হলফলা বিলের বাধা অপসারণ সেচের আওতায় হাজার বিঘা জমি

নওগাঁর বদলগাছীতে ৭ বছর থেকে আটকে থাকা হলফলা বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেন উপজেলা প্রশাসন।

জানা যায়, উপজেলার চাঁপাইনগর, সাদিশপুর, মুক্তিনগর, কামালপুর, মাদবপাড়া, নিউ রসুলপুর, বিঞ্চনপুর, সেনপাড়া ও জগনাথপুর মৌজার পনি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হলফলা বিলের খারি। সেখানে ৭ বছর আগে পুকুর খনন করে সেই খারি দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য বাধার সৃষ্টি করে জগনাথপুর গ্রামের মৃত. মজিবরের ছেলে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মোস্তফা, মৃত. সিরাজ উদ্দীনের ছেলে ফায়ার সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুলতান, মৃত. রুপচাঁন ম-লের ছেলে গনি। এই পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আমন মৌসুমে প্রায় ৮শ’ থেকে ১ হাজার বিঘা জমিতে কোন ফসল চাষাবাদ হয় না। এ কারণে ওইসব জমির মালিকরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বারবার অভিযোগ প্রদান করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পানি নিষ্কাশনের জন্য বারবার পানি বাঁধা সৃষ্টিকারীদের সাথে কথা বললেও কোন সমধান হয়নি। সমাধান না হওয়ায় ওইসব এলাকার কৃষকরা হলফলা বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি আবেদন করেন। পরে এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক আবেদন জানান।

আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহির গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিন গিয়ে পানি নিষ্কাশনের জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং পানি নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টিকারীদের সাথে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, হলফলা বিল দিয়ে প্রায় ৯টি মৌজার মাঠের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু গত ৭-৮ বছর আগে ঐ বিলে পুকুর খননের করণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে নিচু জায়গা জমিতে আমন মৌসুমে কোন ফসল চাষাবাদ হতো না। তাই ঐ এলাকার কৃষকরা পানি নিষ্কাশনের জন্য বারবার আমার কাছে অভিযোগ করলেও। তাদের সাথে কোন সমাধান না হওয়ায় ওই সব এলাকাবাসী লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ করেন। আমি নিজেও নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিন এসে তাদের সাথে কথা বলে পনি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এলাকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখি খারিটি দখল করে পুকুর খনন করা হয়েছে। ঐ সব পুকুর মালিকদের ডেকে তাদের সাথে কথা বললে তারা একটি পুকুর ভেঙ্গে খারিটি পূর্ণ সংযোগ করে দেওয়ার কথাদেন। সেই কথা মতো সোমবার এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে খারিটির পূর্ণ সংযোগ করেন। আশা করি এখন থেকে ঐসব মাঠের শতভাগ ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে।

অপরদিকে, বিকনা, পলবন, তপন, স্বপন, কাজল, ভুট্টু, পিন্টু, নবিন, চন্দন, শাহিন ও উজ্জলসহ বেশ কিছু কৃষক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দীর্ঘ ৭ বছর পর হলফলা বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হওয়ায় এলাকায় চলছে ব্যবক আনন্দ। আর এই পনি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০ , ৬ মহররম ১৪৪২, ২৬ আগস্ট ২০২০

হলফলা বিলের বাধা অপসারণ সেচের আওতায় হাজার বিঘা জমি

প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)

image

নওগাঁর বদলগাছীতে ৭ বছর থেকে আটকে থাকা হলফলা বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেন উপজেলা প্রশাসন।

জানা যায়, উপজেলার চাঁপাইনগর, সাদিশপুর, মুক্তিনগর, কামালপুর, মাদবপাড়া, নিউ রসুলপুর, বিঞ্চনপুর, সেনপাড়া ও জগনাথপুর মৌজার পনি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হলফলা বিলের খারি। সেখানে ৭ বছর আগে পুকুর খনন করে সেই খারি দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য বাধার সৃষ্টি করে জগনাথপুর গ্রামের মৃত. মজিবরের ছেলে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মোস্তফা, মৃত. সিরাজ উদ্দীনের ছেলে ফায়ার সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুলতান, মৃত. রুপচাঁন ম-লের ছেলে গনি। এই পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আমন মৌসুমে প্রায় ৮শ’ থেকে ১ হাজার বিঘা জমিতে কোন ফসল চাষাবাদ হয় না। এ কারণে ওইসব জমির মালিকরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বারবার অভিযোগ প্রদান করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পানি নিষ্কাশনের জন্য বারবার পানি বাঁধা সৃষ্টিকারীদের সাথে কথা বললেও কোন সমধান হয়নি। সমাধান না হওয়ায় ওইসব এলাকার কৃষকরা হলফলা বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি আবেদন করেন। পরে এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক আবেদন জানান।

আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহির গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিন গিয়ে পানি নিষ্কাশনের জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং পানি নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টিকারীদের সাথে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, হলফলা বিল দিয়ে প্রায় ৯টি মৌজার মাঠের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু গত ৭-৮ বছর আগে ঐ বিলে পুকুর খননের করণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে নিচু জায়গা জমিতে আমন মৌসুমে কোন ফসল চাষাবাদ হতো না। তাই ঐ এলাকার কৃষকরা পানি নিষ্কাশনের জন্য বারবার আমার কাছে অভিযোগ করলেও। তাদের সাথে কোন সমাধান না হওয়ায় ওই সব এলাকাবাসী লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ করেন। আমি নিজেও নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিন এসে তাদের সাথে কথা বলে পনি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এলাকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখি খারিটি দখল করে পুকুর খনন করা হয়েছে। ঐ সব পুকুর মালিকদের ডেকে তাদের সাথে কথা বললে তারা একটি পুকুর ভেঙ্গে খারিটি পূর্ণ সংযোগ করে দেওয়ার কথাদেন। সেই কথা মতো সোমবার এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে খারিটির পূর্ণ সংযোগ করেন। আশা করি এখন থেকে ঐসব মাঠের শতভাগ ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে।

অপরদিকে, বিকনা, পলবন, তপন, স্বপন, কাজল, ভুট্টু, পিন্টু, নবিন, চন্দন, শাহিন ও উজ্জলসহ বেশ কিছু কৃষক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দীর্ঘ ৭ বছর পর হলফলা বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হওয়ায় এলাকায় চলছে ব্যবক আনন্দ। আর এই পনি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।