বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন

তিন দফা বন্যায় মৎস্য খামারিদের স্বপ্ন পানিতে ভেসে গেছে। একটু লাভের আশায় ভাড়া করা অন্যের জমিতে মাছের খামার করে এখন দিশেহারা তারা। অনেকেই কিস্তিতে টাকা নিয়ে মৎস্য চাষ করেছিলেন। জমি বর্গার টাকা এবং কিস্তির টাকা কিভাবে পরিশোধ করবেন এ নিয়েও চাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। জানা যায়, মাছ চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখেন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মৎস্যচাষিরা। খামারিরা এপ্রিলে পুকুর ও দিঘিতে মাছ চাষের উপযোগী করে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছের পোনা চাষ শুরু করেন। এতে পোনা ক্রয়সহ তাদের লাখ লাখ টাকা ব্যয় হয়।

মৎস্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে খামারের মাছের যাবতীয় পরিচর্যা ঠিকমতো চলে আসছিল। এতে প্রতিটি মাছ দ্রুত বেড়ে বলিষ্ঠ হয়ে দেহের গঠন দেখে চাষিরা ছিলেন আনন্দে। প্রতিটি মাছ ন্যায্য দামে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সময়মতো পুকুর ও দিঘি থেকে মাছ তুলে বাজারে বিক্রি করে অধিক লাভের মুখ দেখবেন এমন প্রত্যাশায় শ্রমিক নিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে আসছিলেন মৎস্য খামারিরা। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। জুনের শেষের দিকে টানা ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয় এবং পুকুরের চারপাশে জাল ফেলে মাছ রক্ষা করা হয়।

আকস্মিক বন্যার পানি কমতে না কমতেই দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে যায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানির সঙ্গে ভেসে যায় খামারের মাছ। সেই সঙ্গে ভেসে যায় অধিক লাভের স্বপ্ন। ওই বন্যার পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করলে আবারও তৃতীয় দফা বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে অসংখ্য খামারির স্বপ্ন ভেসে যায় পানিতে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত এসব মৎস্য খামারি ভাইদের আর্থিক সহযোগিতা বা ক্ষতিপূরণ বাবদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শাহারিয়ার বেলাল।

বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০ , ৬ মহররম ১৪৪২, ২৬ আগস্ট ২০২০

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন

তিন দফা বন্যায় মৎস্য খামারিদের স্বপ্ন পানিতে ভেসে গেছে। একটু লাভের আশায় ভাড়া করা অন্যের জমিতে মাছের খামার করে এখন দিশেহারা তারা। অনেকেই কিস্তিতে টাকা নিয়ে মৎস্য চাষ করেছিলেন। জমি বর্গার টাকা এবং কিস্তির টাকা কিভাবে পরিশোধ করবেন এ নিয়েও চাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। জানা যায়, মাছ চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখেন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মৎস্যচাষিরা। খামারিরা এপ্রিলে পুকুর ও দিঘিতে মাছ চাষের উপযোগী করে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছের পোনা চাষ শুরু করেন। এতে পোনা ক্রয়সহ তাদের লাখ লাখ টাকা ব্যয় হয়।

মৎস্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে খামারের মাছের যাবতীয় পরিচর্যা ঠিকমতো চলে আসছিল। এতে প্রতিটি মাছ দ্রুত বেড়ে বলিষ্ঠ হয়ে দেহের গঠন দেখে চাষিরা ছিলেন আনন্দে। প্রতিটি মাছ ন্যায্য দামে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সময়মতো পুকুর ও দিঘি থেকে মাছ তুলে বাজারে বিক্রি করে অধিক লাভের মুখ দেখবেন এমন প্রত্যাশায় শ্রমিক নিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে আসছিলেন মৎস্য খামারিরা। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। জুনের শেষের দিকে টানা ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয় এবং পুকুরের চারপাশে জাল ফেলে মাছ রক্ষা করা হয়।

আকস্মিক বন্যার পানি কমতে না কমতেই দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে যায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানির সঙ্গে ভেসে যায় খামারের মাছ। সেই সঙ্গে ভেসে যায় অধিক লাভের স্বপ্ন। ওই বন্যার পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করলে আবারও তৃতীয় দফা বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে অসংখ্য খামারির স্বপ্ন ভেসে যায় পানিতে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত এসব মৎস্য খামারি ভাইদের আর্থিক সহযোগিতা বা ক্ষতিপূরণ বাবদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শাহারিয়ার বেলাল।