রেলওয়ের নতুন নির্দেশনায় বিভ্রান্তিতে যাত্রীরা

রেলওয়ের নতুন নতুন নির্দেশনার ফলে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। একটি নিদের্শনা জারির দুই-এক দিন পর তা আবার প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু প্রত্যাহারের নোটিশ আর যাত্রীদের কাছে পৌঁছায় না। তাই ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে অনেকটা ধোঁয়াশার মধ্যে আছে যাত্রীরা। এছাড়া কাউন্টারে টিকিট বিক্রয় না হওয়ার কারণে সঠিক তথ্যও পাচ্ছে না যাত্রীরা।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে চালু হচ্ছে রেলওয়ের আরও ১৮ জোড়া আন্তঃনগর, কমিউটার ও মেইল ট্রেন। কিন্তু কেবিনের যাত্রীদের জন্য রাত্রিকালীন চাদর, কম্বল ও বালিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনলাইনে বিক্রয় করা হবে ৫০ শতাংশ টিকিট। গতকাল এক নির্দেশনায় এই তথ্য জানায় রেলওয়ে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রেল উপপরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় জানানো হয়, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ১৯ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করার পাশাপাশি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কিছু বিষয় শিথিল করা হয়। এর মধ্যে ৫ সেটেম্বর থেকে রাত্রিকালীন উচ্চ শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য চাদর, কম্বল ও বালিশ সরবরাহ করা হবে, যা গত কিছু দিন বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল অপর এক নির্দেশনায় তা আবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে যাত্রীদের বিভ্রান্তি হয়েছে।

এছাড়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, যাত্রার ৫ দিন আগে থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, চিপস-বিস্কুটসহ প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ শুরু হবে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশন যাত্রা বিরতি করবে ট্রেন। যা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বন্ধ ছিল।

নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সংক্রমণ এড়াতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে প্রথমে আট জোড়া এবং পরে ৩ জুন আরও ১১ জোড়া ট্রেন যাত্রী পরিবহনে নামে। এর ১৭ দিনের মাথায় যাত্রী সংকটে দুটি রুটের ট্রেন সাময়িক স্থগিত করে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৭ জোড়া ট্রেন অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করছিল। ১৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৬ আগস্ট রেলবহরে ১৩ জোড়া ট্রেন যোগ হওয়ায় ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ জোড়ায়। এছাড়া আগামী ২৭ আগস্ট থেকে আরও ১৮ জোড়া ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হলে মোট ৬৭ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে। রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাকি ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে বলে সংস্থাটির সূত্র জানায়।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

রেলওয়ের নতুন নির্দেশনায় বিভ্রান্তিতে যাত্রীরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রেলওয়ের নতুন নতুন নির্দেশনার ফলে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। একটি নিদের্শনা জারির দুই-এক দিন পর তা আবার প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু প্রত্যাহারের নোটিশ আর যাত্রীদের কাছে পৌঁছায় না। তাই ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে অনেকটা ধোঁয়াশার মধ্যে আছে যাত্রীরা। এছাড়া কাউন্টারে টিকিট বিক্রয় না হওয়ার কারণে সঠিক তথ্যও পাচ্ছে না যাত্রীরা।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে চালু হচ্ছে রেলওয়ের আরও ১৮ জোড়া আন্তঃনগর, কমিউটার ও মেইল ট্রেন। কিন্তু কেবিনের যাত্রীদের জন্য রাত্রিকালীন চাদর, কম্বল ও বালিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনলাইনে বিক্রয় করা হবে ৫০ শতাংশ টিকিট। গতকাল এক নির্দেশনায় এই তথ্য জানায় রেলওয়ে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রেল উপপরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় জানানো হয়, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ১৯ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করার পাশাপাশি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কিছু বিষয় শিথিল করা হয়। এর মধ্যে ৫ সেটেম্বর থেকে রাত্রিকালীন উচ্চ শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য চাদর, কম্বল ও বালিশ সরবরাহ করা হবে, যা গত কিছু দিন বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল অপর এক নির্দেশনায় তা আবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে যাত্রীদের বিভ্রান্তি হয়েছে।

এছাড়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, যাত্রার ৫ দিন আগে থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, চিপস-বিস্কুটসহ প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ শুরু হবে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশন যাত্রা বিরতি করবে ট্রেন। যা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বন্ধ ছিল।

নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সংক্রমণ এড়াতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে প্রথমে আট জোড়া এবং পরে ৩ জুন আরও ১১ জোড়া ট্রেন যাত্রী পরিবহনে নামে। এর ১৭ দিনের মাথায় যাত্রী সংকটে দুটি রুটের ট্রেন সাময়িক স্থগিত করে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৭ জোড়া ট্রেন অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করছিল। ১৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৬ আগস্ট রেলবহরে ১৩ জোড়া ট্রেন যোগ হওয়ায় ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ জোড়ায়। এছাড়া আগামী ২৭ আগস্ট থেকে আরও ১৮ জোড়া ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হলে মোট ৬৭ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে। রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাকি ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে বলে সংস্থাটির সূত্র জানায়।