ফলে এখন নদী ভর্তি পানি। কিন্তু পুরো নদী ভর্তি হয়ে আছে কচুরিপানায়। পৌর কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন ধরে শ্রমিক লাগিয়ে এসব কচুরিপানা পরিষ্কার করাচ্ছে। নদীটি শহরবাসীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসলেও বহু বছর ধরে এর মধ্যে জমে ওঠা কচুরিপানার জঞ্জাল আর শহরের দুর্গন্ধময় বর্জ্য পড়ে পড়ে এটি হয়ে উঠেছিল জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। নরসুন্দা হয়ে উঠেছিল রোগ ছড়ানোর আতুরঘর। হয়ে উঠেছিল মশা উৎপাদনেরও আতুরঘর। অবশ্য এর জন্য শহরবাসীও কম দায়ী নয়। বিভিন্ন বাসাবাড়ি আর খাবার হোটেলের পচনশীল বর্জ্যরে পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লিনিকের ভয়ানক ক্ষতিকর বর্জ্য ফেলে নদীটিকে দূষিত করে ফেলা হয়েছিল। এমনকি বিভিন্ন কাঁচা বাজরের জবাই করা পশুর বর্জ্যসহ পঁচা শাকসবজি ফেলেও নদীকে দূষিত করা হয়েছিল, এখনো করা হচ্ছে। কেউ দোকান বা বাসার সংস্কার কাজ করলে কঠিন বর্জ্যগুলোরও ঠাঁই হয় এই নদীতেই। ফলে বিভিন্ন মহল থেকে বার বার দাবি তোলার কারণে এবার পৌর কর্তৃপক্ষ মাঠে নেমেছে। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, ৩৪ জন শ্রমিক দু’টি দলে ভাগ হয়ে নৌকা, দা আর আঁচড়া নিয়ে কাজে নেমেছেন।
মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট ২০২০ , ৫ মহররম ১৪৪২, ২৫ আগস্ট ২০২০
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীতে পৌরসভার পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এখন বর্ষাকাল। কয়েক বছর আগে এটি কিছুটা খনন করার ফলে এখন নদী ভর্তি পানি। কিন্তু পুরো নদী ভর্তি হয়ে আছে কচুরিপানায়। পৌর কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন ধরে শ্রমিক লাগিয়ে এসব কচুরিপানা পরিষ্কার করাচ্ছে। নদীটি শহরবাসীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসলেও বহু বছর ধরে এর মধ্যে জমে ওঠা কচুরিপানার জঞ্জাল আর শহরের দুর্গন্ধময় বর্জ্য পড়ে পড়ে এটি হয়ে উঠেছিল জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। নরসুন্দা হয়ে উঠেছিল রোগ ছড়ানোর আতুরঘর। হয়ে উঠেছিল মশা উৎপাদনেরও আতুরঘর। অবশ্য এর জন্য শহরবাসীও কম দায়ী নয়। বিভিন্ন বাসাবাড়ি আর খাবার হোটেলের পচনশীল বর্জ্যরে পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লিনিকের ভয়ানক ক্ষতিকর বর্জ্য ফেলে নদীটিকে দূষিত করে ফেলা হয়েছিল। এমনকি বিভিন্ন কাঁচা বাজরের জবাই করা পশুর বর্জ্যসহ পঁচা শাকসবজি ফেলেও নদীকে দূষিত করা হয়েছিল, এখনো করা হচ্ছে। কেউ দোকান বা বাসার সংস্কার কাজ করলে কঠিন বর্জ্যগুলোরও ঠাঁই হয় এই নদীতেই। ফলে বিভিন্ন মহল থেকে বার বার দাবি তোলার কারণে এবার পৌর কর্তৃপক্ষ মাঠে নেমেছে। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, ৩৪ জন শ্রমিক দু’টি দলে ভাগ হয়ে নৌকা, দা আর আঁচড়া নিয়ে কাজে নেমেছেন।