মাইকিং করে খোঁজা হচ্ছে কারা বাকি : আরইবি চেয়ারম্যান
২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার সরকারি প্রতিশ্রুতি পূরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির গ্রিডভুক্ত এলাকায় ৯৯ শতাংশ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে, অফগ্রিডে কিছু এলাকা বাকি আছে, যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ প্রদানে বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা এখনও অন্তরায় হয়ে আছে। আবার কোন কোন সময় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় কয়েকটি অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান বিঘিœত হচ্ছে।
দেশে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের সিংহভাগই আরইবির আওতাধীন এলাকায়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ৬১টি জেলার ৪৬১টি উপজেলার ৮৪ হাজার ৮শ’ গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে আরইবি দেশের প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ গ্রাহককে সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে প্রায় পৌঁনে ১১ কোটি মানুষকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছে। তবে আরইবির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় এখনও লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অথচ দেশে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদপন সক্ষমতা অর্জন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আরইবি সংশ্লিষ্টদের দাবি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) গতকাল বিকেলে সংবাদকে বলেন, আরইবির আওতাভুক্ত ৪৬১ উপজেলার গ্রিডভুক্ত এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। গ্রিড অঞ্চলে আমাদের মোট গ্রাহক ২ কোটি ৯৩ লাখ গ্রাহক। এখন মাইকিং করে খুঁজে খুঁজে বের করা হচ্ছে কারা গ্যাপে পড়েছেন (বাকি আছেন)। গ্রিড-অফগ্রিড মিলে ২৫৭টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী, আগামী ২৭ আগস্ট আরও ৩১টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ের উদ্বোধন করবেন তিনি। অর্থাৎ ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হবে। বাকি থাকবে ১৭১টি উপজেলা। তিনি বলেন, অফগ্রিড (প্রত্যন্ত চরাঞ্চল) এলাকার ১০৫৯টি গ্রামে প্রায় আড়াই লাখ গ্রাহক আছে। তাদের বিদ্যুতের আওতায় আনার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৭টি গ্রামের সাড়ে তিন হাজার সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের এসব এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
আরইবি চেয়ারম্যান বলেন, অফগ্রিড অঞ্চলে নদীর ওপারে বিদ্যুৎ নিতে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করা হবে। এ লক্ষ্যে আরইবির নিজস্ব অর্থায়নে ৩২৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাস্তবায়ন হলে এসব অঞ্চল গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। শুধুমাত্র ২৯টি গ্রামের ৬ হাজার গ্রাহক সৌরবিদ্যুতের আওতায় থাকবে। ওই এলাকাগুলোর নদী পথের দূরত্ব নয়-দশ কিলোমিটার হওয়ায় সাবমেরিন ক্যাবল দেয়া যাবে না। সেখানে গ্রাহকসংখ্যা কা ঘনত্বও তুলনামূলক অনেক কম। তাদের জন্য সৌরবিদ্যুতের টেন্ডার হয়ে গেছে।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণের অন্তরায়ের কারণ হিসেবে মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) বলেন, ঝড়-বৃষ্টি, সাইক্লোনে আমাদের বিতরণ ব্যবস্থা অনেক সময় ভেঙে পড়ে। এটা প্রকৃতিক এবং ভৌগলিক কারণ। তবে দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে সর্বদা স”েষ্ট আরইবি।
স্থানীয় সূত্র বলছে, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং রংপুরে প্রায়ই লোডশেডিং বা লো-ভোল্টেজ সমস্যা হয়। দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার পরও লোডশেডিং বা লো-ভোল্টেজ কেন? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আরইবির আওতাভুক্ত কয়েকটি অঞ্চলে অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না। সূত্র বলছে, এই অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা শক্তিশালী নয়। কখনও কোন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ত্রুটি হলে, বা অন্য কোন কারণে বন্ধ রাখতে হলেই, ভিন্ন জোন থেকে বিদ্যুৎ আনতে হয়। শুরু হয় লোডশেডিং। বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে জোনভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পাড়লে এ সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে না।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা থেকে আমদানিকৃত ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কুমিল্লা অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় ভারত থেকে এক-দুই ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তখন এই অঞ্চলে সমস্যা তৈরি হয়। অন্য জোন থেকে বিদ্যুৎ এনে চাহিদা পূরণে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে এ এলাকায় লোডশেডিং করতে হয়। সূত্র জানায়, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) সঞ্চালন সমস্যার কারণেও অনেক সময় বিদ্যুৎ বিতরণে সমস্যায় তৈরি হয়।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৬ নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে গ্রামীণ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য দেশের সব জনগণকে গুণগত মানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। আরইবি সূত্র জানায়, মুজিববর্ষব্যাপী ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে (পবিস) ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ তথা শতভাগ উপজেলা বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করার কাজ শুরু করে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হলেও সীমিত আকারে তা চলমান আছে। ‘মুজিববর্ষ-পল্লী বিদ্যুতের সেবাবর্ষ’ হিসেবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’, ‘উঠান বৈঠক’ এবং ‘গণশুনানি’ কর্মসূচির প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরইবি ইতোমধ্যে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ বিনির্মাণে ৮০টি পবিস এর জন্য ৮০টি মডেল গ্রাম ইতোমধ্যে নির্বাচন করা হয়েছে যেখানে নাগরিক সুবিধাসহ শিল্পায়ন, কৃষি বিপ্লব ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র জানায়, মুজিবর্ষেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ‘পেপারলেস অফিস’ চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।
মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট ২০২০ , ৫ মহররম ১৪৪২, ২৫ আগস্ট ২০২০
মাইকিং করে খোঁজা হচ্ছে কারা বাকি : আরইবি চেয়ারম্যান
ফয়েজ আহমেদ তুষার |
২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার সরকারি প্রতিশ্রুতি পূরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির গ্রিডভুক্ত এলাকায় ৯৯ শতাংশ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে, অফগ্রিডে কিছু এলাকা বাকি আছে, যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ প্রদানে বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা এখনও অন্তরায় হয়ে আছে। আবার কোন কোন সময় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় কয়েকটি অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান বিঘিœত হচ্ছে।
দেশে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের সিংহভাগই আরইবির আওতাধীন এলাকায়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ৬১টি জেলার ৪৬১টি উপজেলার ৮৪ হাজার ৮শ’ গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে আরইবি দেশের প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ গ্রাহককে সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে প্রায় পৌঁনে ১১ কোটি মানুষকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছে। তবে আরইবির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় এখনও লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অথচ দেশে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদপন সক্ষমতা অর্জন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আরইবি সংশ্লিষ্টদের দাবি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) গতকাল বিকেলে সংবাদকে বলেন, আরইবির আওতাভুক্ত ৪৬১ উপজেলার গ্রিডভুক্ত এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। গ্রিড অঞ্চলে আমাদের মোট গ্রাহক ২ কোটি ৯৩ লাখ গ্রাহক। এখন মাইকিং করে খুঁজে খুঁজে বের করা হচ্ছে কারা গ্যাপে পড়েছেন (বাকি আছেন)। গ্রিড-অফগ্রিড মিলে ২৫৭টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী, আগামী ২৭ আগস্ট আরও ৩১টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ের উদ্বোধন করবেন তিনি। অর্থাৎ ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হবে। বাকি থাকবে ১৭১টি উপজেলা। তিনি বলেন, অফগ্রিড (প্রত্যন্ত চরাঞ্চল) এলাকার ১০৫৯টি গ্রামে প্রায় আড়াই লাখ গ্রাহক আছে। তাদের বিদ্যুতের আওতায় আনার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৭টি গ্রামের সাড়ে তিন হাজার সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের এসব এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
আরইবি চেয়ারম্যান বলেন, অফগ্রিড অঞ্চলে নদীর ওপারে বিদ্যুৎ নিতে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করা হবে। এ লক্ষ্যে আরইবির নিজস্ব অর্থায়নে ৩২৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাস্তবায়ন হলে এসব অঞ্চল গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। শুধুমাত্র ২৯টি গ্রামের ৬ হাজার গ্রাহক সৌরবিদ্যুতের আওতায় থাকবে। ওই এলাকাগুলোর নদী পথের দূরত্ব নয়-দশ কিলোমিটার হওয়ায় সাবমেরিন ক্যাবল দেয়া যাবে না। সেখানে গ্রাহকসংখ্যা কা ঘনত্বও তুলনামূলক অনেক কম। তাদের জন্য সৌরবিদ্যুতের টেন্ডার হয়ে গেছে।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণের অন্তরায়ের কারণ হিসেবে মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) বলেন, ঝড়-বৃষ্টি, সাইক্লোনে আমাদের বিতরণ ব্যবস্থা অনেক সময় ভেঙে পড়ে। এটা প্রকৃতিক এবং ভৌগলিক কারণ। তবে দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে সর্বদা স”েষ্ট আরইবি।
স্থানীয় সূত্র বলছে, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং রংপুরে প্রায়ই লোডশেডিং বা লো-ভোল্টেজ সমস্যা হয়। দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার পরও লোডশেডিং বা লো-ভোল্টেজ কেন? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আরইবির আওতাভুক্ত কয়েকটি অঞ্চলে অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না। সূত্র বলছে, এই অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা শক্তিশালী নয়। কখনও কোন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ত্রুটি হলে, বা অন্য কোন কারণে বন্ধ রাখতে হলেই, ভিন্ন জোন থেকে বিদ্যুৎ আনতে হয়। শুরু হয় লোডশেডিং। বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে জোনভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পাড়লে এ সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে না।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা থেকে আমদানিকৃত ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কুমিল্লা অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় ভারত থেকে এক-দুই ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তখন এই অঞ্চলে সমস্যা তৈরি হয়। অন্য জোন থেকে বিদ্যুৎ এনে চাহিদা পূরণে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে এ এলাকায় লোডশেডিং করতে হয়। সূত্র জানায়, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) সঞ্চালন সমস্যার কারণেও অনেক সময় বিদ্যুৎ বিতরণে সমস্যায় তৈরি হয়।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৬ নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে গ্রামীণ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য দেশের সব জনগণকে গুণগত মানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। আরইবি সূত্র জানায়, মুজিববর্ষব্যাপী ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে (পবিস) ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ তথা শতভাগ উপজেলা বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করার কাজ শুরু করে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হলেও সীমিত আকারে তা চলমান আছে। ‘মুজিববর্ষ-পল্লী বিদ্যুতের সেবাবর্ষ’ হিসেবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’, ‘উঠান বৈঠক’ এবং ‘গণশুনানি’ কর্মসূচির প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরইবি ইতোমধ্যে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ বিনির্মাণে ৮০টি পবিস এর জন্য ৮০টি মডেল গ্রাম ইতোমধ্যে নির্বাচন করা হয়েছে যেখানে নাগরিক সুবিধাসহ শিল্পায়ন, কৃষি বিপ্লব ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র জানায়, মুজিবর্ষেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ‘পেপারলেস অফিস’ চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।