উইসকনসিনে বিক্ষোভ অব্যাহত ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ আহত হওয়ার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে তুমুল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ২৪ আগস্ট পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে এর মধ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর। রয়টার্স।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার পর তুমুল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক পুলিশ বিভাগকে বিলুপ্ত করার দাবিও জানায় কেউ কেউ। এর মধ্যেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পুলিশের গুলিতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ হতাহত হওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় উইসকনসিনের কেনোসা শহরে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় জ্যাকব ব্লেক নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ। তাকে পেছন থেকে কয়েকবার গুলি করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রাতেই হাজারও মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসলে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জারি হয় কারফিউ। কারফিউ উপেক্ষা করে সোমবার রাতে আবারও রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। কোর্টহাউসের সামনে জড়ো হয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকে। শেরিফের ডেপুটিদের লক্ষ্য করে বোতলও ছুড়ে মারে তারা। ডেপুটিরাও বিক্ষোভকারীদের হটাতে টিয়ারগ্যাস ও পিপার বল ছুড়তে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরই রাস্তায় ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। এর আগে সোমবার বিকালে বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পড়েন কেনোসা শহরের মেয়র জন আন্তারামিয়ান। দায়ী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে তার পথ আগলে দাঁড়ায় তারা।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোববার রাতে কেনোসা শহরে গাড়িতে ওঠার জন্য ২৯ বছর বয়সী জ্যাকব ব্লেক যখন হেঁটে যাচ্ছেন তখন তাকে অনুসরণ করছে দুই পুলিশ সদস্য।

ব্লেক গাড়ির দরজা খোলার সাথে সাথে তার পিঠে গুলি করে তাদেরই একজন। সেসময় গাড়ির ভেতরে বসে থাকা তার তিন সন্তান পুরো ঘটনা দেখতে পায়। সোমবার ব্লেকের বাবা জানিয়েছেন, তার ছেলের শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।

কেনোসা পুলিশ বিভাগ বলেছে, উইসকনসিনের আইন মন্ত্রণালয় সোমবার সকালে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠায়। অঙ্গরাজ্যটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ এ ঘটনার তদন্ত করছে।

বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০ , ৬ মহররম ১৪৪২, ২৬ আগস্ট ২০২০

উইসকনসিনে বিক্ষোভ অব্যাহত ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ আহত হওয়ার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে তুমুল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ২৪ আগস্ট পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে এর মধ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর। রয়টার্স।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার পর তুমুল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক পুলিশ বিভাগকে বিলুপ্ত করার দাবিও জানায় কেউ কেউ। এর মধ্যেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পুলিশের গুলিতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ হতাহত হওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় উইসকনসিনের কেনোসা শহরে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় জ্যাকব ব্লেক নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ। তাকে পেছন থেকে কয়েকবার গুলি করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রাতেই হাজারও মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসলে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জারি হয় কারফিউ। কারফিউ উপেক্ষা করে সোমবার রাতে আবারও রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। কোর্টহাউসের সামনে জড়ো হয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকে। শেরিফের ডেপুটিদের লক্ষ্য করে বোতলও ছুড়ে মারে তারা। ডেপুটিরাও বিক্ষোভকারীদের হটাতে টিয়ারগ্যাস ও পিপার বল ছুড়তে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরই রাস্তায় ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। এর আগে সোমবার বিকালে বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পড়েন কেনোসা শহরের মেয়র জন আন্তারামিয়ান। দায়ী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে তার পথ আগলে দাঁড়ায় তারা।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোববার রাতে কেনোসা শহরে গাড়িতে ওঠার জন্য ২৯ বছর বয়সী জ্যাকব ব্লেক যখন হেঁটে যাচ্ছেন তখন তাকে অনুসরণ করছে দুই পুলিশ সদস্য।

ব্লেক গাড়ির দরজা খোলার সাথে সাথে তার পিঠে গুলি করে তাদেরই একজন। সেসময় গাড়ির ভেতরে বসে থাকা তার তিন সন্তান পুরো ঘটনা দেখতে পায়। সোমবার ব্লেকের বাবা জানিয়েছেন, তার ছেলের শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।

কেনোসা পুলিশ বিভাগ বলেছে, উইসকনসিনের আইন মন্ত্রণালয় সোমবার সকালে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠায়। অঙ্গরাজ্যটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ এ ঘটনার তদন্ত করছে।